পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* / ৪৫২ . • छिन्निश dब्र चाब्राहे अशzउब्र अछ गभरछ किडू झाउहे श्रांभि স্বতন্ত্র । আমি জান্‌চি যে আমি আছি, এই জানাটি যেখানে জাগৃচে সেখানে অস্তিত্বের সীমাহীন জনতার মধ্যে আমি একেবারে একমাত্র। আমিই হচ্চি আমি, এই জানাটুকুর অতি তীক্ষ খঙ্গের দ্বারা এই কণামাত্র আমি অবশিষ্ট ব্রহ্মাগুকে নিজের থেকে একেবারে চিরবিচ্ছিন্ন করে নিয়েছে, নিখিল-চরাচরকে আমি এবং আমি-না এই ছষ্ট ভাগে বিভক্ত করে ফেলেছে ! কিন্তু এই যে ঘর ভাঙাবার মূল আমি, মিলিয়ে দেবার মূলও হচ্চেন উনি ; পৃথক না হলে মিলনও হয় না। তাই দেখতে পাচ্চি সমস্ত জগৎজুড়ে বিচ্ছেদের শক্তি আর মিলনের শক্তি, বিকর্ষণ এবং আকর্ষণ, প্রত্যেক অণু পরমাণুর মধ্যে কেবলি পরম্পর বোঝাপড় করচে। অামার আমির মধ্যেও সেই বিশ্বব্যাপী প্রবাও দুই শক্তির থেলা ;—তার এক শক্তি প্রবল হাত দিয়ে ঠেলে ফেলচে আর এক শক্তি প্রবল হাত দিয়ে টেনে নিচ্চে। এমনি করে আমি এবং আমি-নার মধ্যে কেবলই আনাগোনার জোয়ার ভাটা চলেচে। এমনি করে আমি আমাকে জান্‌চি বলেই তার প্রতিঘাতে সকলকে জান্‌চি এবং সকলকে জানচি বলেই তার প্রতিঘাতে আমাকে জানচি। বিশ্ব-আমির সঙ্গে আমার আমির এই নিত্যকালের ঢেউ-খেলাখেলি । এই এক আমিকে অবলম্বন করে বিচ্ছেদ ও মিলন উভয় তত্ত্বই আছে বলে’ আমিটুকুর মধ্যে অনন্ত দ্বন্দ্ব ! যেদিকে সে পৃথক্ সেইদিকে তার চিরদিনের দুঃখ, যেদিকে সে মিলিত সেইদিকে তার চিরকালের আনন্দ ; যেদিকে সে পৃথক সেইদিকে তার স্বার্থ সেইদিকে তার পাপ, যে দিকে সে মিলিত সেই দিকে তার ত্যাগ সেদিকে তার পুণা ; যেদিকে সে পৃথক সেই দিকেই তার কঠোর অহঙ্কার, ষে দিকে সে মিলিত সেই দিকেই তার সকল মাধুর্যের সার প্রেম। মামুষের এই আমির একদিকে ভেদ এবং আরএকদিকে অভেদ আছে বলেই মানুষের সকল প্রার্থনার সার প্রার্থন হচ্চে দ্বন্দ্ব সমাধানের প্রার্থনা ; অসতোম সদগময়, তমসে মা জ্যোতিৰ্গময়, মৃত্যোৰ্মামৃতং গময়। সাধক কবি কবীর দুটিমাত্র ছত্রে আমি-রহস্তের এই তত্ত্বটি প্রকাশ করেছেন :-- প্রবাসী—মাঘ, ১৩১৭ [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড शव रुभ ब्रझ्ण ब्रह नहैिं ¢कान्ने, হমরে মাছ রহল সব কোঈ । অর্থাৎ, আমির মধ্যে কিছুষ্ট নেট কিন্তু আমার মধ্যে সমস্তষ্ট আছে। অর্থাৎ এই আমি একদিকে সমস্ত হতে পুথক তয়ে অদ্যদিকে সমস্তকেই আমার করে নিচে । এই আমার দ্বন্দ্বনিকেতন আমিকে আমার ভগবান নিজের মধ্যে লোপ করে ফেলতে চানন, একে নিজের মধ্যে গ্রহণ করতে চান। এই আমি তার প্রেমের সামগ্ৰী ; এ’কে তিনি অসীম বিচ্ছেদের দ্বারা চিরকাল পর করে অসীম প্রেমের দ্বারা চিরকাল আপন করে নিচ্চেন । এমন কত কোটি কোটি অন্তহীন আমির মধ্যে সেই এক পরম আমির অনন্ত আনন্দ নিরস্তর ধ্বনিত তরঙ্গিত হয়ে উঠচে। অথচ এই অন্তহীন আমি-মণ্ডলীর প্রত্যেক আমির মধ্যেই তার এমন একটি বিশেষ রস বিশেষ প্রকাশ, যা জগতে আর কোনোথানেই নেই । সেই জন্তে আমি যত ক্ষুদ্রই হই আমার মত র্তার আর দ্বিতীয় কিছুই নেই ; আমি যদি হারাষ্ট তবে লোক-লোকান্তরের সমস্ত হিসাব গরমিল হয়ে যাবে। সেই জন্তেই আমাকে নইলে বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের নয়, সেই জন্তেই সমস্ত জগতের ভগবান বিশেষরূপেই আমার ভগবান, সেই জন্তেই আমি আছি এবং অনন্ত প্রেমের বাধনে চিরকালই থাকৃব । আমির এই চরম গৌরবের কথাটি প্রতিদিন আমাদের মনে থাকে না । তাই প্রতিদিন আমরা ছোট হয়ে সংসারী হয়ে সম্প্রদায়বদ্ধ হয়ে থাকি । কিন্তু মানুষ আমির এই বড়দিকের কথাটি দিনের পর দিন, বৎসরের পর বৎসর ভুলে থেকে বাচবে কি করে ? তাক্ট প্রতিদিনের মধ্যে মধ্যে এক একটি বড়দিনের দরকার হয় । আগাগোড়া সমস্তই দেয়াল গেথে গৃহস্থ বঁাচে না, তার মাঝে মাঝে জানলা দরজা বসিয়ে সে বাহিরকে ঘরের ও ঘরকে বাহিরের করে রাখতে চায়। বড়দিনগুলি হচ্চে সেক্ট প্রতিদিনের দেয়ালের মধ্যে বড় দরজা । আমদের প্রতিদিনের সূত্রে এই বড়দিনগুলি স্বৰ্য্যকান্ত মণির মত গাথা হয়ে যাচ্চে ; জীবনের মালায় এই দিনগুলি যত বেশি, যত খাটি, যত বড়, আমাদের জীবনের মূল্য তত বেশি, আমাদের জীবনে সংসারের শোভা তত বেড়ে ওঠে।