পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] তাহার উপর উক্ত বীজগুলি কপুরবাসিত জলে ধুইয়া ছড়াইয়া দাও । বীজগুলির উপরে যেন আর মাটি দেওয়া না হয়, সে বিষয় লক্ষ্য রাখ। পরে স্বক্ষ জলধারায় বীজগুলি সিক্ত করিয়া, বাক্সটি রৌদ্রে রাখ। মাটি শুকাইলে পুনরায় জলসিক্ত কর। এইরূপে ৫৭ দিনের মধ্যেই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তৃণোগম হইবে। যদি এ সময়ের মধ্যে তৃণোদগম না হয় তবে বুঝিতে হইবে যে বীজের উৎপাদিকা শক্তি ছিল না । তৃণগুলি এক আঙ্গুল লম্বা হইলেক্ট তাহাদিগকে পুনরায় অন্ত বাক্সে পূৰ্ব্বোপায়ে প্রোথিত কর। ক্রমে সেগুলি এক হস্ত পরিমাণ উচ্চ হইলে তাহাদিগকে সাধারণ উপায়াকুসারে ক্ষেত্রে প্রোথিত কর । বলা বাহুল্য এ উপারে নূতন বলিষ্ঠ ইক্ষু উৎপাদন করাই মূল উদেশু। সুতরাং ক্ষেত্রে প্রোথিত করিবার সময় সবল তৃণগুলি বাছিয়া, প্রোথিত করা আবশ্যক।” ভারতে উক্ত উপায়ে নুতন ইক্ষু প্রায়ই উৎপাদিত হয় না। এ উপায়ে, ইক্ষু হইতে চৈত্র মাসে বীজ সংগ্ৰহ করিয়া, বৈশাখ মাসে ইক্ষুবীজগুলি কপূরবাসিত জলে ১ ঘণ্টা ভিজাইয়া রাখিয়া পূৰ্ব্বোপায়ে প্রোথিত করা আবশ্যক। আষাঢ় মাসে ক্ষেত্রটি উত্তমরূপে কৰ্ষণ করিয়া জলসেকের পর, তৃণগুলি বপন করিলে, সেগুলি ১॥• বৎসর পরে কর্তনের উপযোগী হইবে । বর্ষ না হইলে, এ প্রণালীতে জলসেকের বিশেষ আবশুক হয়। তৃতীয় প্রণালী । ইক্ষুগ্রন্থি হইতে নুতন ইক্ষু উৎপাদন—ইহা বহুকালপ্রচলিত সাধারণ উপায়। ইক্ষু কর্তিত হইলে, উহার উপরিভাগের কিয়দংশ কাটিয়া লওয়া হয়। এই অংশ হইতে পত্রাদি ছাড়াষ্টয়া দ্বিতীয় গ্রন্থি পর্য্যন্ত খণ্ড থও করা হয়। পরে একটি গহবর খনন করিয়া তাহার তলদেশে সিক্ত খড় ও ছাই বিছাইয়া কতকগুলি কৰ্ত্তিত ংশ রাখা হয় । তাঙ্গার উপর পুনরায় ছাই ও খড় বিছাইয় দেওয়া হয়, এইরূপে স্তরে স্তরে গহবরমুখ পৰ্য্যন্ত ইক্ষুখগু ও খড় ও ছাট বিছান্টয়া, সৰ্ব্বোপরি পুনরায় খড় ও মৃত্তিক চাপা দিতে হয়। এ প্রক্রিয়ায়, এক সপ্তাহ মধ্যে ইক্ষুগ্রন্থিসমূহ হইতে অঙ্কুর উদগত হয়। প্রায় একমাস ইক্ষুচাষ AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS t్సనిలి حه همراه میامی" " یا --- পৰ্য্যন্ত উক্ত ইক্ষুবীজ এরূপ গহবরে থাকিতে পারে। ইতিমধ্যে ক্ষেত্র উত্তমরূপে কৰ্ষণ করিয়া ইক্ষু রোপণোপযোগী করিয়া লওয়া হয়। রোপণের পূৰ্ব্বে বীজগুলি কীটনাশক পদার্থে নিমজ্জিত করা আবগুক । কীটনাশক পদার্থ প্রস্তুত করিবার প্রণালী এইরূপ — (১) অৰ্দ্ধসের চুণ উত্তমরূপে ৫০ সের গরমজলের সহিত মিশ্রিত কর । (২) ৫০ সের রেড়ীর খৈল, ১ সের ছাই ও অৰ্দ্ধ সের ঝুণ উত্তমরূপে মিশ্রিত করিয়া লও। ইক্ষু বীজ প্রথমে ১নং জলে ডুবাষ্টয়া লও পরে ২নং গুড়া বীজে মাথাও । ১নং জলে অৰ্দ্ধ আউন্স হিং দিলে আরও ভাল হয় । বীজগুলি গুড় মাথাইবার পর ক্ষেত্রে রোপণোপযোগী হয় । রোপণ-সময় ও প্রণালী । ইক্ষু সচরাচর মাঘ কিম্বা ফাৰ্বন মাসে ক্ষেত্রে রোপিত হয় । চৈত্র মাসে রোপণ করিলে একবার জলসেকের খরচ বাচিয়া যায় কিন্তু ঐ ইক্ষু পরবর্তী ফাল্গুন মাসের পূৰ্ব্বে কাটিতে পারা যায় না। চক্ষু রোপণ করিবার বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন প্রণালী আছে । নিম্নে কয়েকটি দেওয়া গেল :– প্রথম প্রণালী । বঙ্গদেশে :–ক্ষেত্র প্রস্তুত হইলে ১ হইতে ১॥০ হস্ত অন্তর অৰ্দ্ধহস্ত পরিমিত গহবর খনন করা হয়। প্রত্যেক গহবরে হেলাইয়া ইক্ষু রাখা হয় ও তাঙ্গার উপর মাটি চাপ দেওয়া হয়। এ প্রণালীর অসুবিধা এই যে ইক্ষুর তলদেশ যখন আলগা করিবার আবগুক হয় তখন কেবল খুরপ ও কোদালী ভিন্ন অন্য যন্ত্রের সাহায্য লওয়া যায় না। বিচারাঞ্চলে ‘ভূলি’ ও ‘হেম্জা ইক্ষু এত ঘন করিয়া রোপণ করা হয় যে তাহাতে শৃগাল বন্তপূকর প্রভৃতি জন্তু প্রবেশ করিতে পারে না । দ্বিতীয় প্রণালী । মরিসিয়স দ্বীপে ಆಳ್ವಾ বড় ভয় । এ জন্ত সেখানে অন্তরূপ রোপণপ্রণালী প্রচলিত। তাঙ্গ এইরূপ — ক্ষেত্রটির এক প্রাস্ত হষ্টতে অন্ত প্রান্ত পর্য্যন্ত ৪৷৫ ফুট অন্তর ১ ফুট চওড়া ও ১ ফুট গভীর করিয়া