পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য। ] জীবনের উন্নতি বিষয়ে বেণী বাবু পরমহংসকে গুরুস্থানীয় ব্যক্তি বলিয়াই অনুভব করিতেন ও তদনুরূপ ভক্তিও করিতেন । তিনি বলিয়াছেন যে যখন পবমহংস রামকৃষ্ণের আসন্ন কাল উপস্থিত হইল ; তাহার দারুণ ব্যাধির আক্রমণ হইতে র্তাহাকে মুক্ত করিবার জন্ত ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার মহাশয় কাশীপুরের বৃক্ষবাটিকায় দুই বেলা যাতায়াত করিতেছিলেন ; ঠিক সেই সময়ে এক দিন পরমহংস-শিষ্যগণের অন্যতম অধুনা লোকান্তরিত রামচন্দ্র দত্ত মহাশয় করজোড়ে ও অতি বিনীতভাবে গুরুচরণে নিবেদন করিলেন “প্রভু আপনি আমাদের উদ্ধারের জন্ত স্বয়ং নরদেহ ধারণ করিয়া মর্ত্যে পূর্ণাবতারে অবতীর্ণ হইয়াছেন, এই সংবাদ আমাদিগকে দিয়া নিশ্চিন্ত করুন। আমরা আশ্বস্ত হষ্টয়া কৃতাৰ্থ হষ্ট।” বেণী বাবু সে দিন সে সময়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন । পরমহংস দারুণ রোগযন্ত্রণায় অধীর হইয়া বেণী বাবুকেই সম্ভাষণ করিয়া বলিয়াছিলেন, “বেণী, বেণী, দেখচিস্, আমি যন্ত্রণায় ছটফট কচ্ছি, আর শালার বলে কিনা অবতীর্ণ হয়েছি।” পরমহংসের স্তার জিতেন্দ্রির, সাধু, ভগবদ্ভক্তের মুখে এইরূপ উক্তিই সঙ্গত। তিনি অতি স্পষ্টবাদী, যথার্থবাদী ও হিতবাদী ছিলেন। তিনি স্তব বন্দন বা মিষ্ট কথায় তুষ্ট হইবার পাত্র ছিলেন না। সরল সত্যপথে বিচরণ করাই তাহার প্রিয় কাৰ্য্য ছিল। এমন মানুষটিকে অবতার করিয়া ভক্তের স্বার্থপরতাজাত মুখসম্ভোগ হয় হউক, কিন্তু এই অসত্য প্রচারের ফলে জনসমাজের বিষম অমঙ্গল সাধিত হইয়াছে। জার পরমহংস-শিষ্যগণের এই ভক্তির মাত্রাধিক্যে আমরা সাধু মহাত্মা, ধৰ্ম্মপরায়ণ সাধক রামকৃষ্ণকে হারাইয়াছি। রাশি রাশি কথামৃত প্রচারিত হইতে পারে, কিন্তু জীবমানবের সংগ্রাম,—মানব-দেবতার সংগ্রামের সংবাদ আর खोनिबाब्र ऊं★ांग्न झश्लि नl । রামকৃষ্ণ পথের পথিক অসামান্তগুণসম্পন্ন বিবেকানন্দেরও সেই দশা ঘটিয়াছে। বিবেকানন্দের স্তায় প্রবলশক্তিশালী ও তীক্ষ্ণবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ আজকাল বড় বেশী দেখা যায় না। রাজা রামমোহন রায় প্রবাসকালে ইউরোপীয় জনমণ্ডলীর নিকট প্রাচ্য রত্নখনির দ্বারোদঘাটন করিয়াছিলেন কি না জানি না। সম্ভবতঃ কিছু করিয়াছিলেন। . --rم...