পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য } ও হৃদয়ভাবের চিত্র লইয়া কবিতা রচনা করিয়াছেন । দয়ারামের কবিতা গুজরাতি রমণীগণের হৃদয়স্বরূপ। নিরক্ষর কৃষকরমণীর মুখেও দয়ারামের কবিতা শ্রত হইয়া থাকে । বৃটিশ শাসনের প্রারম্ভকাল হইতে গুজরাতি সাহিত্যের চতুর্থ যুগ আরম্ভ হইয়াছে। এ যুগের প্রথম কবি দলপতরাম। দলপতরাম গুজরাতে নুতন বিদ্যা অনুশীলনের উদ্দীপনা আনয়ন করেন । তাছার বিশেষ চেষ্টা উদ্যোগে গুজরাতের সর্বত্র স্ত্রী বিদ্যালয় স্থাপিত হয় । তাহার রচিত পদ্যেও স্ত্রীশিক্ষা বিষয়ক বহুল উল্লেখ আছে। চারিখণ্ডে সম্পূর্ণ সরস্বতী চন্ত্রিক প্রণেতা গোবৰ্দ্ধনরাম ত্রিপাটী নব্যযুগের আদর্শ গদ্য লেখক । কাব্য লেখকদের মধ্যে বহুল-সংস্কৃতশব্দপ্রয়োগকুশল নরসিংহ রাও এর কবিতা সুন্দর । শ্ৰীকেশব কর্ষ ধ্রুব গীতগোবিন্দের একখানি সুললিত পদ্য অনুবাদ করিয়া প্রশংসাভাজন হইয়াছেন । কলাপী প্রণীত কেক| রবও সুন্দর গ্রন্থ । এই চারি যুগে ভাষার অনেক প্রভেদ দৃষ্ট হয়। পুরাতন গুজরাতি শব্দ বর্তমান সময়ে অনেক পরিত্যক্ত চইতেছে এবং নুতন শব্দের স্থান লাভ ঘটতেছে। গুজরাতি কাব্যে ছন্দ সৰ্ব্বত্রই সংস্কৃত ছন্দের অমুগামী । অষ্টপৃষ্ঠে অনুকরণ-প্রণোদিত ছন্দের বাধনে বন্ধ হইয়া পষ্ঠ অনেক অসরল কষ্টয়াছে । ভাষার অবারিত প্রবাহ না থাকিলে হৃদয়ের ভাব পদে পদে খণ্ডিত হইয়া যায়। গুজরাতের প্রাচীন সাহিত্য অত্যুৎরুষ্ট সন্দেহ নাই। নূতনকালে পুরাতনের গভীর ভাবকে পরিত্যাগ ও নুতনের অগভীর ভাবকে সার্থী করিয়া পদ্য রচিত হইতেছে। কাজেই মানবহৃদয়কে গভীরভাবে স্পর্শ করিতেছে না । ঐরবীন্দ্রনাথ সেন । প্রাচীন ভারতে বিদেশীe দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতবর্ষীয়দিগের প্রতি যেরূপ আচরণ প্রকাশ পাইতেছে তাহার সহিত তুলনা করিয়া স্থ হাজার বৎসর পূৰ্ব্বে বিদেশীয়গণ ভারতবর্ষে কিরূপ প্রাচীন ভারতে বিদেশী অভ্যর্থনা লাভ করিত সেই কথা স্বভাবতই মনে উদিত

  • हेखिझांन ब्रिछिन्नु इहेष्ठ महजिठ ।

8õማ 漫 عاع - **۶۰-مه همسایهها متمم - ۰ تا इंभ्रु । বহু কাল হইতেই বাণিজ্য ব্যবসায়ে আকৃষ্ট হষ্টয়া বিদেশী জাতি ভারতবর্ষে আসিতে আরম্ভ করিয়াছিল । মৌর্য্য ংশের রাজত্বকালে তথনকার রাজধানী পাটনায় বিদেশীদের, বিশেষত বহুসংখ্যক গ্রীকদের, সমাগম ঘটিয়াছিল। রাজা চন্দ্রগুপ্তের সময়ে পাটনার পুরশাসনতন্ত্রের ( মিউনিসিপালিট ) একটি বিশেষ বিভাগ কেবল মাত্র বিদেশীয়দের পরিচর্যার জন্ত নিযুক্ত ছিল। পাটনার এই পুরশাসনতন্ত্র ছয়টি ভাগে বিভক্ত ছিল এবং তাহারই মধ্যে দ্বিতীয় বিভাগের উপর বিদেশীদের ভার স্থাপিত ছিল । ষ্ট্রাবে গিখিয়াছেন,— “এই দ্বিতীয় বিভাগটি বিদেশীদের অভ্যর্থনা করে, তাহদের বাসস্থানের বন্দোবস্ত করিয়া দেয়, তাহাদের সেবা শুক্রবার জন্ত ভৃত্য নিয়োগ করে, দেশে ফিরিবার সময় তাহদের রক্ষকতার জন্ত পরিচারক সঙ্গে দেয়, আৰষ্ঠক মত উহাদের ধনসম্পত্তি তাহাদের স্বদেশে পাঠাইবার ব্যবস্থা করে, রোগের সময় শুশ্রুষা করে ও উহাদের মৃত্যু হইলে অস্তোটি সৎকার সম্পন্ন করে ।” তখন বিদেশীয়গণ ভারতবর্ষে আসিতে কোন বাধা পাইত না । মৈমুরের শু্যাম শাস্ত্রী চাণক্যের যে অর্থনীতি শাস্ত্র অনুবাদে নিযুক্ত আছেন তাহাতে দেখা যায় যে সেকালে বাণিজ্য পরিদর্শক বিশেষ ভাবে বিদেশী পণ্যজীবীদিগকে অনুগ্রহ করার জন্ত আদিষ্ট ছিলেন । বিদেশী বণিকগণকে বাণিজ্যের কর দিতে হইত না এবং ঋণের জন্ত তাহাদের নামে নালিশ চলিত না । অন্তান্ত বিদেশীয়দিগের প্রতিও এষ্টরূপ শিষ্টাচরণ করা হইত। মাদুরার ও ক্রাঙ্গানোরের উপনিবেশিকগণ যে এ দেশে সদ্ব্যবহার লাভ করিয়াছেন তাহাতে সন্দেহ নাই। পশ্চিম উপকূলের সিরিয়ান খৃষ্টান ও ইহুদী অধিবাসীদের প্রতিও যেরূপ উদার আচরণ করা হইয়াছে তাহা হইতেই স্পষ্ট বুঝা যায় যে বৈদেশিকদের প্রতি হিন্দু রাজন্তগণের কিরূপ অমুকুল ভাব ছিল। যদিচ পাটনা মাছরা প্রভৃতি স্থানের রোমান ও গ্রীক উপনিবেশিকদিগের স্তায় ইহার ইয়োরোপীয় নহে তথাপি, হিন্দু রাজগণের মনে এ প্রশ্ন কখনই উদয় হয় নাই যে ইহার প্রাচ্য কি পাশ্চাত্য ; র্তাহাদের নিকট উভয়েই সমান ছিল। সিরিয়ান অথবা ইহুদী, রোমান অথবা গ্ৰীক, সকলেরই আচার ব্যবহার