পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8రిని প্রবাসী—মাঘ, ১৩১৭ [ >०ञ छांनं, २ग्न थ७ . ৫• হইতে ৬০ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত ইক্ষুচাষের জন্য প্রয়োজন । ২য়—বীজ হইতে সাধারণ প্রণালীতে নুতন ইক্ষু বৃষ্টিপাত অল্প হইলে, জলসেকের দ্বারা সে অভাবটুকু পুরণ উৎপাদন । করিতে হয়। ধান্তেরও প্রায় এই পরিমাণ বৃষ্টিপাতের ৩য়—ইক্ষুগ্রন্থি হইতে নূতন ইক্ষু উৎপাদন। আবগুক, কিন্তু ধান্তমূল যেমন জলে নিমজ্জিত হইয়া থাকিতে মূল প্রথম প্রণালী । পারে ইক্ষুমুল সেরূপ থাকিলে শীঘ্র নষ্ট হইয়া যায়। মুতরাং ইক্ষুচাষ করিতে হইলে দুটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিত—১ম, চক্ষু যে জমিতে চাষ করিতে হইবে সে জমিতে বর্ষাকালে জল দাড়ায় কি না ? - ২য়, উক্ত জমিতে জলসেকের প্রকৃষ্ট উপায় আছে কি না ? ক্ষেত্রে । উৰ্ব্বর আঁটাল মৃত্তিক ইক্ষুচাযের পক্ষে বিশেষ উপযোগী। সুতরাং বঙ্গের অধিকাংশ স্থলই ইক্ষুচাষের উপযুক্ত। বৰ্দ্ধমান, বীরভূম মেদিনীপুর প্রভৃতি কতকগুলি জেলার লাল মাটি বালুকাসংযুক্ত হইলেও ইক্ষুচাষের বিশেষ উপযোগী । এক জমিতে ৩৪ বৎসরের বেশী ইক্ষুচাষ করা বিধেয় নয়। সুতরাং ইক্ষু কাটিয়া সেই জমিতে মটর, অড়হর, সীম, ধনিচ কিম্বা শণ চাষ করিলে উক্ত জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। ৬নিত্যগোপাল মুখোপাধ্যায় মহাশয় বলিয়াছেন “ধনিচা, বৰ্ব্বটি কিম্বা শণ ভাদ্র মাসে ফুটন্ত অবস্থায় কাটিয়া আশ্বিন মাসে আলু লাগাইবে । মাঘ মাসে আলু তুলিয়া ইক্ষু রোপণ করিবে। পরবর্তী মাঘে ইক্ষু তুলিয়া, বৈশাখে আউস ধান্ত বা অড়হর বপন করিবে । আউস ধান্তের পর আলু এবং আলুর পর পুনরায় ইক্ষু দেওয়া সুব্যবস্থা । অড়হর কাটিয়াও ইক্ষু দেওয়া চলে।” ইক্ষুর পর নীল এবং নীলের পর ইক্ষু দেওয়া এখন নীলকরদিগের মধ্যে প্রচলিত হইয়াছে—কারণ নীলের দিকে যে-সময় বেশী মনোযোগ দিতে হয় সে-সময় ইক্ষুর দিকে সামান্ত দৃষ্টি রাখিলেই চলে এবং ইক্ষুর পালা পড়িলে নীলের দিকে সামান্ত দৃষ্টি দিলে ক্ষতি হয় না। অধিকন্তু নীলের “সিঠি” ইক্ষুর উত্তম সার। ইক্ষু উৎপাদন-উপায়। ইক্ষু তিন প্রকারে উৎপন্ন হইয়া থাকে— ১ম—ইক্ষুর কর্তিত মূল হইতে নূতন ইক্ষু উৎপাদন। ইক্ষু কাটিয়া লইলে তাহার মূল হইতে পুনরায় নূতন ইক্ষু উৎপন্ন হয়। একই ক্ষেত্রে এরূপে ৩৪ বার পর্য্যস্ত নূতন ইক্ষু উৎপাদন সম্ভব। নূতন ইক্ষু উৎপন্ন হইলে । অন্তান্ত প্রণালীর দ্যায়, এ প্রণালীতেও জমির পাইটের আবগুক। কিন্তু ৩য় ও ৪র্থ বারে ইক্ষুর রসোৎপাদিক শক্তি কমিয়া যায় । দ্বিতীয় প্রণালী । পুরাকাল হইতে ইক্ষু অন্যান্য প্রণালীতে উৎপন্ন হইলেও, কেবল অধুনাই প্রমাণিত হইয়াছে যে ইক্ষুবীজ হইতে নূতন ইক্ষু উৎপন্ন হইতে পারে। এমন কি বিখ্যাত •issos Gisèëa ofts ‘Variation of Animals and Plants under Domestication’ of No disg ইক্ষুতে বীজ হয় না বলিয়াই উল্লেখ করিয়াছেন । ডিকন্‌ডোলে নামক অন্ত এক পণ্ডিতও তাহার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘Origin of Plants'o a Nos: Aness of Hits; ১৮৫৮ খৃঃ অঃ বাৰ্ববেডসের মহাত্মা প্যারিস্ প্রথমে আবিষ্কার করেন যে ইক্ষুৰীজ হইতে নূতন ইক্ষু উৎপন্ন হওয়া সম্ভব। ১৮৮৭ খৃঃ অঃ যবদ্বীপে প্রথমে ইক্ষুবীজ হইতে ইক্ষুচাষ আরম্ভ হয় । বঙ্গদেশে খরি’ ইক্ষুর বীজ পাওয়া গিয়াছে এবং তাঁহা হইতে ইক্ষুচাষও সম্ভব। যবদ্বীপে আরডম্যান s fitxR (Messrs. Erdmann and Sielcken) zifR* পণ্ডিতদ্বয় বলেন সকল ইক্ষুরই বীজে উৎপাদিকা শক্তি আছে তবে কতকগুলি অধিকতর শক্তিশালী বীজ উৎপাদন করিতে পারে এবং উক্ত ইক্ষুগুলিই বীজ উৎপাদনের বিশেষ উপযোগী। ইক্ষুবীজ পক্ক হইলেই, বাতাসে উড়িয়া যায়— ইহাই বীজ সংগ্রহের প্রধান অন্তরায় । সুতরাং ইক্ষুশীর্ষের নীচেকার পত্রগুলি হরিদ্রাবর্ণ হইলেই শীর্ষটি কাটিয়া বীজগুলি যত্বপূর্বক পৃথক পৃথক করিতে হয়। গোময় সারযুক্ত মৃত্তিক একটি কাঠের বাক্সে সমতল করির রাখিয়া