পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 е می- * --....-" "م. • • • سیم مهرماه سعه معs به ক্টহাই গভীর আক্ষেপের বিষয় । এটা ব্যক্তিবিশেষের পক্ষে উচ্চ প্রকৃতির লক্ষণ নহে, আর মানবসমাজের পক্ষেও এটা দাড়কাকের ময়ূরপুচ্ছ ধারণের এইসকল আচরণে উচ্চ-লোক-প্রাপ্তির অগ্রগমন নহে । দ্যায়। আর সম্ভাবনাও বড় অল্প । সৌভাগ্যেব বিষয়, রাজধি রামমোহন রায়ের স্তাবক বা ভাক্ত অনুগামী নাই, তাই বেওয়ারিশ মালের মত যাহার যখন যাহা ইচ্ছা হয় বলিতে পাবেন । রামমোহন রায়ের সকল প্রকার দেশহিতকর অনুষ্ঠানের মধ্যে ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা সৰ্ব্বপ্রধান । এই কাৰ্য্য সমর্থন কল্পে র্তাহার ধারণা, উক্তি ও অনুষ্ঠান বিষয়ে ব্রাহ্মের অনেকেই কোন সংবাদ রাখেন না, আর রামমোহনের বংশের শেষ প্রদীপ ক্ষীণালোক বিতরণ করিলেও নিৰ্ব্বাণপ্রায়। যিশু খৃষ্টের কেতষ্ট ছিল না। সেণ্ট পল অনেক পরে আবিভূর্ত হইয়াছিলেন। কিন্তু খৃষ্ট সম্বন্ধে কোন কথা অসাবধানভাবেও বলিয়৷ চলিয়া যাইবার উপায় নাই। কারণ র্তাহার উপাসকমণ্ডলী মর্ত্যমণ্ডলের চারিদিকে বিক্ষিপ্ত রহিয়াছে। এই উপাসকমণ্ডলীই মানুষকে দেবতা করে, অভক্তকে ভক্ত করে, ভক্তকে সিদ্ধপুরুষ করে, সিদ্ধপুরুষকে বিধাতাপুরুষে পরিণত করে, আর সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র মানবমণ্ডলীর উচ্চগ্রামে আরোহণে বাধা প্রদান করে । বঙ্কিমচন্দ্র ৰ্তাকার শেষ জীবনে ধৰ্ম্মালোচনা ও ধৰ্ম্মপ্রসঙ্গে অসুরক্ত হইয়াছিলেন। “কৃষ্ণচরিত্র” সেই অনুরাগের আংশিক ফল । তাহার গীতার বঙ্গানুবাদচেষ্টাও অপর একাংশ । তাহার প্রচারিত শেষ মাসিকপত্র "প্রচার” তাহার পরিণত বয়সের পরিপক্ক ফলস্বরূপ বর্তমান । তিনি প্রাচীন ঋষিদিগের অনুকরণে আলোচনা আরম্ভ করিয়াছিলেন । র্তাঙ্কার প্রচারিত গুরু-শিষ্যের প্রশ্নোত্তরমালার এক স্থানে তিনি আদর্শ ব্রাহ্মণের লক্ষণ নির্দেশ করিলে পর, শিস্য গুরুকে জিজ্ঞাসা করিলেন “শাস্ত্র-সঙ্কল্পিত আদর্শ অনুসারে বর্তমান সময়ে বঙ্গদেশে কোন কোন ভাগ্যবান পুরুষ ব্ৰক্ষণলক্ষণাক্রান্ত বলিয়া জাপনি নির্দেশ করেন ?” তদুত্তরে গুরু বাঙ্গালাদেশে সে সময়ে অসংখ্য স্মৃতিরত্ন, বিদ্যারত্ব বর্তমান থাকিলেও, কেবলমাত্র অধুনা স্বৰ্গীয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও