পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ඵම්ප8 চতুর্থ, ভরদ্বাজ-আশ্রম। কর্ণেলগঞ্জে । পঞ্চম, নাগবামুকির মন্দির। দারগঞ্জে । নাগদেবতার ক্টকাষ্ট বোধ হয় এক মাত্র মন্দির ; ভারতের আর কোনো স্থানে নাগদেবতার মন্দির আছে কি না জানি না । এখানকার দৃপ্ত বেশ মনোরম। মন্দিরের তিন দিকে গঙ্গার বেষ্টনী, সন্মুখে বাধা ঘাট—এলাহাবাদের গঙ্গার উপর এই একটি মাত্র বাধা ঘাট । এখানে বর্ষাকালে নাগপঞ্চমীর দিনে মেলা হয় । 曲 ষষ্ঠ, অক্ষয়বট । প্রাচীন অক্ষয়বটের কেল্লার মধ্যে মাটির নীচে এক মন্দিরের মধ্যে আছে । একটা গুড়ি গুহ্ময় পট, এণাঙ্গ বাদ । চতুর পাণ্ডারা মাঝে মাঝে এক একট কাচা বটের ডাল ইহার গায়ে লাগাইয়। প্রচার করে যে এই ৭ট অক্ষয় অমর, মন্দিরের মধ্যে আলো বাতাস না পাইয়াও বঁচিয়া থাকে । এবং অজ্ঞ যাত্রীরা তাহাই বিশ্বাস করে । সপ্তম, শেষনাগের মন্দির । ইহা ত্রিবেণী হইতে তিন প্রবাসী—পৌষ, ১৩১৭ ১০ ম ভাগ, ২য় খণ্ড মাইল দূরে, গঙ্গার দক্ষিণ তীরে অবস্থিত। এক্ষণে ইহার নাম দেশী ভাষায় অপভ্রংশ হইয়া হইয়াছে ছটনাগ । এইগুলি প্রধান তীর্থক্ষেত্র ছাড়া আরো কতকগুলি দর্শনীয় আছে। তাহার মধ্যে সমুদ্রকুপ ও হংসকুপ এবং অঙ্গোপীদেবীর মন্দির প্রধান । সমুদ্রকৃপ সম্ভবত সমুদ্র গুপ্তের নিৰ্ম্মিত । পাওীর ইতিহাস না জানিয়া বলে ইহার জলের সঙ্গে তলে, তলে সমুদ্রের সংযোগ আছে। সমুদ্রগুপ্তের রাজধানী ছিল কৌশাম্বীতে । এই কৌশাম্বীর বর্তমান নাম কোশাম । ইঙ্গ এক্ষণে একটি গ্রাম মাত্র, এলাহাবাদ জেলায় যমুনার তীরে অবস্থিত। এলাহাবাদ হইতে ৩০ মাইল পশ্চিমে । সমুদ্রকুপ একটা ছোট পাঙ্গড়ের উপরে অবস্থিত। পাচগড়ের পাদদেশে এক মুসলমান ফকিরের সমাধি আছে। তিনি নাকি কবীর সাহেবের সমসাময়িক ছিলেন। এখানে প্রতি বৎসর নিম্ন শ্রেণীব হিন্দু মুসলমানের এক মেলা বসে । চংসতীর্থ সমুদ্রকুপের নিকটেষ্ট । পুরাতন হংসকুপ এক্ষণে জীর্ণদশ। প্রাপ্ত। একজন ক্ষত্রিয় জমিদার ইঙ্গার নিকটে একটি নূতন কূপ করিয়াছেন, তাহাই এক্ষণে হংসকৃপ নামে পরিচিত হইতেছে ! শুংসকুপ ও সমুদ্রকুপের উপব দুষ্টটি উৎকীর্ণ শলাপট আছে । ইহারই নিকটে বুসি গ্রাম। ঝুঁসিতে গঙ্গার পাড় পাঙ্গড়েব মতো উচু। এই উচু পাডের উপর ঠিক গঙ্গার অঞ্জ ধারে একটি পরম রমণীয় শাস্ত আশ্রম আছে, সেখানে বহু সাধু সন্ন্যাসী কৃত্রিম শুষ্ঠার মধ্যে বাস করেন । শতাধিক সোপান ক্ষতিক্রম কবিয়া । এষ্ট শাশ্রমে উঠিতে কয় । অতিথি ও যাত্রীদের বিশ্রামের জন্য পাকা বাড়ী আছে । এই স্থানটি বোধ হয় কোনকালে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বিহার ছিল ; এক্ষণে বৈষ্ণব সাধুদেব সাধনক্ষেত্র হইয়াছে। এই আশ্রমটি অবশুদর্শনীয় । বু সির প্রাচীন নাম প্রতিষ্ঠান । কালিদাসের বিক্রমোর্কশী নাটকের দৃশুস্থান এই প্রতিষ্ঠান। সেই নাটকেও গঙ্গা-যমুনাসঙ্গমের সুন্দর বর্ণনা আছে। এখানকার রাজাদের কোনো ইতিহাসই পাওয়া যায় না। বাংলায় যেমন হবুচন্দ্র রাজার গবুচন্দ্র মন্ত্রীর কথা প্রচলিত আছে, বুসির রাজার সম্বন্ধেও সেক্টরূপ বহু হাস্যকর গর গুনা