পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S AASAASAASAASAAASSS SAAAASAASAA S �ፃፀሙ به هر هـ. س.-.... . ------ مه- دهیمه- وه*** -----۳ سه ه»---- - ۲۳ مهر - ۰ - ۰ مه ۰--۰ مه هاه ফুট স্বরে গঙ্গামণি বলিতে লাগিল—“মা কালী—আ ছেলেবেলা থেকে তোমায় কত প্রণাম করেছি—কত ভক্তি করেছি। কাল তোমার পুজা হবে—তাই আজ রাতে তুমি অন্ধকারের বেশ ধরে এসে সমস্ত পুথিবী ভরিয়ে ফেলেছ । মা, আমি ত কোন ও অপরাধ করিনি—তবে কেন এত কষ্ট পাচ্ছি ? অসময়ে আমার স্বামীকে কেড়ে নিলে —যেখানে আশ্রয় নিয়েছিলাম—সেখান থেকেও আমায় তাড়ালে । মা, যদি আমি দোষ করে থাকি—তবে আমায় ক্ষমা কর । এ বিপদ থেকে আমায় উদ্ধার কর । যাতে আমার ধৰ্ম্ম রক্ষা হয়, এমন কর । আর তা যদি না কর— তবে তোমার ডাকিনী যোগিনীদের বলে দাও-—আজ রাতেষ্ট যেন তারা এসে আমায় মেরে ফেলে-—তা হলেও আমি পরিত্রাণ পাই । মা রক্ষাকালী—আমায় রক্ষা কর, রক্ষা কর মা !” এষ্টরূপে প্রার্থনা করার পর অভাগিনীর হৃদয়ভার অনেকটা লাঘব হইল । তখন সে জানালাটি বন্ধ করিয়া, মাদুরথানিতে আবার শয়ন করিল। প্রদীপটি মিট মিট করিয়া জলিতেছিল—কপাট খোলাষ্ট রচিল-চক্ষু মুদ্রিত করিয়া গঙ্গামণি মনে মনে বলিতে লাগিল—“ম কালী, আমায় রক্ষা কর মা—আমায় রক্ষা কর।”—এইরূপ মানসিক প্রার্থনার অবস্থায়, নিদ্রাদেবী আসিয়া তাঙ্গার সৰ্ব্বাঙ্গে নিজ পদ্মহস্ত বুলাষ্টয়া দিয়া তাঙ্গার চেতন হরণ করিলেন । 彎 豪 磷 豪 廠 রাত্রি গভীর হইল । গঙ্গামণি সেই অবস্থায় নিদ্রিত । হঠাৎ যেন মস্তকে কি একটা কঠিন দ্রব্যের স্পর্শ অনুভব করিল—তাহার নিদ্রাভঙ্গ চইল । চক্ষু খুলিয়া দেখিল, প্রদীপের আলোক খুব উজ্জ্বল হইয়াছে। রক্তাস্বরধারিণী কৃষ্ণবর্ণ একটি স্ত্রীলোক যেন দাড়াইয়া রহিয়াছে—তাহার হস্তের ত্রিশূল মৃদু মৃদ্ধ আন্দোলিত হইতেছে । গঙ্গামণি দেখিল, সেই ত্ৰিশূলের অগ্রভাগ যেন শোণিতরঞ্জিত। মুহূৰ্ত্তকাল মাত্র এই দৃপ্ত অবলোকন করিয়া, আবার সে চক্ষু মুদ্রিত করিল। ভয়ে তাহার সকল অঙ্গ কিম হষ্টয়া গেল । সে বাস্তবিক জাগিয়াছে অথবা স্বপ্নে একটা বিভীষিকা দেখিতেছে—কিছুই স্থির করিতে পারিল না। এব:সী—পৌষ, ১৩১৭ [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড কয়েক মুহূৰ্ত্ত পরে অস্বাভাবিক বিকৃত বিকট কণ্ঠে কে যেন বলিল—“ভয় নাই ।” এই কথা শুনিয়া গঙ্গামণি আবার চক্ষুরুন্মীলন করিল। ছদ্মবেশী গদাধর তখন ধীরে ধীরে মাথা কাপাইয়া কাপাইয়া বলিল—“ভয় নাই । আমি--মা—কালীর—ডাকিনী । ভয়—নাক্ট । ” শয়নের পূর্বের প্রার্থনা তখন গঙ্গামণির মনে পড়িল । মনে পড়িল সে বলিয়াছিল, মা, হয় আমায় উদ্ধার কর নয় ত তোমার ডাকিনী যোগিনী কেহ আসিয়া আমায় মারিয়া ফেলুক । তাই গঙ্গামণি কাপিতে কঁাপিতে উঠিয়া বসিল । হাত জোড় করিয়া, কম্পিতস্বরে বলিল—“মা, আমায় মেরে ফেলো না ।” এই কথা শুনিয়া ডাকিনী খল খল করিয়া হাসিয়া উঠিল । বলিল-- “ভয় নাই—আমি তোকে মারব না । কাল মা কালীর পূজো । আজ রাত্রে তিনি কৈলাস থেকে পুথিবীতে এসেছেন । মা আমায় জিজ্ঞাসা করতে পাঠালেন—তুষ্ট কঁদিস কেন ? তোর কান্নায় মার আসন টলেছে । বল তুষ্ট কাদিস কেন ?” সেই রূপ হাতজোড় তা বস্তায় গঙ্গামণি ললিতে লাগিল— “মা, আমি গরীব গৃহস্তের ঘরের বিধবা । আমাকে এরা ধরে এনে এখানে বন্ধ কবে রেখেছে ।” “কে বন্ধ করে রেখেছে ?” “বকুলগঞ্জের মেঝ বাৰু।” “বকুলগঞ্জের মেঝ বাবু মা কালীর পরম ভক্ত । অনেক মদ—অনেক মাংস দিয়ে ফি বছর মার পূজে| দেয়। আমি তোকে ছেড়ে দিতে পারি। কিন্তু তুই এক প্রতিজ্ঞা কর ।” মুক্তির আশ্বাসে গঙ্গামণির ভয় দুবে গেল। যুক্ত করে সে বলিল—“কি প্রতিজ্ঞ, মা ?” “তুই যত দিন বেঁচে থাকবি-কখনও কারুর কাছে বকুলগঞ্জের মেঝবাবুর নাম করবিনে ৷” গঙ্গামণি বলিল—“প্রতিজ্ঞা করছি— কারু কাছে নাম করব না ।” “যদি নাম করিস তবে আমি এসে এই ত্ৰিশূল তোর বুকে বিধে দেব ।”