কেশবচন্দ্র প্রবাসী—মাঘ, ১৩১ - AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS { >०ब छान, २ग्न थ७ সেন মহাশয়ম্বয়কে ব্রাহ্মণগুণসম্পন্ন বলিয়া নির্দেশ করিতে কুণ্ঠ বোধ করেন নাই। বহু ব্রাহ্মণপূর্ণ বাঙ্গালাদেশে বঙ্কিমচন্দ্র নিজে ব্রাহ্মণবংশসস্তৃত হইয়াও স্বগীয় কেশবচন্দ্র সেন মহাশয়কেই ব্রাহ্মণ বলিয়া স্বীকার করিয়া গিয়াছেন। আক্ষেপের বিষয় এই যে র্তাহার লোকান্তর গমনের সঙ্গে সঙ্গে তাহার উক্তির অঙ্গহানি করিতে র্তাহার আত্মীয়ের কুষ্ঠাবোধ করেন নাই। ঐ দুই মহৎ ব্যক্তির পবিত্র নামের উল্লেখ স্থলে অধুনা কেবলমাত্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের । নাম দেখিতে পাওয়া যায়। যে দেশের লোক এইরূপ মহাজনের মহন্ডুক্তি সকলের মর্য্যাদাহানি করিতে কুষ্ঠা বোধ করে না, তাহাদিগকে বঙ্কিমভক্ত বলিব কি বঙ্কিমভাক্ত বলিব, ইহাই বিচাৰ্য্য । বঙ্কিমচন্দ্রের গ্রন্থাবলীর মধ্যে অনেক বেল্লীকপণাও আছে, সেগুলি গ্রন্থবিশেষের বিশেষ বিশেষ স্থানে বেশ সুন্দর স্বাভাবিকতা রক্ষা করিয়াছে । তাই বলিয়া যদি এখন কোন লেখক, আসমানীর অসামান্ত রূপবর্ণনা ও বিদ্যাদিগ্‌গজের প্রেমের কাহিনী অথবা হরিদাসী বৈষ্ণবীর নগেন্দ্রনাথ দত্তের অন্দরমহলে প্রবেশ পূর্বক চতুরতার খর প্রবাহ প্রবাহিত করা, বা গোবিন্দলালের বিলাসবিভ্রমের বর্ণনপারিপাট্য আরও উজ্জ্বল ভাবে, আরও সুন্দর ভাবে আলোচনা করেন, তবে বোধ হয় আসমুদ্র হিমালয় সমগ্র বঙ্গদেশে আনন্দের ফোয়ার চুটাইবেন এবং এগুলি যে বঙ্কিমচন্দ্রের উচ্চচিত্র অঙ্কনের ইতরাংশ বোধ হয় বাঙ্গালী তাঙ্গ একবারে ভুলিয়া যাইবে । আর বঙ্কিমচন্দ্রের স্থির বুদ্ধি ও শাস্ত স্বভাব যখন জীবনের উচ্চ গ্রামে আরোহণ করিয়া জীবনের মহামূল্য মহম্ভাব সকলের আলোচনায় রত, তখনকার সেই উচ্চস্বভাব সৌন্দর্য্যের খনির মণিময় হারের রত্নবিশেষ অপহরণ করিতে, বাধা দিবার, নিষেধ করিবার, দণ্ড দিবার লোক তখনও ছিল না, এখনও নাই । ইহাই জাতীয় জীবনের অধঃপতনের লক্ষণ । এই অসামান্ত গুণসম্পন্ন পুরুষপ্রবর বঙ্কিমচন্দ্রের সকল উক্তির আলোচনা স্বাধীনভাবে করিবার উপায় নাই। স্বকৰ্ণে শ্রুত অনেক কথাই বর্তমান, কিন্তু সেগুলির আলোচনায় তাহার মহত্ব ও উচ্চ উদার প্রকৃতির পরিচয় প্রকাশ পাইলেও তাহার আত্মীয় স্বজন ও সামাজিকগণের পক্ষে সেগুলি তত প্রীতিকর না হইতে