পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

કર્ણ ૧ થrl ] ASAeSAASAASAASAAeS AeS AAAAAA S AAAAAS AAASASAAAAAS AAAAASماه ۰۰نهه ۰**۰» یا "۰۳ی যুগে দুই একটি অতিকায় অদ্ভুত জন্তু ছাড়া বোধ হয় কোন প্রাণী ভূতলে বিচরণ করিত না । সে সময়ে পৃথিবীতে কেবল উদ্ভিদেরষ্ট রাজত্ব ছিল। গগনস্পশী বড় বড় গাছের পত্রপল্পলের নিবিড় আবরণকে অতিক্রম করিয়া স্বৰ্য্যালোকই বোধ হয় ভাল করিয়া ভূমি স্পর্শ করিতে পারিত না । গাছের মূলদেশ নানা প্রকার শৈবাল ও ফার্ণ জাতীয় উদ্ভিদে আবুত থাকিত। তার উপর আবার তখনকার সেই কোমল মৃত্তিকারাশিকে ভূমিকম্প ইত্যাদিতে ক্রমাগত উচু নীচু করিতে থাকিত। ইঙ্গর ফলে উচু স্থান হষ্টতে জল ও কাদামাটি আসিয়া নীচু স্থানের পচা বৃক্ষলতাগুল্ম ইত্যাদিকে ঢাকিয় ফেলিত। ভূতত্ত্ববিদগণ বলেন, এই মাটি-চাপা উদ্ভিদই কালক্রমে নানা পবিবর্তনের ভিতর দিয়া এখন কয়লার মূৰ্ত্তি পাইরাuছ । পচা উদ্ভিদকে কয়লায় পরিণত করিতে হইল চাপের প্রয়োজন। উপরে যে মৃত্তিক সঞ্চিত কষ্টত তাঙ্গ যথেষ্ট চাপ দিত। তা ছাড়া পচা উদ্ভিদ হইতে যে বাষ্প উৎপন্ন হৃষ্টত, তাঙ্গও বহির্গত হইবার কোন পথ না পাইয়া, চাপের মাত্রা বৃদ্ধি করিতে থাকিত । এখনো কয়লার খনিতে ঐ বাম্পের সন্ধান পাওয়া যায়। আকবিকগণ যখন কয়লাগুলিকে খুড়িয়া মুক্ত বায়ুর সংস্পর্শে আনে, তখন সচ্ছিদ্র কয়লার ফঁাকে ফঁাকে যে বাষ্প আবদ্ধ থাকে তাহা বহির হইতে আরম্ভ হয় । গভীর খনিগুলিতে যে বিষ-বায়ু (Fire damp) দেখা যায়, তাইও সেই অতি প্রাচীনকালের আবদ্ধ বাষ্প ব্যতীত আর কিছুই নয় । ইহা আগুনের সংস্পর্শে আসিবামাত্র হঠাৎ জলিয়া কয়লার খাদে ভাষণ অগ্নিকাণ্ড উপস্থিত করে । সুতরাং দেখা যাইতেছে, বড় বড় কয়লার থলি বড় বড় অরণ্যের গাছপালার জমাট অবস্থা ব্যতীত আর কিছুই নয়। কয়লার যুগ অনাদের আকাশের বায়ু এখনকার মত নিৰ্ম্মল ছিল না । উদ্ভিদের প্রধান খাদ্য অঙ্গারক বায়ুই আকাশে খুব অধিক পরিমাণে থাকিত। কাজেই গাছপালা শীঘ্র শীগ্র বাড়িয়া মরিয়া যাইত, এবং সঙ্গে সঙ্গে তাহদের দেহ পটিয়া কয়লার উৎপত্তির স্বচনা করিত। অতি প্রাচীনকালে যে সকল উদ্ভিদের দেহ দ্বারা কয়লার উৎপত্তি হইয়াছিল, এখন কয়লা পরীক্ষা করিয়া অপর ভারতের কয়ল। AAAAAA AAAAS AAASASAAAAASA SAASAASAA 8> > 3. ASAeMAAASAASAASAASAASAASAAAS তাহাদের জাতিনির্ণয় করা হইতেছে। গলিত লতাপাত বৃক্ষকণ্ডের ছবি কয়লাতেই অঙ্কিত থাকে। ভূতত্ত্ববিদগণ নানা দেশের কয়লার সহিত ভারতের কয়লার তুলনা করিয়া ইহাতে অপেক্ষাকৃত আধুনিককালেব উদ্ভিদের চিকু পাইয়াছেন। মুতরাং বলিতে হয় পৃথিবীর অপর অংশ যখন নিবিড় অরণ্যে আবৃত ছিল, তখন আমাদের দেশটায় কোন কারণে উদ্ভিদ জন্মাষ্টতে পারে নাই । অধ্যাপক ফক্সলি সাহেব বলিয়াছেন, অতি প্রাচীন কালে অন্ততঃ ষাট লক্ষ বৎসর পুথিবীতে কেবল উদ্ভিদেরই রাজত্ব ছিল । সুতরাং আমাদের দেশে নিশ্চয়ই এই যাটলক্ষ বৎসর পরে উদ্ভিদের রাজত্ব মুরু হইয়াছিল । নানাপ্রকার কয়লার মধ্যে কোনটি অতি প্রাচীন এবং কোনটিষ্ট বা অপেক্ষাকৃত আধুনিক তাহ রাসায়নিক পরীক্ষা দ্বারা স্থির করা যায়। ভারতের কয়লা লইয় এ প্রকার পরীক্ষা করা হইয়াছে । ইহাতেও আমাদের দেশের কয়লার আধুনিকতার লক্ষণ দেখা যাইতেছে । রাণীগঞ্জ প্রভৃতির কয়লাতে আকরিক পদার্থের বিশেষ আধিক্য আছে। আকরিক জিনিস সহজে পুড়িতে চায় না । পোড়াইতে গেলে উহা ভ মাকারে নীচে পড়িয়া থাকে। বাংলা দেশের কয়লায় ভষ্মই নাকি অধিক হয় । ইহা আধুনিকতার আর একটা লক্ষণ। আসাম অঞ্চলে যে কয়লা পাওয়া যায়, তাহা বাংলার কয়লার দ্যায় আধুনিক নয়। আগুন দিলে ইঙ্গর অধিকাংশই বাষ্পীভূত হইয় পুড়িয়া যায়। বাংলর স্তানে স্থানে আজ কাল এক শ্রেণীর ভাল কয়লা পাওয় যাইতেছে বটে, কিন্তু তাহার পরিমাণ অতি অল্প । অপর দেশের সাধারণ কয়লা যে সকল উপাদানে গঠিত, ধিcপ্লষ করিলে বাংলা দেশের কয়লাতে তাহার সকলগুলিকে উপযুক্ত পরিমাণে পাওয়া যায় না। ভূতত্ত্ববিদগণ বলতেছেন, আরো কয়েক সহস্ৰ বৎসর মাটি চাপা থাকলে হয় ত এই কয়লা খুব ভাল হইয়া দাড়াইত । ভারতে প্রায় ৩৫ হাজার বর্গ মাষ্টল স্থানে কয়লা আছে। অপর দেশের তুলনায় এই পরিমাণটাকে কখনই খুব অধিক বলা যায় না। চীনে চারি লক্ষ এবং আমেরিকায় প্রায় পাচ লক্ষ বর্গ মাইল কয়লার জমি রহিয়াছে,