পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য। ] = هیچ حیحع حمه - همه ممامی سهام ممسی অ-জান ক্ষুদ্র স্থানটিতে, একদিন বসন্ত-অপরাহ্নে এমন একটা লোমহর্ষণ ঘটনা ঘটিল যাহা আমি কখন ভুলিব না, যাহার দুঃখময় স্মৃতি—যত দিন বাচিব—পাষাণ-ভারের মত আমার বুকে চাপিয়া থাকিবে ... २ প্রায় ছয় সপ্তাহকাল এখানে আমি ষ্টেশান মাষ্টারের কাজ করিতেছি—এমন সময়ে কোম্পানীর কর্তৃপক্ষ হইতে একখানা পত্র পাইলাম ; তাহাতে আমাকে জানানে হইয়াছে, তাঙ্গর একজন শিক্ষানবীসকে পাঠাইতেছেন, সে টেলিগ্রাফের কাজ শিথিতে চাহে । আরও একটু অনুরোধ করিয়াছেন, যেন আমি তাহাকে যত্বপূৰ্ব্বক सििक्रो लिङ्गे । এই শিক্ষানবীসটি আমার সেই অ্যাঙ্গোরার বালকবন্ধু—“খোকা” । ইহার দুই দিন পরে, “খোকার” বাপ মা থোকাকে আমার নিকট লইয়া আসিল । র্তাহাদের নিকট ইহা একটা মস্ত ঘটনা ! এই দৃপ্তটিতে যেমন বাৎসল্য রস আছে, তেমনি একটু হাস্তরসও আছে ! ইহা তাঙ্কাদের প্রথম রেলপথের ভ্রমণ। স্বামী স্ত্রী দুজনেই যথাসাধ্য ভাল বেশভূষা করিয়া আসিয়াছেন... তাহার পর দুজনেই, তাহাদের সেই সৰ্ব্বস্বধন একমাত্র পুত্রের— একজন বাম হস্ত ও আর একজন দক্ষিণ হস্ত ধারণ করিয়া গম্ভীরভাবে ট্রেণ হইতে অবতরণ করিলেন ! এই বালককেই তাহারা আমার হাতে সঁপিয়া দিয়াছিলেন ... এই “সপিয়া দেওয়া”র মধ্যে কত কথাই নিহিত আছে—আমার দায়িত্বগ্রহণ এবং তাছাদের তীব্র আবেগ, উৎকণ্ঠ, ঐকান্তিক অনুরোধ, যাচঞ, কাতর প্রার্থনা ও মৰ্ম্মভেদী অশ্রধারা !... সেই দিনেই সায়াহ্লে আবার তাহারা স্বস্থানে ফিরিয়া গেলেন-ট্রেন্‌টা যখন কাছাকাছি আসিল, রালকের পিতা মাতা, বালককে বুকে চাপিয়া ধরিয়া কাদিতে লাগিলেন। আমার লঘু প্রকৃতি, আমি এ পর্য্যস্ত জীবনকে কখনই গম্ভীর ভাবে দেখি নাই ; কিন্তু এই দুর্ঘটনা 8.8% প্রথম বার আমার হৃদয়ে এক প্রকার অপূৰ্ব্ব গাম্ভীর্যরসের আবির্ভাব হইল। আমি খুব গম্ভীরভাবে তাহাদিগকে বলিলাম :—“আপনারা নিশ্চিন্তু হয়ে ঘরে ফিরে যান, আমি আপনাদের ছেলের তত্বাবধান করব...।” এই বালকের উপর আমার টান ক্রমেই বাড়িতে লাগিল, উহাকে আমার ছোট ভাইটির মত ভালবাসিতে লাগিলাম। বালকটি খুব স্নেহশীল, খুব বাধ্য ; বুদ্ধিও সচরাচরের চেয়ে একটু বেশী ; স্বনম্য প্রকৃতি, সহজেই সমস্ত আপনার করিয়া লইতে পারে, এক কথায়, ছেলেটি বড় ভাল। যদিও সামান্ত ঘরে জন্ম, যদিও একটা সামান্ত গ্রাম্য পাঠশালায় শিক্ষা পাইয়াছে, তথাপি এই টেলিগ্রাফের কাজে নিযুক্ত কষ্টয়া, টেলিগ্রাফের কাজ এত শীঘ্ৰ শিথিয়া ফেলিল, এমন লঘু হস্তে টেলিগ্রাফের যন্ত্র নাড়াচাড়া করিতে লাগিল যে দেখিয়া আমি বিস্মিত হইলাম। শিখাষ্টতে আমার একটুও কষ্ট পাইতে হয় নাই। উচ্চার পিতা মাতা যে আশা করিয়াছিল,—এক দিন তাহাদের পুত্রটি “উপরিতন কৰ্ম্মচারী"র পদে নিযুক্ত sচয় জমৃকাল জরির-কাজ-করা উর্দি পরিতে পারিবে, আমার মনে হইল—র্তাহাদের সে আশা অচিরাং পূর্ণ হইবে ! আমাদের অবসর সময়ে, আমরা দুজনে রেল-লাইনের ধার দিয়া বেড়াইতাম ; পাশ্ববর্তী ছোট ছোট পাহাড়ে উঠিতাম,—পাহাড়গুলি পুষ্পিত তরুলতায় আচ্ছন্ন। সেখান হইতে দিগন্তের চমৎকার দৃশু আমাদের নেত্রসমক্ষে উদঘাটিত হইত...আবার নিকটস্থ নীল সরোবরে রেলষ্টেশানের একটা ডিঙ্গি করিয়া আমরা বেড়াইতাম—সরোবরে আকাশের নীল ছায়া পড়িয়াছে—সরোবরটি দর্পণের দ্যায় স্বচ্ছ ও মসৃণ ! . . . আমরা দুষ্টজন ছিলাম, হঠাৎ আমাদের আর একটি সঙ্গী জুটিয়া গেল, এখন আমরা তিনটি হইলাম। একদিন প্রাতঃকালে, ষ্টেশানের দরজার সামনে, একটা কুকুর দেখিতে পাইলাম—নীছু লেজ, চোখে মৃদ্ধতা ও বাচ্ঞার ভাব ; বড় জাতের কুকুর, গায়ের রোয়াগুলা খাড়া হইয়া আছে, সাদার উপর ধুসর রঙ্গের দাগ, সেণ্টনোর্ড ও রাখাল-কুকুরের মিশ্রণ ।