পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

દર્જ সংখ্য। ]

  • .. مو..۔*** . . .۔ *=..۔***

কোচোয়ানকে বুঝাইবার জন্য যেমন হিঙ্গি বলি, শুধু সেই ধরণের কথা শিখিলে ভাষা শিক্ষা হয় না, সাহিত্যচর্চা সম্ভবে না। সাহিত্যে সূক্ষ্ম কোমল বিচিত্র ভালগুলি প্রকাশ করিবার জন্ত অনেক কথার আবশুক, যথাস্থানে ঠিক কথাটী দিতে হইবে, নহিলে কাব্যের জাদুমন্ত্র নষ্ট হইল, কাব্য আর কাব্য রছিল না, দোকানের খাতাপত্রে পরিণত হইল ; তাহার রস ও শিক্ষাশক্তি একসঙ্গে লোপ পাইল । সাহিত্যের উপযোগী উর্দু, খুব কম বাঙ্গালী মুসলমানই শিথিয়াছেন, এবং আরও কম লোকে লিখিতে পারেন । ঠিক এই কারণে ভারতীয় ফারসী পষ্ঠ সাহিত্য নিজীব অসার পরদেশ গাছের মত শুকাষ্টয়া গিয়াছে । সহস্রাধিক ভারতবাসী ফারসী পষ্ঠ লিখিয়া থাকিবেন, কিন্তু তাছাদের মধ্যে কেবল দুজনের নাম কিছু বিখ্যাত হইয়াছে,—আমির থসন্ধ এবং ফৈজী ; এবং এ দুজনও পারস্তের তৃতীয় শ্রেণীর কবিদের মধ্যে আসন পান। সেই মত কোন বাঙ্গালী মুসলমান মূল্যবান উর্দু,গ্ৰন্থ রচনা করেন নাই । ফলতঃ বাঙ্গলা সব বাঙ্গালীর স্বাভাবিক ভাষা, বাঙ্গলা না বলতে পারিলে আমাদের প্রাণের সুখ হয় না । রোহিলথন্দের রাজধানীতে একজন ঢাকার মুসলমান যুবক আরবী পড়িতে গিয়াছিল । নগরের পথে বেড়াইতে বেড়াইতে সে একদিন তথাকার একমাত্র বাঙ্গালী কৰ্ম্মচারী বিদ্যুতের ইঞ্জিনিয়ার দেবেন বাবুকে দেখিয়া বলে “আপনার সঙ্গে একটু বাঙ্গল কথা কয়ে বাচি!” আবার, কলিকাতা হইতে একজন বাঙ্গালী মুসলমান শিক্ষক পাটনার ট্রেনিং কলেজে উর্দুতে শিক্ষাপ্রণালী শিখিতে যান, এবং সেখানকার ছাত্রাবাসে থাকিয় উর্দ, বলেন, অথচ পথে আমার সঙ্গে দেখা হওয়ায় বাঙ্গলায় আলাপ আরম্ভ না করিয়া থাকিতে পারিলেন না । এইরূপে দেখা যাইতেছে যে বাঙ্গলাই বাঙ্গালী মুসলমানদের ঘরের ভাষা, তবে তাছাকে সাহিত্যের ভাষা করিতে আপত্তি কেন, লজ্জা কেন ? (৫) সাধু বাঙ্গলার চর্চা না করায়, বঙ্গসাহিত্যে যোগ না দেওয়ায়, মুসলমানসমাজের যে আর একটী মহা অনিষ্ট হইতেছে, তাহ উর্দ র মরীচিকা ধরিতে গিয়া র্তাহাদের নেতারা একবারও ভাবেন না । 8 o & .مه- = বাঙ্গল ভাষা বদ্ধিষ্ণু, বাঙ্গলা সাহিত্যের ভাওীর বিচিত্র দেশী বিদেশী রত্বরাজিতে পরিপূর্ণ, নবভাবে অনুপ্রাণিত। এমন সাহিত্য ভাবতের আর কোন অংশে এবং জাপান ভিন্ন এশিয়ার আর কোন দেশে নাই। বাঙ্গলা সাহিত্যের প্রভাব ও দৃষ্টান্ত বাঙ্গল হইতে উচ্ছসিত ইয়৷ পঞ্জাব, গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং দ্রাবিড় পর্য্যস্ত প্লাবিত করিতেছে। বাঙ্গলার মহাগ্রন্থগুলি, এমন কি বাঙ্গলা মাসিক পত্রিকার অনেক প্রবন্ধ ঐ সব প্রদেশের ভাষায় দ্রুত অমুবাদিত হইতেছে। মারাঠা অনুবাদকের বঙ্কিম রমেশ এর মধ্যেই শেষ করিয়া দামোদর ও হরপ্রসাদকে ধরিয়াছেন। মুসলমান ভ্রাতাগণ । আপনাদের ধৰ্ম্ম যাহাই চট্টক না কেন, আপনাদের পূর্বপুরুষগণ যে দেশ হইতেই আসিয়া থাকুন না কেন, এখন আপনার বাঙ্গালী হইয়াছেন। আপনাদের পক্ষে এ চেন বাঙ্গলাভাষা ত্যাগ করিয়া উর্দ ধরিবার চেষ্টা যেন নিজের সোনার বাড়ীতে আগুন লাগাষ্টয়া পরের কুঁড়ে ঘরের এক কোণে অতিথির মত পরদেশীর মত একটু থাকিষার স্থান ভিক্ষা কর । কেহ যেন মনে না করেন যে আমি উর্দ, সাহিত্যকে হেয় জ্ঞান করি। ইহাতে ভদ্রতা, প্রাচ্য সভ্যতা যথেষ্ট প্রতিভাত হইয়াছে। কিন্তু ইটার আদর্শ অতি পুরাতন, বহু শতাব্দী পুর্বের ফারসী কবিগণ । ॐ. পষ্ঠে সেই মোঙ্ক-মুদগর ও শান্তিশতকের ভাব, সেই মধ্য যুগের অবসাদ, নিরাশা, অশ্রু রহিয়াছে । জগৎ অসার, জীবন ক্ষণভঙ্গুর, প্রকৃত জ্ঞানীই উদাসীন—এই ভাব ব্যক্ত হয়। ইউরোপে যে নবভাব উনবিংশ শতাব্দীতে প্রবাচিত হইয়াছে, যাহাতে নব নব ক্ষেত্রে নবতেজে উদ্দীপ্ত হক্টর ইউরোপীয়গণ আজ জগতের আকৃতি ফিরাষ্টয়া দিতেছে, সেই ভাবের স্রোত শুধু বঙ্গসাহিত্যেই প্রবেশ করিয়াছে। ইউরোপে যাহা গেটে শিখাইয়াছেন, এশিয়াখণ্ডের ভাগ্যবান বঙ্গদেশ তাঙ্গ রবীন্দ্রনাথের নিকট লাভ করিতেছে। নবীন অগ্রসর জাতির মধ্যে গণ্য হইতে হইলে পুরাতনের জড়ত, যুগযুগান্তরব্যাপী নিদ্রার অলসতা, উদাসীন ভাৰ ও নৈরাপ্ত ত্যাগ করিতে হইবে। এই সব নবযুগের সৈনিকগণের জীবন-সংগ্রামে সামরিক গীত শুধু বাঙ্গাল