পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“ সত্যম শিবম সুন্দরম ৷ ” “ নায়মাত্মা বলহীনেন লভ্যঃ ১০ম ভাগ 있했 취한 মাঘ, ১৩১৭ | ৪র্থ সংখ্যা বাঙ্গালীর ভাষা ও সাহিত্য ৫ Iখন এই মহাসভার নেতা হইবার জন্ত অনুরোধ পত্র পাই, তখন প্রথমে ভাবি যে অসন্মত হইব, কারণ সাহিত্যজগতে পণ্ডিতের চেয়ে লেখক বড়, পরিশ্রমেয় চেয়ে প্রতিভার আসন উচ্চে ; নিজের জন্ত জ্ঞান অর্জন অপেক্ষ পরের জন্ত, ভবিষ্যৎ যুগের জন্ত, জগতের জন্য জ্ঞানের স্বষ্টি ও জ্ঞানের বিস্তার মহত্তর কার্য্য। যে ক্ষণজন্ম মহাপুরুষ গহার প্রতিভাবলে মানবহৃদয়ের নিভৃত কক্ষ আলোকিত, উদঘাটিত করেন, যে সব সাহিত্য-সেবক মাতৃভাষার উপাসনায় ব্ৰতী হইয়া আজীবন নিজ পরিশ্রমে প্রস্তুত ও সংগৃহীত রত্বরাজি তাছার চরণে উপহার দিতেছেন, ঠাহীদের কাছে সমাজ অধিক উপকার পায়, তাহারাই উচ্চতম সম্মানের যোগ্য । ඥා তবে কেন এ আসন গ্রহণ করিলাম ? প্রথম কারণ Iাতৃভূমির আহবান। যে প্রদেশে আমার জন্ম, যাহার জলiায়ুতে আমার শরীর বর্জিত, যেখানে জীবনপ্রভাতের ক্ষুগণকে লাভ করি, যাহার প্রাদেশিক স্বর ভুলিতে না tারায় কলিকাতায় পড়িবার সময় “বাঙ্গাল” বলিয়া গণ্য ইতাম, সে প্রদেশের আহবান প্রত্যাখ্যান করিতে পারি । এ সম্মিলনের অধ্যক্ষগণ যদি বিবেচনা করেন যে আমার সভাপতিত্বে এই প্রদেশের কোন উপকার হইবে,

  • यांनाइ नांहिष्ठा-मन्ब्रिजटबब्र, जलांगडिब्र बछिछांद१, २४4 cगोष ঠিত।

তবে এ আসন গ্রহণ করা আমার কর্তব্য কৰ্ম্ম ; ইহা অস্বীকার করার অধিকার আমার নাই । এখন যদি আমার অনভিজ্ঞতার জন্ত এ সভার কাৰ্য্যে ক্রটি হয়, তাহার জন্য আপনারাই দায়ী, কারণ আপনাদেরই আহবান,— আহবান নহে, আজ্ঞা—আমাকে এখানে অনিয়াছে। আর এক কারণ এই যে, সম্মিলনের প্রকৃত কাৰ্য্য সাহিত্য-স্বজন নহে, সাহিত্যের পরিচালনা, জ্ঞান বিস্তারের আয়োজন, এবং সাহিত্যক্ষেত্রে সমবেত চেষ্টার গ্রন্থিবন্ধন । ভিন্ন ভিন্ন দেশের সাহিত্যের জ্ঞান এবং জগতের ইতিহাসের অভিজ্ঞতা আমার যেটুকু আছে, তাহা এই কার্য্যের সহায়তা করিলেও করিতে পারে। বঙ্গসাহিত্যের একটু বাহিরে দাড়াইয়া থাকিয়া আমি যে সমালোচনা ও উপদেশ প্রয়োগ করিতে পারিব, তাহ আমার যে সব বন্ধুগণ এই সাহিত্যে ডুবিয়া আছেন তাহদের পক্ষে নুতন এবং ভয়ত মূল্যবানও হইতে পারে। যাহারা বাঙ্গলাকে নিজের দেশ করিয়াছেন, র্যাহারা ‘বাঙ্গলার মাটি বাঙ্গলার জল হইতেই শক্তি সঞ্চয় করেন, এই "সুজলা সুফলা শস্তহামলা’ দেশ ভিন্ন র্যাকার অনন্তমাতৃক, এদেশ ভিন্ন যাহাদের অন্যত্র গতি নাই,-ৰ্তাহারাই বাঙ্গালী, আর তাহাদের ভাষাই বাঙ্গলা । জাতি বা ধৰ্ম্মের উপর ভাষা নির্ভর করে না । এক পক্ষে এই ভাষা বাঙ্গালীর কৃষ্টি, অপর পক্ষে ইহা বাঙ্গালীর অস্তরের পোষক, —বাঙ্গালীর বিশেষগুণ, অন্তরতম ভাব, চিস্তা, তেজ, এক কথায় বাঙ্গালীর বাঙ্গালীত্ব—শুধু এই বঙ্গসাহিত্যের ভিতর