পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o R ۰** م.، ۰۰۰ - ۰.۰۰۰ - ۰ مه...می - ع - প্রবাসী—মাঘ, ১৩১৭ AASAASAASAASAASAASAASAAAS { ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড DD BBB BB S BB BB BBBS BBS BBS BBB BBB S BBB BB BB BBBS BB TBkkS এলাহাবাদ, নাগপুর, লাহোর, এমন কি সুদূর কোয়েট প্রবাসী বাঙ্গালীর বাঙ্গালীষ্ট রহিয়াছেন। বরং গত বৎসরের মধ্যে রেল বিস্তারে এবং শিক্ষিত সমাজে বঙ্গসাহিত্যের আদর ও চর্চা বাড়িয়া যাওয়ায় তাহারা বাঙ্গলার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সংলগ্ন হইয়াছেন ; তাহাদের দেহ প্রবাস করিতেছে, কিন্তু হৃদয় যেন বঙ্গদেশে রহিয়াছে। এই সব উপনিবেশগুলি বাঙ্গালীর চিন্তা ও প্রভাব ভারতময় বিস্তার করিতেছে, কিন্তু বঙ্গমাতা তাহাকে চারান নাই । আর ভারতীয় যে সব জাতির সাহিত্য নাই, তাঙ্কার অপর প্রদেশে কয়েক পুরুষ, এমন কি কয়েক বৎসর থাকিলেই নিজ ভাষা ভুলিয়া গিয়া স্থানীয় ভাষা শিথিয়া, একেবারে সেই প্রদেশের লোক হইয়া যায় । তাঙ্গাদেব জাতিগত বিশেষত্ব লোপ পায়, এবং সেই প্রবাসভূমি বৈচিত্র্য লাভ করিতে পারে না । বাঙ্গল সাহিত্য প্রবাসী বাঙ্গালীকে এই রূপান্তর হইতে বঁাচাইয়াছে। আর আমাদের মা তাহার উদার বক্ষে অনেক দুরাগত ভাগিনেয়কে স্থান দিয়া একেবারে আপনার ছেলে করিয়া লইয়াছেন । এই সব বাঙ্গলা লেখককে পরদেশী বলিয়া কে চিনিতে পারে ? দোলে মহারাজ দাৰ্জিলিঙ্গের বর্ণন হিন্দীতে লেখেন নাই, বাঙ্গলায় লিথিয়াছেন। আমাদের আদরের অনেক পাড়ে ও মিশ্র সাহিত্যিক মহাশয়দিগকে “ এ পাণ্ডে’ কিম্বা “মিছির হো’ বলিয়া ডাকিলে তাহার। নিশ্চয়ই অপমানিত বোধ করিবেন, কারণ তাহার। পুরো বাঙ্গালী হইয়া গিয়াছেন। আর গণেশপুত্ৰ সখারামের বাঙ্গল লেখা পড়িলে তিনি যে দেউস্ নগর হইতে আসিয়াছেন তাহা বিশ্বাস করিতে বড়ষ্ট কল্পনার সাহায্য লইতে হয় । তেওয়ারিজি যে কতকাল হইল টিকি কাটিয়া ত্রিবেদী নাম লইয়া বাঙ্গালীদের মধ্যে গা ঢাকা দিয়াছেন তাহ ইতিহাসের একটা লুপ্ত তত্ত্ব । বঙ্গভাষা যখন এত উদার, এত প্রভাবান্বিত, এত বৰ্দ্ধনশীল, তখন র্যাহার যুগযুগান্তর ধরিয়া বাঙ্গলার অধিবাসী, বাঙ্গলার ভাত ও মাছে পুষ্ট দেহ, এরূপ একটি সম্প্রদায়ের কয়েকজন নেতা যে বাঙ্গলা ভাষা ত্যাগ করিবার জন্ত এক নুতন চেষ্টা আরম্ভ করিয়াছেন, তাহা কি মুফল কার্য্যে পরিণত করা সম্ভব কিনা তাহাই দেখা যাউক । ভাষার উৎপত্তি ও গতি কিরূপ তাঙ্গ ইতিহাস হইতে জানা যায়। থাল কাটিতে হইলে ইঞ্জিনিয়ার ডাকিতে হয় ; কিন্তু নদীর জন্ত ইঞ্জিনিয়ারের দরকার নাই, সে নিজেই নিজের পথ করিয়া চলে। সেই মত ভাষাও প্রকৃতি দেবীর অজ্ঞাত পথ-প্রদর্শনে অগ্রসর হয় । আমরা নিত্য জীবনের কথা হইতে, আশপাশের লোকের আলাপ হইতে ভাষা, শিখি। জোর করিয়া এক ভাষার জায়গায় আর এক ভাষা চালান যায় না। কারণ মনে রাখিবেন ব্যাকরণেষ্ট ভাষার বিশেষত্ব, বাক্যাবলীতে নহে । যেমন, বাঙ্গল ব্যাকরণ অনুযায়ী কৰ্ত্ত ক্রিয়া প্রভৃতি দিয়া একটি পদ রচনা করিয়া সেই পদে লেীছ বক্সের বদলে ‘রেলওয়ে’ শব্দ ব্যবহার করিলে পদটি বাঙ্গলাই থাকিবে, ইংরাজী হইবে না। বিদেশীয় ভাষা হক্টতে অসংখ্য শব্দ লইয়। তাছা যদি নিজের করিয়া জনসমাজে দৈনিক ব্যবহারে প্রচলিত করা যায়, তবে তাহাতে ভাষার বিশেষত্বের কিছু হানি হয় না। যেমন দাবী থেলার প্রণালী যতক্ষণ এক থাকে, ততক্ষণ আপনি দিশী বোড়ে রাজা উজীর কিস্তী গজ ব্যবহার করুন আর ইংরাজী বোড়ে রাজা রাণী দুর্গ বিশপ, লষ্টয়াই খেলুন, ফলে কিছুমাত্র তফাৎ হইবে না। তেমনি বাঙ্গলায় অনেক ফারসী ও আরবী শব্দ ব্যবহার করিলেও ভাষাটি উর্দু, ইষ্টবে না। একেবারে এক নূতন ব্যাকরণ এবং নুতন শব্দাবলী প্রচলিত করিতে পারিলে তবে উর্দকে বাঙ্গালার মুসলমান সম্প্রদায়ের ভাষা করা সম্ভব । সমস্ত বাঙ্গালীর প্রকৃতি-অনুমোদিত ভাষা বাঙ্গলা ; এটা তাহীদের নিজস্ব জিনিষ, মাছের বাচ্চার সাভার শেখার মত অনায়াসলন্ধ । যে কোন ধৰ্ম্মের বাঙ্গালীষ্ট হউন না কেন, বঙ্গভাষাকে ত্যাগ করিতে গেলে তাহাকে স্বভাবের বিরুদ্ধে প্রত্যহ যুদ্ধ করিতে হুইবে, স্রোতের বিপক্ষে অনবরত সাতরাইতে হইবে । জনসাধারণের নিত্য ব্যবচারের ভাষার কথা হইল এষ্ট । সাহিত্যের ভাষার নিয়মও ভিন্ন নহে। একদিকে পণ্ডিতেরা বাঙ্গলাকে বিভক্তিহীন সংস্কৃত করিয়া তুলিতে চান, যেন তাহাতে অমরকোষের বাহিরের কোন কথাই