পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

89ty” হিসাবে ১২০০ টাকা আয় হইতে পারে। সুতরাং খরচ বাদ দিয়া প্রায় একার প্রতি ১০০০ টাকা পৰ্য্যন্ত লাভ হইতে পারে । সুতরাং কম করিয়া ধরিলেও অন্ততঃ ইক্ষুতে বিঘা প্রতি ২০০ টাকা লাভ হষ্টতে পারে । ভারতে ২৫০• • • একার ভূমিতে ইক্ষুচাষ সত্ত্বেও বিদেশ হইতে প্রায় ৫০ লক্ষ মন চিনি আমদানী হইয়া থাকে। আরও তামাকের জন্ত ৫ লক্ষ মন চিটাগুড় আমদানী হয়। মৃতরাং ইক্ষুচাষের আবশুকতার বিষয় অধিক বলা নিম্প্রয়োজন । বেথিয়া । ঐগিরীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। α-Ακα ωαωπ-α". ধৈর্য্যলাভ সাগর কহিল ডাকি চাদেরে চাহিয়৷ জোয়ারে ভাটাতে ওগো হাসিয়া কাদিয়া, উঠিয়াছি পড়িয়াছি কত শত বার নাগাল তবুও আমি পাইনি তোমার । আজি তাই ভাবিয়াছি মঙ্গ। উৰ্ম্মি তুলি তোমারে ধরিব বুকে, সব বাধা ভুলি। চন্দ্র কহে স্থির থাক ওহে পারাবার তাহলেই পাবে মোরে বুকেতে তোমার ॥ শ্ৰীমতী শশিবাল দেবী । マーマ5 S マラtで5 ভূতপূৰ্ব্ব ভারত সংস্কারকের সম্পাদক অধুনা লোকান্তরিত কালীনাথ দত্ত মহাশয় ও বামাবোধিনী-সম্পাদক স্বগীয় উমেশচন্দ্র দত্ত মহাশয় আবাল্য মুহৃদ ছিলেন। উভয়ে উভয়কে অত্যন্ত ভাল বাসিতেন ও শ্রদ্ধা করিতেন । কারের দৃষ্টিতে স্বৰ্গীয় মহাত্মাৰ সাধুপুরুষ ও ব্রহ্মনিষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন। বাহারা তাঙ্গাছের সহবাসমুখে আত্মার জনক বৃদ্ধি করিবার স্বযোগ পাইয়াছিলেন, তাহারাই এবার সঙ্গে একমত হইয় তাহাদিগকে ভগবভক্ত বলিয়া প্রবাসী—মাখ, ১৩১৭ [ >०अ डां★, २ग्न थ७ সমাদর করিয়া থাকেন। স্বৰ্গীয় সাধু উমেশচন্দ্রকে কালীনাথ বাবু বলিতেন “উমেশ, উমেশ, তোমার কাছে যে যখন থাকে, সে চোর হয়।” এরূপ সাধু মহাত্মার নিকটে থাকিয় লোক ‘চোর’ হয়, স্বগীয় কালীনাথ দত্ত মহাশয় এমন একটা কথা কেন বলিয়াছেন এ বিষয় অনেক সময়ে চিন্তা করিয়াছি, কিন্তু পূৰ্ব্বে ভাসা ভাসা ভাবে বুঝিতাম, কথাটাকে বিদ্রুপ বলিয়া মনে করিতাম, কিন্তু এখন এ বয়সে আর বিদ্রুপ বলিয়া মনে হয় না । এখন দেখিতেছি, “Nearer to Church farther from God” (RFEl SlfG HTSI কথা । ময়রা যেমন মিঠাই খায় না, সেইরূপ uদবমন্দিরের দেবসেবকের ধৰ্ম্মের ধার ধারে না। আশা করি এ কথাটা দৃষ্টান্ত দ্বারা বুঝাইবার প্রয়োজন হইবে না। অনেক ব্যথিতহৃদয় ভুক্তভোগী আমার একথার সাক্ষ্য দিবেন। এই গেল তীর্থস্থান দেবমন্দির, তীর্থপাও ও দেবসেবকদের অবস্থা । আমাদের নিজ জীবনের আধ্যাত্মিক অবস্থা যতই শোচনীয় হউক না, এই অবস্থা-বিপৰ্য্যয়ের মধ্যে একটা বস্তুকে আমরা জীবনের মহামূল্য সম্পদ বলিয়া মনে করিয়া থাকি । সে সম্পদ এই যে আমাদের মর্ত্যজীবন ধারণের এই অল্প সময়টুকুর মধ্যে আমরা সৌভাগ্যবশে কতকগুলি ভগবদভক্ত সাধু মহাত্মার আবির্ভাব সন্দর্শন করিলাম, যে সন্দর্শন লাভের উপযুক্ত মৰ্য্যাদা রক্ষা করিতেও আমরা সক্ষম নহি । এরূপ হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে । মৰ্ত্ত্যবাসী জীবমণ্ডলীর মধ্যে শ্রেণীবিভাগ থাকিলেও কতকগুলি বিষয়ে বিষম একতা বর্তমান । জীবের নিত্য জীবনযাপনে এই একতার পরিচয় পাওয়া যায় । আহার নিদ্রা প্রভৃতি কতকগুলি শারীরিক ও দ্বেষ হিংসা প্রভৃতি কতকগুলি মানসিক বৃত্তির পরিচালনায় আমরা এই একতার সাক্ষ্য পাইয়া থাকি । এইরূপ কতকগুলি বিষয়ে মানব ও অন্তান্ত জীবে একতা বিদ্যমান। মানুষ তবে কোন বিষয়ে শ্রেষ্ঠ ? আহার বিহারের পদ্ধতি ও স্বসভ্যভাবে সামাজিক জীবন যাপনের মধ্যেই কি এই শ্রেষ্ঠত্ব বর্তমান ? আমরা তাহা মনে করি না । মানবেই কেবল পরিবর্তন ও পরিবর্দ্ধনশীল জ্ঞানের বিকাশ দেখিতে পাওয়া যায় । জাগতিক জীবনযাত্রার মহামেলার মধ্যস্থলে মানবেই কেৰল ৰিবিধ গুণনিচয়ের উচ্চ হইতে উচ্চতর গ্রাম দেখিতে