পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা | -ي...مه-عهه.مsهم۴میايي ۰همم...مه •– په রাসায়নিক পরীক্ষা ঃ প্রথম নমুনা। চট্টগ্রামের কোন কবিরাজ মহাশয়ের প্রদত্ত। দেখিতে কালবর্ণের নরম পদার্থ। জলে দ্রবণীয় অংশে uসাহাগ ও লবণ পাওয়া যায় । আসল দ্রব্য কপার wontëve (black copper oxide) fašis wool one জৈব পদার্থ অদগ্ধ অবস্থায় রচিয়াছে। মূষায় উত্তপ্ত করিলে জৈব পদার্থ পুড়িতেছে দেখিতে পাওয়া যায়। এই কপার অক্সাইড প্রস্তুত করিবার জন্ত আশা করি এখন হইতে বিড়াল ও কপোতের বিষ্ঠার শরণ লইবার প্রয়োজন হইবে না । আধুনিক রসায়নশস্ত্র পাঠ করিলে কপার অক্সাইড প্রস্তুত করিবার সহজ উপায় যে কেহ জানিতে পারিবেন । দ্বিতায় নমুনা পূর্বোক্ত অবিকৃত তুতে । মতান্তরে তুতে শোধন । তুতে শোধন করিবার আর একটি প্রক্রিয় পর্ণিত আছে। “ অৰ্দ্ধেক পরিমিত গন্ধক সহ তুতে মৰ্দ্দন পুৰ্ব্বক অৰ্দ্ধ প্রহর পর্য্যস্ত পুটপাক করিলে । অর্থাৎ যতক্ষণ উহার বান্তি ও ভ্রান্তি দোষ দূরীভূত না হয় ততক্ষণ পর্য্যন্ত পুটপাক করিবে ।”* এই গন্ধকেব সহিত অনেকক্ষণ তুতেকে পুটপাক করিলে **iin HIFFtēE \copper sulphide) zivgrē sēta i তুতে জলে দ্রবণীয় কিন্তু কপার অক্সাইড ও সালফাইড় জলে আদেী দ্রবণীয় নচে । শেষোক্ত দ্রব্য দুষ্টটি তুতের মত বমিকারক নহে । তাম্রভম্মও কপার সালফাইড়— পরে প্রকাশু । ests, 3 of (Inorganic acids) ভারতবর্ষে অজৈব (inorganic) অন্নবর্গ পুরাকালে আবিষ্কৃত হইয়াছিল কি না সে বিষয়ে এখনও অনুসন্ধান চলিতেছে। অনুসন্ধানফলে যতটুকু জানা গিয়াছে তাহ এখানে লিপিবদ্ধ করা চইল । মুশ্রুত যে অল্পবর্গের তালিকা দিয়াছেন তাহাতে অম্লরণ-সংযুক্ত ফলাদির রসের নাম যথা—আম্রাতক ( আমড়া ), কুল, তেঁতুল, ভব্য ( চালতা ), জম্বীর ইত্যাদি এবং দধি, তক্র, স্বরা, তুষোদক এবং ধান্তাম্নের উল্লেখ আছে । কোন অজৈব অম্নের উল্লেখ নাই। রসার্ণব

  • রসেলসার-সংগ্ৰহ----৩৯ * |

আয়ুৰ্ব্বেদ ও আধুনিক রসায়ন নামক গ্রন্থেও এই দুষ্ট অল্পের উল্লেখ আছে । ঐ গ্রন্থে نے ھٹ (ث নামক গ্রন্থে আমরা সৰ্ব্বপ্রথম অজৈব অমের সন্ধান পাই । ঐ গ্রন্থখানি অধ্যাপক রায় মহাশয় দ্বাদশ শতাব্দীতে লিখিত বলিয়া অকুমান করিয়াছেন । এই গ্রন্থে সৌরাষ্ট্রী ( ফট্‌কিরি ) চোয়াইয়া তাঙ্গর সত্ব বাকির করিবার ব্যবস্থা আছে । * ফট্‌কিরিকে চোয়াইলে জলমিশ্রিত সালফিউরিক অ্যাসিড় (sulphuric acid) প্রস্তুত হইয়া থাকে। আরও ঐ গ্রন্থে “বিড়” নামক আরও একটি দ্রব্যের প্রস্তুতপ্রণালী বর্ণিত আছে—ইহা প্রস্তুত করিবার জন্ত অন্তান্ত দ্রব্যের সংযোগে কাপীস ( হিরাকস ) সৈন্ধব এবং সোরা এই তিন দ্রব্য উত্তপ্ত করিয়া তাহদের সত্ত্ব বাহির করিবার ব্যবস্থা আছে । এইরূপে যে দ্রব পদার্থ পাওয়া যাইবে তাহা “সৰ্ব্বজারণঃ” অর্থাৎ সকল দ্রব্যই দ্রবীভূত করিতে সমর্থ হইবে রাসায়নিক বুঝিতে পারিয়াছেন যে এই দ্রব পদার্থে জলমিশ্রিত নাইট্রো(Nefoilsbø estfig (nitro-muriatic acid) org's হইয়াছে। হিরাকসকে উত্তপ্ত করাতে সালফিউরিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয় এবং উচ্চ সৈন্ধব ও সোরার সঙ্কিত সংযুক্ত হইয়া যথাক্রমে হাইড্রোক্লোরিক আসিড (hydrochloric acid) 9żis নাইটিক *stfig (nitric acid) প্রস্তুত করে । নাইট্রো-মিউরিয়াটিক অ্যাসিড উপরোক্ত ঐ দুষ্টটি অ্যা সডের সংমিশ্রণ। ঐ অ্যাসিডের “সৰ্ব্বজারণঃ” নাম বেশ ਚੋਂ হইয়াছে । স্বর্ণ ঐ অ্যাসিড ভিন্ন অন্ত সাধারণ কোন অ্যাসিডে দ্রীভূত হয় না, সেই জম্ভ ংরাজিতে ঐ অ্যাসিডকে aqua regia ( অর্থাৎ “জলের রাজা” ) বলা হইয় থাকে । উহাকে এখন কষ্টতে বাঙ্গালা ভাষায় “সৰ্ব্বজারণঃ” বুলিলে প্রাচীন গবেষণার স্মৃতির মান রক্ষা করা ত চপে । অতএব রসার্ণল হইতে আমরা জানিতে পারিতেছি যে দ্বাদশ শতাব্দীতে সালফিউরিক এবং নাইট্রো-মিউরিয়াটিকৃ অ্যাসিড ভারতে আবিষ্কৃত হইয়াছিল। রসরত্নসমুচ্চয়

  • গোপিত্তেন শত বারীন সরাষ্ট্রং ভাবরেং ততঃ।

ঘমিত্ব। পাতয়েৎ সত্বং ক্রামণং চাতিগুহ্যকম্ ॥ রসাগৰ, ৭—৭৩ ও ৭৪ + কালীসং সৈন্ধবং মাক্ষী সৌৰাঁরং বোধগন্ধকম্। সৌধর্চলং ব্যোঘক চ মালতীরসসংভবঃ ॥ শিগুমুলৱলৈ সিক্তে ৰিড়োহয়ং সৰ্ব্বজারণঃ । রসার্গব,৯—২ ও ৩