পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভুবনেশ্বরের মন্দির। গুহাসমূহ পরবর্তী সময়ে রচিত হইলেও সহজেই দর্শকের মনোযোগপুর্ণ দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া থাকে। এই গুহাগুলি সৰ্ব্বশুদ্ধ সংখ্যায় ৬৬টা ; তাঙ্কার মধ্যে ৪৪টা উদয়গিরিতে, ১৯টী থওগিরিতে এবং ৩টা নীলগিরিতে। উদয়গিরির গুহাসমুহের মধ্যে “রাণীহংসপুর’ অথবা “রাণীগুম্ফা সৰ্ব্বাপেক্ষা বিখ্যাত । সম্ভবতঃ গুহাটী অতি প্রাচীনতম কালে খোদিত হইয়াছিল ; এতদ্ভিন্ন আকারে এবং স্বচারুগঠনে ইহা বিশেষরূশে উল্লেখযোগ্য । ইহার তিন ধারে দ্বিতলবিশিষ্ট কক্ষাবলী শ্রেণীবদ্ধ; কিন্তু ইহার দক্ষিণ-পূৰ্ব্ব অংশ সম্পূর্ণরূপে অনাবৃত । এই বৃহৎ গুহাটী জৈন তীর্থঙ্কর পরেশনাথের প্রতি সন্মানার্থ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। পরেশনাথের জীবনের ঘটনাবলীর নানাবিধ চিত্রাদি বৃহৎ আকারে ইহার ভিত্তিমগুলে খোদিত হইয়াছে। ম্যালী সাহেব ও শ্ৰীযুক্ত মনোমোহন চক্রবর্তী মহাশয়ের মতে এটী জৈন-গুম্ফা । র্তাহারা তাহাদের পুরী বিষয়ক গ্রন্থে এতৎ সম্বন্ধে উৎকৃষ্ট বিবরণ লিখিয়াছেন । গুহাস্থিত ভাস্কৰ্য্য প্রতিমূৰ্ত্তি সকল প্রকৃতই তাহাদিগের বাক্য সপ্রমাণ করিয়া দেয় । খণ্ডগিরির গুহাসমুহ পথের পশ্চিম পাশ্বে অবস্থিত। উত্তরদিক হইতে পরিদর্শন করিতে আরম্ভ করিগে প্রথমতঃ দুইটী গুহ নয়নগোচর হইবে । গুহার উপরিভাগে খোদিত চিত্র তোতাপাখীর নামানুসারে এই গুহ্যদ্বয় অভিহিত হইয়াছে । উভয়টাতেই উৎকীর্ণ লিপি রহিয়াছে। তাহ হইতে জানিতে পারা যায় যে ইহাতে এক সময়ে বহুবিধ লোকসমাগম হইত। ইহার পর পশ্চিমদিকে অগ্রসর হইলে “তেণ্ডুলী গুহ” দৃষ্ট হইবে । তথা হইতে দক্ষিণপূৰ্ব্বে গমন করিলে ওগো" গুহ দেখিতে পাওয়া যাইবে। ইহার ঠিক দক্ষিণেই আর একটা গুহা দেখা যায় ; তাহার নাম “ধানঘর” গুহ । ইহাতে একখানি শিলালিপি আছে । যদিও লিপিগুলি অস্পষ্ট হইয়া গিয়াছে তথাপি