পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88b

  • ه-م ماه مارجه جمعیسه می تب۳۰ "

কুকুরটা কোথা হইতে আসিল, গলার চৰ্ম্ম-বন্ধন নাই, রাস্তায় রাস্তায় ঘুরির বেড়াইতেছে। এ দিকে দেখিতে বেশ জমৃকালো ও হৃষ্টপুষ্ট। এই অ-চেনা কুকুরটাকে আমাদের নিজস্ব করিয়া লইলাম। পরে ইহার দরুণ আমাদের কখন অকুতাপ করিতে হয় নাই । উহার পূৰ্ব্বেকার নাম আমরা জানিতাম না ; আমরা উচ্চার নূতন নাম দিলাম—“ফিলস”। গ্রীকৃ ভাষায় ফিলসের অর্থ—বন্ধু। - আমাদের এই সঙ্গীটি খুব প্রভূভক্ত হইয়া উঠিল— বিশেষত বেশ পাহারা দিত। ক্রমে এমনি হইল, যেন উহাকে নষ্টলে আমাদের চলে না । , এক দিকে আমাদের কাছে যেমন নিরীক্ত ও প্রভু-বৎসল, তেমনি আবার অন্ত জন্তুর পক্ষে ভীষণ ও দুর্দান্ত । গ্রীষ্ম-রাত্রে আমরা কখন কখন যখন বেড়াইতে যাইতাম, এই কুকুর আমাদের রক্ষক হইয়া সঙ্গে সঙ্গে চলিত। ইতি পূৰ্ব্বে আমরা শৃগালের ভয়ে বাড়ী হইতে বেশী দূৱ যাইতে পারিতাম না। এখানে শৃগালের রাত্রে দল বাধিয়া বাকির হয়, কখন কখন মানুষকেও আক্রমণ করে ; কিন্তু ইহারা কুকুরকে বড় ভয় করে। তাই ফিলস আমাদের সঙ্গে থাকিলে, আমরা যেখানে সেখানে নিৰ্ভয়ে যাক্টতে পারিতাম । বিশেষত আমার বালক-সঙ্গী “খোকা”, কুকুরটাকে অত্যন্ত ভাল বাসিত,—অতিরিক্ত রকম ভাল বাসিত । উহাকে কত রকম করিয়াই যে আদর করিত তা বলা যায় না। ফিলস্ও সেই আদর যত্নের যেরূপ প্রতিদান করিত —দেখিলে অবাকৃ চইতে হয়। ফিলসের প্রভুসেবার একটা দৃষ্টান্ত দিষ্ট । ট্রেন ষ্টেশানের কাছাকাছি হইবার সময় দৈবাৎ যদি কখন আমার বালক-সঙ্গীর রেলের মাঝখানে, কিংবা ঠিক ধারে দাড়ান আবশুক কষ্টত, ঐ কুকুরটা তার কাপড়ের প্রান্ত ধরিয়া টানিত, যতক্ষণ না পিছু হটিয়া আসিত, ততক্ষণ ছাড়িত না—এমন কি, পায়ের কাছে সটান শুষ্টয়া পড়িত—য়ূেন সে নীরব ভাষায় এইরূপভাবে বলিত ৪—“আর ওদিকে যাইও না, ট্রেন আসিবার সময় হইয়াছে।” বালকের পিতা মাতা অ্যাঙ্গোর হইতে বালককে প্রায়ই প্রবাসী—মাঘ, ১৩১৭ SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS { >०म छां★, २ब्र थ७ AeeAAA AAAA AAAASAASAASAASAA পত্র লিখিতেন ও সেই সঙ্গে খাদ্যসামগ্ৰী মিষ্টান্ন প্রভৃতিও পাঠাইতেন । সেই পত্রগুলিতে স্নেহ যেন উছলিয়া পড়িতেছে ; তাতে কত উপরোধ, কত উপদেশ, কত স্থপরামর্শই থাকিত ! একমাস হইল, বালক র্তাহাদের নিকট হইতে চলিয়া আসিয়াছে ; বড় ইচ্ছা, তাহাকে একবার দেখিয়া আসেন। অনেক সময় নিশ্চয় যাইবেন বলিয়া স্থির করেন— কিন্তু প্রতিবারই, একদিনের দীর্ঘপথ ভ্রমণ করিতে হইবে, মনে করিয়া ইতস্তত করেন । অবশেষে একদিন পত্রের, দ্বারা জানাইলেন, আগামী রবিবারে তাহারা পুত্রকে দেখিতে আসিবেন। ওঃ ! পিতামাত আসিতেছেন বলিয়া “খোকার” কি আনন্দ ! সেই প্রত্যাশায় সে এক জায়গায় স্থির থাকিতে পারিল না, তাহাদিগকে দেখিবার জন্ত ছটফট করিতে লাগিল । আমারও মনে কত আনন্দ হইল । যাহারা আমার প্রতি কত মমতা, কত যত্ন করিয়াছিলেন, র্যাহণদের অকপট বন্ধুতার ঋণ আমি কখনই শুধিতে পারিব না, যাহারা তাছাদের প্রাণাধিক পুত্রটিকে আমার হাতে হাতে সপিয়া দিয়াছিলেন, সেই সদাশয় লোকদুটিকে আবার আমি দেখিতে পাইব ! তাহাদিগকে আমার বাড়িতে রাখিব, তাহাদিগের আতিথ্যসৎকার করিব, তাহাদিগকে দেখাইব, —আমার ছাত্রের কতটা শিক্ষা হইয়াছে, কতটা উন্নতি হইয়াছে—ইহাতে আমার মনের কতটা সন্তোষ হইবে • • • । - এই শুভদিনের উপলক্ষে আমাদের ক্ষুদ্র ষ্টেশানটী উৎসবের ভাব ধারণ করিল। আমাদের আফিস-ঘর, আমাদের “ওয়েটং-রুম্‌” যাহাতে একটু প্রফুল্প ভাব ধারণ করে, এই জন্ত আমরা খুব ভোরে পাহাড়ের উপর উঠিয়া শিশির-সিক্ত কতকগুলি তাজা ফুল আনিয়া ঘর সাজাইলাম । গ্রাম হইতে মুস্বাছ খাদ্যসামগ্রী ও ইস্তাম্বুল হইতে উৎকৃষ্ট মদিরা ও সরস ফলমূল আনাইলাম। শয়ন-কক্ষে যাহাতে তাহারা আরামে শুইতে পারেন, তজ্জন্ত যথাসাধ্য আয়োজন করিলাম। এমন কি ফিলসও কি একটা আনন্দের ব্যাপার হইতেছে—তাহার সহজ বুদ্ধিতে অনুভব করিয়া আনন্দে লেজ নাড়িতে লাগিল ।