পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ) AASAASAASAASAASAASAASAASAASAAeSAAAAAAASAAAA —“কিন্তু কিসের স্বাৰ্থ ? আমি তোমায় লিখলুম, না লিখলুম তাতে তার কি স্বাৰ্থ ?” —“হয়ত আর কেউ—” —“কি ?” —“অার কারুর জন্তে করেচে।” —“কিন্তু কার জন্তে ? কার তাতে কি উপকার হতে পারে ” - ইভা উঠিয়া বসিলেন—ফ্র্যাঙ্কের পানে অনেকক্ষণ নীরবে চাহিয়া বসিয়া রছিলেন। যে প্রশ্ন মনে উঠিয়াছে তাহা জিজ্ঞাসা করিতে র্তাহার কেমন ভয় হইতেছিল। তবুও তিনি সাহস করিয়া বলিয়া ফেলিলেন—“আচ্ছা এমন কি কেউ নেই যার এতে কোনো স্বার্থ আছে ?” —“আমি তো জানিনা ।” —“কেউ কি জানত তুমি আমায় চিঠি লিখেছিলে ?” —“না। জানত কেবল বার্টি।” —“ওঃ ! কেবল বার্টি " ইভা কথাগুলায় একটু জোর দিয়া আবার বলিলেন—“কেবল বাটি !” —“বাটি ? না, না, কখনোই না!” বার্টির উপর কোনো সন্দেহ ফ্র্যাঙ্কের মনে কিছুতেই স্থান পাইলন, তিনি আবার বলিলেন—“তুমি কি সত্যই মনে কর, বাট ?” —“আমার তো তাই মনে হয় ।” —“অসম্ভব ! ইভা, অসম্ভব! সে কেন করতে যাবে ?” —“তা আমি জানিনা ।” বলিয়া ইভা নিরুৎসাহে হেলিয়া পড়িলেন। তাহার বুকটা কেমন ছরদুর করিতে লাগিল । তিনি কম্পিত কণ্ঠে বলিতে লাগিলেন—“আমি ঠিক বলতে পারিন এ বার্টির কাজ কি না, কিন্তু তারই উপর আমার কেমন সন্দেহ হয়। এক বচ্ছর ধরে আমি অনেক ভেবেছি—কেন তোমার সঙ্গে আমার বিচ্ছেদ হল। যতই ভেবেছি প্রথমে কোনো কারণ পাইনি, সবই যেন রহস্যময়, অন্ধকারময় বলে বোধ হয়েছে, মনে হয়েছে যেন কে একজন—যেন একটা দৈত্য আমাদের দুজনের মিলন ভেঙে দেবার জন্ত কেবলই কৌশল পেতেচে—আমাদের দুজনের মধ্যে কোনো দোষ, কোন ক্রটি ছিলনা ! তারপর ভাবতে ভাবতে হঠাৎ একদিন যেন একটু একটু অন্ধকার দূর হয়ে গেল—প্ৰহেলিকার মধ্যে থেকে মনে হল যেন চোখের ۰۰۰صی - ۰ - ۳ م. یه معی-سه همه... همه --... ها--- ভাগ্যচক্র SSASAS A SAS A SAS SSAS SSAS SSAS 8*ఏ সম্মুখে অস্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠল এক মূৰ্ত্তি—সে তোমার বাটি! মুহূর্তের মধ্যে সমস্ত রহস্তের সমাধান হয়ে গেল। আগে যা বুঝতে পারিনি তা যেন একটু একটু বুঝতে পারলুম। তখন মনে হতে লাগল প্রতিদিন বাটি আমায় যে কথা বলেচে সে কথাগুলার অর্থ সে যা বুঝিয়েচে তা নয়। আমার প্রতি কেন তার এত সহানুভূতি ? অামার মুখদুঃখের উপর কেন তার এ দৃষ্টি ? সে কি স্নেহের জন্ত ? তোমার সম্বন্ধেও কেন সে আমার কাছে ঐ সব কথা—” -- “কি কথা ?” - “যে কথা বলেচে আমার তো মনে হয় প্রকৃত বন্ধুর তা বলা উচিত নয়। তখন আমি তাকে ভায়ের মতো দেখতুম, তাকে বিশ্বাস করতুম, মনে করতুম সত্যই সে আমার হিতাকাজী। সে দিনরাতই আমার সামনে একটা ভয় জাগিয়ে তুলতো—তোমার সঙ্গে মিলন হলে যেন একটা বিপ্লব কাও বেধে যাবে—যেন আমার জীবন চিরদিনের জন্ত অশান্তিময় হয়ে উঠবে। আমাদের বিবাহ না হওয়াই ভালো—হঁ, সেই কথা সে বার বার, স্পষ্ট করে না বল্লেও, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলেচে। কিন্তু কেন ? কেন ?” ফ্র্যাঙ্কের চোখের সামনে অতীতের প্রহেলিকাচ্ছন্ন দৃপ্ত ফুটিয়া উঠিতে লাগিল । অনেকক্ষণ তিনি এ রহস্তের কোনো স্বত্র ধরিত্বে পারিলেন না। হঠাৎ মনে পড়িল সেই দিন—যে দিন ফ্র্যাঙ্ক ইভার নিকট হইতে কোনো পত্র না পাইয় তাহার সচিত সাক্ষাতের ইচ্ছা বাটিকে জানাইয়াছিলেন। বাটির সে কী দৃঢ় প্রতিবন্ধকতা ! ফ্র্যাঙ্ককে লণ্ডন ত্যাগ করাইবার জন্ত কী ব্যস্ততা ! কেন ? কি তাহার উদ্দেপ্ত ? ফ্র্যাঙ্ক কিছুতেই এ প্রশ্নের উত্তর খুজিয়া পাইলেন না। তাহার সরলতা, তাহার অবিচক্ষণত, সৰ্ব্বোপরি বন্ধুর প্রতি তাহার প্রগাঢ় ভালোবাসা কিছুতেই বাটির উপর কোনো সন্দেহকে মনে স্থান দিতে চাহিল না । সেই বাটি যে মুখে দুঃখে, আপদে বিপদে সমান ভাবে অবিচ্ছিন্ন হইয়া ছায়ার মতো সঙ্গে সঙ্গে ঘুরিয়াছে সে কি কোনো অনিষ্ট করিতে পারে ? এ কি সম্ভব ? ইভা অলসভাবে গুইয়া ভাবিতেছিলেন, তাহারও মনের উপর অনেক জটিল প্রশ্ন খেলিয়া বেড়াইতেছিল, কোনোটাকেই তিনি আয়ত্ত করিতে পারিতেছিলেন না।