পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8OV AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS হইলেও, পল্লীসমূহ হইতে হাড় সংগ্ৰহ করিয়া বিদেশে রপ্তানী হইতেছে। ইহাতে ভারতের বিশেষ ক্ষতি হইতেছে । হাড় বিদেশে না পাঠাষ্টয়া বরং উহাকে সুপারে পরিণত করিয়া বিদেশে পাঠাইলে কতক লাভ হয় । ইক্ষুর ধ্বংসকারী কাট ও তাহাদের দমনোপায় । ১ । ইক্ষুর সর্বাপেক্ষা অনিষ্টকারী কীট, বঙ্গদেশে “মাজের পোকা” বলিয়া পরিচিত। ইক্ষুর শীর্ষপত্র শুষ্ক হওয়া, ইহার আক্রমণের চিহ্ন স্বরূপ। ইহারা ইক্ষুকাও ছেদন করিয়া ইক্ষু একেবারে নষ্ট করিয়া ফেলে। একরূপ ক্ষুদ্র প্রজাপতি হইতে এই পোকার জন্ম হয়। dě zistofs (chilo simplex moth) È#ātą নূতন পত্রে ডিম্ব পাড়িয়া যায়। একসঙ্গে চারি পাচটি হইতে ২০২৫টি ডিম্ব দেখিতে পাওয়া যায়। ডিম্বগুলি প্রথমে শ্বেত কিন্তু ক্রমে হরিদ্রাবণ ও ফুটিবার পূৰ্ব্বে কমল৷ রঙে পরিণত হয়। ডিম্ব প্রসবের পর হক্টতে ডিম্ব হইতে পোক বাকির হওয়া পর্য্যস্ত প্রায় এক সপ্তাহ সময় লাগে । পোকা ডিম্ব হইতে বাহির হইয়া প্রথম ৫৭ দিন শীর্ষপত্র খায় পরে ক্রমশঃ ইক্ষুকাণ্ডে গর্ত করিয়া প্রবেশ করিতে আরম্ভ করে । শীতকাল ভিন্ন অন্ত সময়ে এ অবস্থায় প্রায় ১ মাস থাকে। এ সময়ে ইহারা ইক্ষুকাও ক্রমশঃ ভেদ করিতে থাকে ও সঙ্গে সঙ্গে ইহাদের কলেবরও বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়। পূর্ণাবয়ব কীট প্রায় এক ইঞ্চি লম্বী । এসময়ে ইহাদের ১৬টি পা, মস্তকটি কাল, দেহ মেটে রঙের ও ছোট ছোট কালদাগ বিশিষ্ট ও কেশে আবুত দেখা যায়। “গুটি”তে পরিণত হইবার পূৰ্ব্বে ইহার কাণ্ডের বহির্ভাগে একটি ছিদ্র করিয়া রাখে । পুর্ণাবয়ব প্রাপ্তির পর ইতারা ২ দিন বিশ্রাম করে । তাহার পর ইহার “গুটি”তে পরিণত হয়। এ অবস্থায় ৬/৭ দিন গেলে পুনরায় প্রজাপতি হইয়া কাণ্ডের ছিদ্র দিয়া বাহির হইয়া পড়ে। প্রজাপতিগুলি মেটে রঙের ও “শুড়”যুক্ত হয়। সঙ্গমের পর •নর প্রজাপতি মারা যায়, “স্ত্রী প্রজাপতি ডিম্ব প্রসবের छछ श्रीब्र७ २॥8 निन दैॉ८छ । প্রবাসী—মাখ, ১৩১৭ SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA AAASAASAASAASAASAAAS । »०अ छान, २ग्न शं७ ASAAAAS S ASAA AAAASASASS শীতকালে অনেক সময় পোকা “গুটি”তে পরিণত না হইয়া “সুপ্তাবস্থায়” থাকে। এরূপ অবস্থায় প্রায় ৫/৬ মাস যায়। ইক্ষুমুল হইতে নুতন ইক্ষু উৎপন্ন হইলে ইহাদের আহারের পুনরায় স্থবিধা হয়। অন্ত একরূপ পোকা (White Borus) আছে, দেখিতে প্রায় “মাজেরা”র মত—কেবল প্রজাপতিটি সাদা ; ইহারাও “মাঞ্জেরা”র দ্যায় অনিষ্টকারী। ইক্ষু “মাজেরা” কর্তৃক আক্রাস্ত হইলে সঙ্গে সঙ্গে “ধসা”, দেথা দেয়। “ধসা” ধরিলে ইক্ষুর মধ্যে লাল হইয়া যায় ও ইক্ষুরসের মিষ্টত্ব থাকে না। “ধসা” ও “মাজেরা” অনেক জায়গায় এক সঙ্গে দেখা দেয় বলিয়া কখনও কখনও পোকাকেই “ধসা” বলে । “মাজেরা”র দমনোপায় । মাজের দমনের কতকগুলি উপায় নিম্নে প্রদত্ত হইল :– (১) “মাজেরা” ধরিলে ইক্ষুর মধ্যবৰ্ত্তী পত্র প্রথমেই শুষ্ক হইয়া যায়। এরূপ শুষ্ক পত্র দেখিলেই বুঝা যায় যে ইক্ষুতে “মাজেরা” ধরিয়াছে। আক্রান্ত ইক্ষুগুলি গোড়া হইতে কাটিয়া জড়ো করিয়া আগুনে পোড়াইয়া দেওয়া “মাজেরা” দমনের প্রধান উপায় । (২) ইক্ষু বপনের সহিত ক্ষেত্রের ভুট্ট (মক) বপন কর । এরূপ করিলে “মাজেরা” ইক্ষু ছাড়িয়া প্রথমে ভুট্ট আক্রমণ করিবে । আক্রান্ত মক্কাগুলি গোড়া হইতে কাটিয়া পোড়াইয়া দিলে ইক্ষুতে “মাজেরা” ধরিতে পায় না। (৩) শর্ষপত্রে ডিম্ব দেখিলে নষ্ট করা “মাজেরা” দমনের অন্ত এক উপায় । ২ । উইপোকা—অনেক সময় ইক্ষুক্ষেত্র ইহাদের দ্বারা नछे झग्न । (১) ক্ষেত্র উত্তমরূপে কৰ্ষিত হইলে “উই”র বাসা ভাঙ্গিয়া যাওয়া সম্ভব। (২) ইক্ষু বপনের পূৰ্ব্বে কীটনাশক দ্রব্য ইক্ষুতে লাগাইয়া দিলে ইক্ষুতে “উই” ধরে না। (৩) রেড়ীর খৈল ইক্ষুতে সার দিলে “উই” দমন হয়। (৪) “উইর” বাস খুজিয়া সেন্থল উত্তমরূপে খুড়িয়া শুষ্ক পত্রাদিসহ আগুন ধরাইলে “উই” নষ্ট কয়। বাসা