পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- ده ۰ به سی ** هم عهها به همراه 898 গহবর করা হয়। এইরূপ গহবরের ৩ ইঞ্চি প্রথমে মাটি দিয়া ভরাষ্টয়া দেওয়া হয় ও জলসিক্ত করা হয়। এই সিক্ত মৃত্তিকায় ৯ ইঞ্চি অন্তর ৩টি করিয়া ইক্ষুবীজ তীরাগ্রভাগের মত রোপিত হয়। পরে তাহার উপর আরও ৩ ইঞ্চি মাটি চাপাইয়া দেওয়া হয়। যখন চারাগুলি বদ্ধিত হইয়া এক ফুট হয়, সে সময় অবশিষ্ট গহবর সার দিয়া ভরাট করা হয় ও ক্ষেত্র সমতল করিয়া দেওয়া হয় । দ্বিতীয় বার সার দিবার সময়ও প্রত্যেক ইক্ষুচারার চতুস্পার্শ্বে যাহাতে সার পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয় । তৃতীয় প্রণালী । অষ্ট্রেলিয়া ও নিকটবৰ্ত্তী দ্বীপপুঞ্জে, ক্ষেত্রটি ৪ হাত অন্তর ১ হাত করিয়া বিভাগ করিয়া লওয়া হয়। এই ১ হাত জমির উভয় পাশ্বে ২ সারিতে ইক্ষু রোপণ করা হয় । এ প্রণালীর সুবিধা এই যে উক্ত ৪ হাত জমিতে অন্য চাষ চলিতে পারে। আর যখন ইক্ষুর তলদেশ আলগা করিতে হয় তখন মধ্যে পরিসর থাকায়, বলদ সাহায্যে লাঙ্গল দেওয়া যাইতে পারে । w চতুর্থ প্রণালী । ইহা মলিসন সাহেব এ দেশে প্রচলিত করিয়াছেন। ইক্ষুক্ষেত্র গোময় সারাদি দিয়া উত্তমরূপে কৰ্ষিত হইলে লাঙ্গল সাহায্যে ২ ফুট অন্তর মৃত্তিক উচ্চ করিয়া দেওয়া হয় ; পরে সমুদয় ক্ষেত্রটি ১০ ফুট লম্বা ও ১০ ফুট চওড়া ভাগে লাঙ্গল সাহায্যে বিভক্ত করা হয়। প্রত্যেক ভাগের চারিদিকে জল আটক করিবার জন্য ৯ ইঞ্চি বাধ দেওয়া হয়। এরূপে প্রত্যেক বিভক্ত অংশগুলিতে ৪টি উচ্চ ও ৫টি নিম্নাংশ থাকে। এই নিম্নাংশে প্রথম ইক্ষু প্রোথিত করা হয়। ইক্ষুচারা বৰ্দ্ধিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশঃ উচ্চাংশ হইতে মৃত্তিক ইক্ষুমুলে দেওয়া হয়। এরূপে ক্রমশঃ উচ্চাংশগুলি থাদে পরিণত হইয়া জলপ্রণালীর কাৰ্য্য করে । চৈত্র হইতে জ্যৈষ্ঠ পৰ্য্যন্ত ইক্ষুক্ষেত্রে আবগুক মত ৪৫ বার জলসেক করা বিধেয় । বর্ষাকালে জলসেকের কোন আবশুক হয় না। কাৰ্ত্তিক মাস হইতে ইক্ষু কর্তনের পূৰ্ব্বে আরও ৪৫ বার জলসেক করিতে হয়। বোম্বাই প্রবাসী—মাঘ, ১৩১৭ AA AMMMMMAeeAMSASAMMMMMMSSMMSAMeAAASAASAASAA AAAMeAMSMSAeSMASAMAAASAASAASAASAASAASAASAAMMAMMS [ २०अ छां★, २ग्न श७ প্রদেশে উক্ত সময়ে অধিক জলসেকের আবগুক হয়। কৃষিবিভাগের কর্তা মলিসন সাহেব তাহার Indian Agriculture গ্রন্থে সৰ্ব্বসমেত ৩৪ বার জলসেকের ব্যবস্থা করিয়াছেন । র্তাহার মতে এ প্রক্রিয়ায় ৫০ ইঞ্চি ও বারিপাতে ৫০ ইঞ্চি মোট ১০০ ইঞ্চি জল ইক্ষুচাযের জন্ত অবিশুক । চৈত্র হটতে আষাঢ় পৰ্য্যন্ত ইক্ষুর দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখিতে হয়। ইক্ষু বাড়িবার সঙ্গে সঙ্গে গোড়ায় মাটি দেওয়া ও অবিশু্যক মত জলসেক করা এ সময়ের প্রধান কাৰ্য্য । বর্ষা আরস্ত হইলে কেবল আবখ্যক মত গোড়ায় মাটি দিতে হয় । কিন্তু যাহাতে গোড়ার মাটি শিথিল থাকে সে বিষয় বিশেষ দৃষ্টি রাখা আবশুক। প্রচুর বারিপাতের পর, ইক্ষুব গোড়ার মাটি প্রায় চাপ বাধিয়া যায়, সে সময় খুৰ্বপা, costwtfel zal vet (Hunter Hoe) সাহয্যে চাপ ভাঙ্গিয়া মাটি বেশ আলগা করিয়া দিতে হয় । ইহাতে ইক্ষুমুলে বায়বীয় ক্রিয় উত্তম রূপে সাধিত হইতে পারে । শ্রাবণ মাসে যখন ইক্ষু বেশ বড় হয়, তখন সাধারণতঃ ২টি প্রণালী অবলম্বিত হয়—১ম, ক্রমশঃ বৃদ্ধির সহিত ইক্ষুগাত্র হইতে পুরাতন পত্র ছিঁড়িয়া লওয়া । এ প্রণালীতে ইক্ষু বেশ সমান ও পরিষ্কার রূপে জন্মায়। কিন্তু শৃগাল ও শূকর শীঘ্রই এরূপ ইক্ষু নষ্ট করে । অধিকন্তু ট্রাইম্পোপেরিয়া ( ধস ) নামক রোগ ইক্ষুতে জন্মাইবার সুবিধা হয়। সুতরাং দ্বিতীয় প্রণালীই প্রকৃষ্ট—এ প্রণালীতে ইক্ষু বাড়িবার সঙ্গে সঙ্গে পুরাতন শুষ্ক ইক্ষুপত্ৰ দিয়া ২।৩টি ইক্ষু বন্ধন করিয়া দিতে হয়। বৰ্দ্ধমান ও শিবপুর কৃষিক্ষেত্রে প্রমাণিত হইয়াছে যে এরূপ প্রণালীতে বিঘা প্রতি ২৩ টাকা অধিক খরচ পড়িলেও পূৰ্ব্বপ্রণালী অপেক্ষ এ প্রণালীতে অধিক গুড় উৎপন্ন হয় । অধিকন্তু শৃগাল ও শূকরে অধিক নষ্ট করিতে পারে না, আরও সামান্ত ঝড়ে এরূপ ইক্ষু ধরাশায়ী হয় না। শ্রাবণ হইতে কাৰ্ত্তিক পৰ্য্যন্ত অন্ততঃ ২৩ বার ইক্ষু বাধিবার আবশুক হয় । ডাক্তার লেদার বলেন ইক্ষুতে ৩•• হইতে ৩৫০ পাউণ্ড যবক্ষারজানের অাৰপ্তক । সুতরাং খৈল ইক্ষুর প্রকৃত