ہ عبے উক্ত ও ভক্ত AASAASAASAASAASAASAASAAAS 88లి ح عمخمسه -هم- که ای- بهره به چ AASAASAASAAeSAeSAeSAeSAeSAAAAAS AAASASAAAeSAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA কারণ তাহা না হইলে, ঠিক তাহার লোকাস্তর গমনের পর স্বৰ্গীয় দ্বারকানাথ ঠাকুর মহাশয় বিলাতে অবস্থিতিকালে তাহার ইংলওঁীয় বন্ধুগণ কর্তৃক ভারতীয় নীতিধৰ্ম্ম সম্বন্ধে বক্তৃতা করিতে অনুরুদ্ধ হইয়াছিলেন। এবং এ বিষয়ের অজ্ঞতানিবন্ধন তিনি নিতান্ত বিপন্ন হইয়া বাল্যেপঠিত চাণক্যশ্লোক সকলের আশ্রয় গ্রহণ করিয়া বিপদে পরিত্রাণলাভ করিয়াছিলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে প্রাচ্যজ্ঞান বিষয়ে অগাধ । পাণ্ডিত্যের মণিময় মুকুটও লাভ করিয়াছিলেন। দ্বারকনাথের পর ও বিবেকানন্দের পূৰ্ব্বে যাহারা ধৰ্ম্মধ্বজ হস্তে লইয়া প্রতীচ্য পরিভ্রমণে যাত্রা করিয়াছিলেন তাহাদের কেহই মাতৃভূমির ধৰ্ম্মসম্পদের সংবাদ প্রচার করেন নাই। পরোপকারপরায়ণ ইংরাজঞ্জাতির বেদ বিধিরই উচ্চতর আলোচনা করিয়াছেন । সুতরাং ভারতধৰ্ম্ম-সংবাদের বার্তাবহন কার্য্য বিবেকানন্দের জন্তাক্ট অপেক্ষা করিতেছিল । পাশ্চাত্য সভ্যজগতে তিনিই হিন্দুপ্রচারকরূপে দেখাইয়াছেন যে বাইবেলই একমাত্র ধৰ্ম্মশাস্ত্র নহে, আর যিশুও একমাত্র সাধু নহেন। বাইবেল ও যিশু আছেন, আরও আছে। আর ভারতবর্ষষ্ঠ সেই অমূল্য ধৰ্ম্মসম্পদের মাতৃভূমি। এমন গুণবান পুরুষের স্বল্প জীবন আক্ষেপের বিষয় সন্দেহ নাই, কিন্তু সেই অল্পায়ু বিবেকানন্দ অত্যন্ন সময়ে যাহা করিয়াছেন অনেক জ্ঞানবৃদ্ধ অশীতিপরেরও সাধ্য নাই যে তাহ সম্পন্ন করেন । @ আমরা কি অসাধ্যসাধনপটু মানুষ দেখিলেই দেবতা করিয়া তুলিব ? অবতার শ্রেণীভুক্ত করিয়া দীনাত্মার তৃপ্তি লাভের প্রয়াস পাইব ? একটা পাচ সের ওজনের বেগুন দশ সের ওজনের একটা ফুলকপি বা আধমণ ওজনের একটা বাধাকপি দেখিয়া আমরা অবাক হইয়া থাকি । কৃষকের গুণপনারও ভূরি ভূরি প্রশংসা করিয়া থাকি। কিন্তু কি উপায়ে এরূপ উত্তম ফল ফলাইল, তাহ জানিবার জন্ত কয়টি লোক ব্যস্ত হয় ? উপায় শিক্ষা করিয়া, কাজে ফলাইয়া তুলিতে চেষ্টা কয়জন লোক করিয়া থাকে ? ইহারও একটা দৃষ্টান্ত দিভূেছি —পূর্কেই একস্থানে বলিয়া রাখিয়াছি—ব্রুমবিকাশের প্রণালীতে নরেন্দ্রনাথ দত্ত বিবেকানন্দে পরিণত হইয়াছিলেন । এই ক্রমবিকাশের প্রণালীস্থত্রে বিবেকানন্দের জীবনগঠন সম্বন্ধে তাহার সে