পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] AASAASAASAASAASAASAASAASAASAA ہو حصے মৃত্তিকার অধিক নিয়ে হইলে কেরোসিন তৈল বা স্তানিটারি ফ্লইড (Sanitary Fluid) সেন্থলে ঢালিয়া দিলে “উই” नछे झ्म्न । (৫) ইক্ষুতে জলসেক করিবার সময় জলপ্রণালীর সম্মুখে কাপড়ের পুটুলিতে কতকটা হিং বাধিয়া রাখিলে *উই” দমন হয় । (৬) বাসার নিকট বিষাক্ত মিষ্টদ্রব্য গুড়াইয়া ছড়াইয়া দিলেও “উই” দমন হয় । ৩ । ভাইস পোকা—বিহারে ইহা পরিচিত । ৪ । ছাত্রা—ইক্ষুকাণ্ডে একজায়গায় ইহাদের অনেকগুলিকে দেখিতে পাওয়া যায়। “আইস পোকা” ইক্ষুপত্র হইতে ও “ছাত্রা” ইক্ষুকাও হইতে রস চুষিয়া খাষ্টয়া ইক্ষুকে নির্জীব করিয়া ফেলে। cxstarfrå šæPIR (Kerosine Emulsion) ol oj কোন কীটনাশক দ্রব্য* দিয়া প্লেইং মেসিন (Spraying Machine) সাহায্যে ইক্ষুতে দিলে "াইস পোকা” বা “ছাত্রা” দমন হয়। কেরোসিন ইমলসন তৈয়ারী করিবার প্রণালী এক্টরূপ—এক পোয় বারসোপ টুকরা টুকরা করিয়া কাটিয়া ৪ বোতল জলের সহিত সিদ্ধ কর । সাবান ও জল উত্তমরূপে মিশ্রিত হইলে, ৮ বোতল কেরোসিন তৈল উহাতে দাও এবং বেশ করিয়া ঘাটিতে থাক । যখন তৈল, জল ও সাবান উত্তমরূপে মিশ্রিত হইবে, সে সময় এই মিশ্র পদার্থ ১ ভাগ লষ্টয়া ৯ ভাগ জল মিশাও । পরে স্পেইং মেসিন সাহায্যে গাছে ছিটাইয়া দাও । উপরোক্ত কীটগুলি ইক্ষুর বিশেষ অনিষ্টকারী। নিম্নলিখিত পোকাগুলি অধিক পরিমাণে না জন্মাহলে তেমন ক্ষতি করিতে পারে না । ৫ । ধেনে ফড়িং—কখনও কখনও ইক্ষুর পাতায় দেখা যায়। ক্ষেত্র উত্তমরূপে কৰ্ষিত হইলে ও ক্ষেত্রপাশ্বে তৃণাদি না জন্মাইতে দিলে ইহারা ইক্ষু আক্রমণ করিয়া অনিষ্ট করিতে পারে না । “লাহি” বলিয়া এরূপে ইক্ষুচাষ

  • Resin Wash, Crude Oil Emulsion, Mac Dougal's Insecticide.

83) & ৬ । শোষক পোকা—ইগর ইক্ষুর পত্রের রস চুৰিয়া খায়। স্বতরাং ইহারা পত্রের অনিষ্টকারী । কেরোসিন্‌ ইমলসন ইহাদের দমন করে । ৭ । চক্ষুমক্ষিকা—ইচাদের প্রায়ষ্ট পুরাতন ইক্ষুক্ষেত্রে দেখিতে পাওয়া যায় । স্ত্রী মক্ষিক ইক্ষুপত্রের মধ্যদেশে ডিম্ব প্রসব করে । ডিম্বগুলি অতিশয় ক্ষুদ্র ( প্রায় নষ্টঞ্চি লম্বা) হরিদ্রাবর্ণ কিম্বা সবুজ আভাযুক্ত। ১•১৫টি ডিম এক সঙ্গে দেখা যায়। ডিম্বগুলির উপরে শ্বেত আচ্ছাদন থাকায় সহজেই ষ্টকাদিগকে দেখিতে পাওয়া যায়। ২৪ দিনের মধ্যে ডিম্ব হইতে ক্ষুদ্র কীট বাহির হয় । ইহাদের দেহের শেষভাগে ছোট ‘লেজের মত আছে, তাহ ইচ্ছানুসারে ইহার গুটাষ্টয়া লইতে বা বাড়াইতে পারে। এই “লেজ” সাদা গুড়ায় আবৃত থাকে। ৫ বার “খোলস বদলাইবার পর ইগর পূর্ণাবয়ব লাভ করে। অত্যধিক পরিমাণে না জন্মাইলে ইহারা তত অনিষ্ট করে না। অনিষ্টকর হইলে, ডিম্বগুলি সংগ্ৰষ্ঠ করিয়া ধ্বংস করাষ্ট ইহাদের দমনের প্রধান উপায় । ৮ । গুবরে পোকা ও অদ্যান্ত ২৪ রকমের পোকা কখনও কখনও ইক্ষুতে দেখা যায়। কিন্তু তাহাদের দ্বারা এত কম অনিষ্ট হয় যে এ স্থলে তাহাদের বিষয় অধিক বলা নিম্প্রয়োজন । লাভালাভ । ৬নিত্যগোপাল মুখোপাধ্যায়ের Indian Agriculture’ নামক গ্রন্থে লিখিয়াছেন এক একার (=৩.৯ বিঘা ) ইক্ষুচাষে মোট ১৬৬ টাকা খরচ পড়ে। তিনি ৪•মন চিনি ও ৫ মন ঝোলাগুড় ইহা ইহতে উৎপন্ন হইতে পারে এরূপ হিসাব দেখাইয়াছেন । অর্থাৎ তাহার মতে ইহা হষ্টতে সৰ্ব্বসমেত ২১৬ টাকা আয় হইতে পারে। মৃতরাং লাভ একার প্রতি ৫০ টাকা । বিহারে মজুরের হার কম বলিয়া লাভ ১২০ পর্য্যস্ত হইতে পারে। সঙ্করের নিকট আশ্বিন কাৰ্ত্তিক মাসে ইক্ষু কাটিয়া বিক্রয় করিলে ২০০২ পৰ্য্যন্ত লাভ কয় । বৰ্দ্ধমান অঞ্চলে বিঘা প্রতি ৬০।৭• মন গুড় হয় । সুতরাং একার প্রতি গড়ে ২•• মন গুড় পাওয়া বাইতে পারে। মন প্রতি ৬ টাকা