পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

so o 2 বাসী—কাৰ্ত্তিক, > ○>● “Gleam by gleam The glory dropped from their youth and love, And both perceived they had loeamed a dream.” যাহাতে এই স্বপ্নভঙ্গ না ঘটে এবং যাহাতে তাতাদের বিগলিত যৌবনের যুতি অক্ষুণ্ণ থাকে এই উদ্দেশ্যে ডিউক নিজের পূর্ণমূৰ্ত্তি এবং মহিলা কেবলমাত্র নিজের বদনমণ্ডল ভাস্করদ্বারা গঠন করাষ্টলেন । অতীত যৌবনে যে প্রকারে ডিউক এবং মহিলা পরস্পরের প্রতি আবদ্ধদৃষ্টি হইয়৷ অবস্থান করিতেন পাষাণমূর্তিতে অবিকল সেই ভাব রক্ষিত হক্টয়াছিল । মানবজীবনের চিস্তাতেও টেনিসনে এবং ব্রাউনিংএ অনেক পার্থক্য । টেনিসনের মতে দীর্ঘকাল স্থায়ী আত্মংযমের দ্বারাষ্ট জীবনের নৈতিক উদ্দেশ্য নিরূপিত হয়— প্রবৃত্তি এবং বাসনার বিরুদ্ধে বিবেকের পক্ষাবলম্বনে সংগ্রাম করিতে করিতে যখন আমরা জয়লাভ করি তখন আমাদের জীবনের চরম মুহূৰ্ত্ত। কিন্তু বাউনিং মনে করেন তাহা নহে । তিনি বলেন যখন অকস্মাৎ প্রেমের আলোকে বহুবৎসরের উপেক্ষিত ভাবসমূহ আমাদেব মনে প্রকটিত হয় অথবা যখন আমরা জীবন্ত আবেগজনিত অস্তদৃষ্টির উপর নির্ভর করিয়া জীবনের গতিপরিবর্তনকারী কোনো উদার উদ্দেশ্য দ্বারা অনুপ্রাণিত হইয়া কার্য্যে প্রবৃত্ত হই তখনই আমাদের শ্রেষ্ঠ মুহূৰ্ত্ত। কারণ সমগ্রজীবনের শ্রেষ্ঠ ভাবসমূহ এবং মহান আদর্শসকল উক্ত মুহূর্তে সুহ্মভাবে নিহিত থাকে । ব্রাউনিং সম্বন্ধে অন্তান্ত কথা বারাস্তরে লিখিব । শ্ৰীগোপীনাথ কবিরাজ । মনের দাগ ( , ) ংবাদপত্রে অজীর্ণরোগের ঔষধগুলির বিজ্ঞাপন যখন সব একে একে পরীক্ষা করিয়া হায়ৱান হষ্টয়া পড়িলাম তখন একবার চেঞ্জে যাইব মনস্থ করিলাম। মধুপুর যাওয়াটাই প্রথমে স্থির করিয়াছিলাম। ইতিমধ্যে এটোয়৷ হইতে অনুকূলের এক পত্র আসিয়া উপস্থিত হইল । [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড অমুকুল লিথিয়াছে—“আমি এটোয় থাকিতে তুমি ‘চেঞ্জের’ জন্য আর কোথাও গেলে অতিশয় দুঃখিত হইল। এখানকার জল তাওয়া খুব ভাল, তুমি আসিলে তোমার তো নিশ্চয়ই উপকার চক্টবে, সেই সঙ্গে আমারও প্রবাসেব কয়েকটা দিন একটু মুখে কাটিবে। এখানে বাঙালীর মুখ দেখিতে পাওয়া যায় না—শুধু পাগড়ী আর লাঙ্গাঙ্গা* - প্রাণ অস্তিব হইয়া উঠিয়াছে । আর একটী বাঙালী আছেন বটে কিন্তু তার দেখা পাওয়া দুষ্কর—ঘবে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ! বুলিতে কি, আমি ও বন্ধুছাড়া হইয় দিন দিন স্ত্রৈণ হইয়া পড়িতেছি। এ সময় তুমি আসিলে শুধরাষ্টয়া যাইতে পারি—এথনো রোগ ‘ক্রনিক” হইয়া দাড়ায় নাই । “আমার ছোটবোন প্রিয়বালাটি বড় হইয়া উঠিতেছে। তার জন্ত একটি সম্বন্ধ দেপিতে পার ? –তোমার বন্ধুবান্ধবের মধ্যে কাচার ও যদি চিরকুমারব্রত ভঙ্গ হইবার সময় উপস্থিত হইয়া থাকে বোধ কর, তা’ হ’লে তাঙ্গর ব্রতট যা’তে এই এটোয়াতে ভঙ্গ করাষ্টতে পাব তার চেষ্টা দেখিও । কলে আসিতেছ ?—দেরী করিয়ো না ।” অতঃপর এটোয় যাওয়াই স্থির চইল । ডিপুটি হুইলেও আমি থার্ড ক্লাশে ট্যাভল করিয়া থাকি। এ বিষয়ে ‘গ্ন্যাডষ্টোন আমার আদর্শ, -কিন্তু সত্য কহিতে হইলে, উদ্দেশ্যটা বায় সংক্ষেপ। কথাটা আজ এষ্ট নূতন প্রকাশ করিলাম । এক্ট আমার প্রথম পশ্চিমযাত্রা । যথারীতি সাহেব সাজিয়া ‘ষ্টার্ট করিলাম । শুনা ছিল হাট-কোট দেখিলে ‘খোট্টা’র ভিড় সরিয়া যায়—এবং প্ররূতই তাই ! আমাকে দেখিয়া হিন্দুস্তানীর দল জড়সড় হইয়া বসিল । কেবল একটা লোক—চেহারাটা তার অতি বদখৎ—দুষমনের মত বা গালে লোমযুক্ত একটা মস্ত জড় ল—সে আমায় দেখিয়৷ বলিল—“সাবলোক তো চিয়া কাছে ?” লোকটাব কথাবার্তায় বুঝিলাম সে অনেক দিন কলিকাতায় কাটাইয়াছে । তার উপর কেমন ভারি রাগ হইতে লাগিল, ভাবিলাম— কুষমনটা নামিয়া গেলে বাচি । কিন্তু সে যেরূপ পরিপাটী আয়োজন করিয়া, শয়ন করিয়াছিল তাঙ্গতে যে শীঘ্র তার নামিবার সম্ভাবনা আছে ন হিন্দুস্থানী স্ত্রীলোকের স্বাগরা বিশেষ ।