পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وت 88 এই বয়সে কাৰ্য্যক্ষেত্রে প্রবেশ করিলে, পদোন্নতি হইয়া কালক্রমে ষ্টেশান-মাষ্টার হইতে পরিবে, এমন কি, ইন্সেপেক্টারের পদও লাভ করিতে পারিবে ! ষ্টহাই তাহীদের ভবিষ্যতের আশা - তাহাদের মুখস্বপ্ন ! এই কথা ভাবিয়া তাছাদের মুখ হৰ্ষোৎফুল্প হইয়া উঠিল । কোন উপায়ে তাহার এক্ট রেল-কোম্পানীর কৰ্ম্মক্ষেত্রে পুত্রটিকে প্রবেশ করাষ্টয়া দিতে পারেন, কিন্তু,—র্তাহাদের স্নেহময় অন্তঃকরণের নিকট এই “কিন্তু”টি একটা বিষম “কিন্তু ”—প্রাণাধিক “খোকার” বিচ্ছেদ তাহারা-কি করিয়া সৰু করিবেন! ...ভারী-ভারী মাল-গাড়ির সংস্পর্শে, অনলোদগারী এঞ্জিনের সংস্পর্শে, তাহাকে কোন প্রাণে আসিতে দিবেন ? কিছুকাল পুৰ্ব্বে, যখন এদেশে রেলগাড়ী প্রথম চলিতে আরম্ভ করে, তখন এদেশের লোকেরা তাহাদের গরুবাছুর লইয়া ভয়ে পলাইয়া যায় নাই কি ?-- এইরূপ নানা ভাবনা ও আশঙ্কায় তাহাদের চিত্ত আন্দোলিত হইতে লাগিল ! মনকে যুক্তির দ্বারা বুঝাইবার চেষ্টা করিলেন, দম্পতি পরস্পরকে আশ্বাস ও ভরসা দিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন, কিন্তু কিছুতেই কিছু হইল না ! কোনরূপেই উহার মনস্থির করিতে পারিলেন না ! রেলের বড়-কৰ্ত্তাদের আফিসে কাজ পাইলে কোন বিপদের সম্ভাবনা নাই বটে, কিন্তু সে সব কাজে কোন চটক্‌ নাই—র্তাহাদের ছেলে জমৃকালে উদ্ধি পরিতে পাইবে না—পরিচ্ছদে ঝকমকে বোদাম থাকিবে না, সোনার তারা থাকিবে না ... তারপর, যখন আমাকে অ্যাঙ্গোরা হইতে প্রস্থান করিতে হইল, আমি দম্পতির নিকট বিদায় লইলাম। তাহারা আমায় যেরূপ অাদর যত্ন করিয়াছিলেন, তজ্জন্ত খুব উচ্ছাসভরে র্তাহাদের নিকট আমার অন্তরের কৃতজ্ঞতা জানাইলাম ; তাহারা উভয়েই ছলছল-চোখে পুত্রের মত আমাকে বিদায়-আলিঙ্গন দিলেন...পুত্রটির পিতা, কণ্ঠস্বর একটু বদলাইয়া, আমাকে এই কথা বলিলেন – —“এখন বোধ হয় তোমার উপর বিশ্বাস করে” আমরা মনস্থির করতে পারব...শুধু তোমার উপর বিশ্বাস করে।—যতক্ষণ ষ্টেশানের কর্তৃত্ব তোমার হাতে থাকৃবে, ততক্ষণ আমাদের কোন ভয় থাকৃবে না"... পুত্রটির মাতা, উদ্বেলিত হৃদয়ে, শুধু মাথা নাড়িয়া এই কথায় ---.---*مے.۔۔۔ صے ۔۔۔ -- ----.. প্রবাসী—মাখ, లి 8 S AA SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAASSAASAASAASAASAAASاوبامہ محمحب. .ے ہمسـم***۶ بهع [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড जांब्र निण । “किरू झांग्न ! ७ श्रांज्ञ कऊ लिटनग्न छछ, ষ্টেশানের কর্তৃত্ব কিছুদিন পরে, নিশ্চয়ই আবার অন্তের হাতে আসবে, তখন কি হবে ?...” আমি বলিলাম “ততদিনে আপনারা কতকটা অভ্যস্ত হয়ে পড়বেন। দেখুন, আর একটা বড় সরেশ কথা আমার মাথায় এসেছে —একটা ছোট-খাটো জায়গায় ষ্টেশান মাষ্টার আমি শীঘ্রই হব—অন্তত আমি এইরূপ আশা করচি—যাতে আপনাদের পুত্রটি সেই সময় আমার অধীনে শিক্ষানবসি কাজে নিযুক্ত হয় তার জন্য আপনারা একটু চেষ্টা তদবির করবেন ।...আপনার নিশ্চিন্ত থাকুন, আমি তার যথোচিত তত্ত্বাবধান করব।” খুব দৃঢ়তা সহকারে আমি এই কথা বলিলাম। “খোকা”কে সম্লেচ্ছভাবে আলিঙ্গন করিলাম। আমি যাইতেছি গুনিয়া “খোকার” গণ্ড বাহিপ্পা অশ্রদ্ধার ঝরিতে লাগিল । আমারও একটু মন ভিজিল । অবশেষে এই সজ্জনদিগের নিকট বিদায় লইয়া প্রস্থান করিলাম। “লেফকে” —এই ক্ষুদ্র গ্রামের নামে এই ষ্টেশানের নাম। ষ্টেশানের ঘরটি সাদা—উদাম উদ্ভিজ্জের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত। সম্মুখে একটি মুনীল সরোবর ! কিন্তু বাপরে কি নিস্তব্ধতা !—কি একঘেয়ে-ভাব ! “একলাটি” এই শব্দের যে প্রকৃত অর্থ—যে উদাস বিষাদময় অর্থ—তাহা এইখানে আসিয়াই প্রথম জানিতে পারিলাম ! এখানকার লোকের মধ্যে,—একজন মুসলমান রেলযোজক ও আর একজন মুসলমান কুলি—তারপর, আমি ! এখান হইতে প্রতিদিন দুইটা করিয়া প্যাসেঞ্জার ট্রেণ ছাড়ে,—একটা ইস্তাম্বুলের অভিমুখে, আর একটা তার উল্টাদিকে—অ্যাঙ্গোরার অভিমুখে যায়...কিন্তু এই ট্রেণে কোন আরোহীকে উঠিতে কিংবা নামিতে প্রায়ই দেখা যায় না । কখন কখন দেখা যায়, ষ্টেশানের কুলি ছোট ছোট রেশমের বস্তা বহিয়া আনিতেছে। বণিকেরা এই রেশম শকটে করিয়া গ্রাম হইতে আনয়ন করে। গ্রামে গুটিপোকার একটা সামান্ত কারৰার আছে। যাই হোক, লোকালয় হইতে বিচ্ছিন্ন এই জনহীন