পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిసెషి চিরাকসকেও ফটকিরিব মত চোয়াষ্টয়া তাতার সত্ত্ব বাহির করিবাধ বাবস্থা আছে । * তীর কসকে চোয়াইলেও সালফিউরিক অ্যাসিড প্রস্তুত হয় । অধ্যাপক রায় মহাশয় এই গ্ৰন্থকে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে লিখিত বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। পূৰ্ব্বেষ্ট বলা হইয়াছে যে নাইট্রো মিউরিয়াটিক অ্যাসিড, দুইটি অ্যাসিডের সংমিশ্রণে উৎপন্ন হয়, কিন্তু ঐ অ্যাসিডের পৃথক ভাবে প্রস্তুতপ্রণালীর আয়ুৰ্ব্বেদে কোথাও উল্লেখ আছে বলিয়া বোধ হইল না । কি পরবর্তীকালের রসপ্রদীপ, গোবিন্দদাসের ভৈষজ্যরত্নাবলী প্রভৃতি গ্রন্থে মহাদ্রাবক বস, শঙ্খ দ্রাবক রস প্রভৃতি যে সকল দ্রাবকের (solvent) উল্লেখ আছে তাহাতে ঐ নাইট্রো-মিউরিয়াটিক অ্যাসিডষ্ট উৎপন্ন হষ্টয়া থাকে । লিথিত আউন-ষ্ট আকবরী নামক গ্রন্থে স্বর্ণ হইতে রৌপ্য পৃথক করিবার “রসী” নামক দ্রব্যের উল্লেখ আছে। এই “রসী” এক প্রকার নাইটিক অ্যাসিড হইতে পারে । গ্লাডউইন সাঙ্গেব (Gladwin) কৃত আইন-ই আকবরীর ইংরাজী অনুবাদে লিখিত হইয়াছে—“Ressy عمده محمد ه ۰-۰ - ۰ مهم == - - ^--_ .a*میے ہمہ ----تر এমন তবে আকবরের রাজত্বকালে আবুল ফজলের জচ্যু is a kind of aqua fortis (nitric acid) madc from soap-ashes and saltpetre earth.”f ডাক্তার ওসানেউসী বলিয়াছেন যে “সোরা কি তেজাব” (nitric acid), or “so fo wro" (sulphuric acid) প্রস্তুত করিতে হিন্দুধ অনেক দিন হইতে জানিতেন ; ডাক্তাব এনসলি (Ainstie) লিখিয়াছেন যে মান্দ্রীজ অঞ্চলে তামিল বৈদ্যগণ সোর ও গন্ধক উত্তপ্ত করিয়া সালফিউরিক আসিড প্রস্তুত করিতে জানিতেন । ইউরোপে সুপ্রসিদ্ধ আরব রাসায়নিক গেবার (Geber) এই সকল অজৈব অম্লের আবিষ্কর্তা বলিয়৷ প্রসিদ্ধ । সম্প্রতি বিখ্যাত ফরাসী রাসায়নিক বার্থেলে৷ সাহেব ( Berthelot) সপ্রমাণ করিয়াছেন যে এই গেবারের নামে প্রচলিত ল্যাটিন ভাষায় লিখিত অধিকাংশ গ্রন্থষ্ট

  • "তুৰীসত্বৰৎ সত্বমেতস্তাপি ( কাসার্সসা ) সমাহরেৎ ।” রসরত্ন

, రి, 48 | + Gladwin's Ain-Akbery, Vol. I, P. 17. # O'Shaughnessy’s “Manual of Chemistry”, and IoI. °. 50 প্রবাসী—পৌষ, ১৩১৭ । ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড ত্রয়োদশ শতাব্দীর কোন লেখকের দ্বারা লিখিত এবং সুপ্রসিদ্ধ গেবারের নামে প্রচলিত । এষ্ট সিদ্ধান্ত যদি সত্য হয় তাহা হইলে আমরা দেখিতে পাষ্ট যে ইউরোপে আবিষ্কার ভারতের সহিত প্রায় বিশেষত্বের মধ্যে এই যে নাইটিক ও নাইট্রো অজৈল অম্নবর্গেব সমকালেষ্ট হইয়াছিল । গেবাবের গ্রন্থনিচয়ে সালফিউরিক, মিউরিয়াটিক এই তিনটি অমের প্রস্তুতপ্রণালী সুচিত হইয়াছে। গেবারের পরে বেসিল ভেলেণ্টাইন (Basil Valentine) নামক ষোড়শ বা সপ্তদশ শতাব্দীর একজন সন্ন্যাসী এক্ট সকল অম্ল বিশুদ্ধ অবস্থায় প্রস্তুত করিয়াছিলেন। তিনি লবণ ও সালফিউরিক অ্যাসিডের সংযোগে হাইড়োক্লোরিক অ্যাসিডও প্রস্তুত করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন । ইঙ্গাদেব আপিস্কৃত প্রস্তুহু প্রণালী ভারতে আবিষ্কৃত প্রণালী হষ্টতে বিভিন্ন নহে । ইতারা চিবাকস চোয়াইয়। সালফিউবিক অ্যাসিড, এবং চিরাকস নিশাদল ও সোরা চোয়াইয়া নাটটাে-মিউরিয়াটিক অ্যাসিড প্রস্তুত করিয়াছিলেন । আয়ুৰ্ব্বেদে আজকাল কেবল নাইটো-মিটরিয়াটিক অ্যাসিডষ্ট বালন্সত হৃষ্টয় থাকে। শঙ্খদালক, মঙ্গন্দ্রাবক, মঙ্গাশঙ্খ দ্রাবক প্রভৃতি ঔষধেব যেরূপ প্রস্তুতপ্রণালী বর্ণিত আছে, তাচার সকলটিতেই পুৰ্ব্বোক্ত অ্যাসিডটিষ্ট প্রস্তুত হয় । স্থানাভাবে সকলগুলির প্রস্তুত প্রণালী বর্ণিত হইল না । অন্ত নানা অবাস্তব ও নিতান্ত অপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সহিত চিরাকস ( অথবা ফটকিরি ), সোরা এবং লবণকে ( অথবা নিশাদল ) লারুণ যন্ত্রে চোয়াইয়া সকল দ্রাবকগুলিই প্রস্তুত হইয়াছে। আমি শঙ্খ দ্রাবক ও মহাশঙ্খ দ্রাবক এই দুইটি দ্রাবক পরীক্ষা করিয়াছিলাম। দুইটিতেই হাইড্রোক্লোরিক ও নাইটিক অ্যাসিড (অর্থাৎ নাইটো-মিউরিয়াটিক অ্যাসিড ) ভিন্ন কিছু পাওয়া যায় নাই । এখানে আমার নিবেদন এই যে এই দ্রাবকগুলির প্রস্তুত প্রণালী এখন ইতিহাস বা প্রাচীন তত্ত্বালোচনের সামগ্রী হওয়া উচিত। আয়ুৰ্ব্বেদোক্ত ঐ সকল প্রণালী যে সময়ে আবিষ্কৃত হইয়াছিল সেই সময়েই শোভনীয় ছিল, এখন উহাদিগকে আয়ুৰ্ব্বেদ হইতে বিদায় দিবার সময়