পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8어8 =s.ده=** হইয়াছে এবং প্রত্যেক ধৰ্ম্মের অভ্যন্তর হইতে কালে কালে কুসংস্কার ও আবর্জন বর্জনের যত আন্দোলন হইয়াছে সকলগুলিষ্ট এইরূপ নূতন আকাঙ্ক্ষা ও নূতন অভাব সৃষ্টির ফল। এইরূপ প্রচারের প্রভাবেই সভ্যজগৎ হইতে দাসত্বপ্রথা দূরীভূত হইয়াছে। উন্নত রাষ্ট্রের লক্ষণগুলি স্বীয় সমাজে প্রতিষ্ঠিত করিয়াই প্রসিয়া ইউরোপীয় রাষ্ট্র-সমাজে উন্নত স্থান লাভ করিয়াছে। ধৰ্ম্মপ্রচারক এবং সমাজ-সংস্কারকের স্বকীয় আদর্শগুলি বিভিন্ন সমাজে বিস্তার করিতে যাইয়া অনেক নিরক্ষর, অৰ্দ্ধসভ্য এবং কুশিক্ষিত জাতিকে মুসভ্য, স্বশিক্ষিত এবং সাহিত্যবান করিয়া তুলিয়াছেন। ভাষা ভাব প্রকাশের উপায় মাত্র। যত উপায়ে এবং যে যে প্রণালীতে মানব আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করিতে পারে সেই সমুদয় উপায় ও প্রণালীর সম্যক ব্যবহার করিলেই ভাষার সম্পদ বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় । মনোভাব ব্যক্ত করিবার প্রণালীর বৈচিত্র্যে ভাষার বৈচিত্র্য । আবার ভাবই সাহিত্যের প্রাণ। যত উপায়ে মানবের ধারণা ও চিন্তার গণ্ডি বিস্তৃত ও গভীর হয়, যে উপায় অবলম্বন করিলে ভাবনার বৈচিত্র্যের সৃষ্টি হয়, যাহাতে মানবচিত্ত বিবিধ আকাঙ্ক্ষা ও বাসনার ক্ষেত্র হয়, সেই সকল উপায়েষ্ট সাহিত্যের বৈচিত্র্য ও জটিলতা সৃষ্ট হয়, সাহিত্য-সম্পদ বৃদ্ধি পায় । মানবের কৰ্ম্মক্ষেত্রই সকলপ্রকার ভাব ও ধারণার কারণ । জীবনের বৈচিত্র্য ও গভীরতায়ই চিন্তা ও আকাঙ্ক্ষার প্রাচুর্য্য ও বৈচিত্র্য জন্মে। সুতরাং ভাষা ও সাহিত্যকে সমৃদ্ধিসম্পন্ন ও ঐশ্বৰ্য্যশালী করিতে হইলে বিবিধ উপায়ে প্রকৃত জীবনে কৰ্ম্মক্ষেত্রকে বিচিত্র সমস্তাপূর্ণ ও ঘটনাবহুল করিয়া তুলিতে হইবে । রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনে সমগ্রতা, সৰ্ব্বগ্রাহিত এবং সচেষ্ট কৰ্ম্মপ্রবণতা প্রবিষ্ট না হইলে ভাষা নিজের সামর্থ্য প্রকটিত করিবার সুযোগ পায় না ; সাহিত্যও নিজকে সৰ্ব্বত্র প্রসারিত করিয়া বিপুল ও বেগবান হইতে পারে না । & ভারতবর্ষের আধুনিক ভাষা ও সাহিত্যগুলিকে পরিপূর্ণ প্রবাসী—মাঘ, ১৩১৭ [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড ه - که امی - * ۰عه مع- * معر বাসিগণের জীবন যাহাতে বিচিত্র কর্তব্যময় এবং ঘটনাবহুল হয় তাহার চেষ্টা করিতে হইবে । বাঙ্গালাদেশ এবং মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব ও মান্দ্রাজ যাহাতে পরস্পর পরম্পরকে বিশেষভাবে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে চিনিতে পারে তাহার আয়োজন করিতে হইবে। এক প্রদেশের লোক অদ্যপ্রদেশে যাইয়া যাহাতে কৰ্ম্মক্ষেত্র সৃষ্টি করিয়া লইতে পারে তাছার সহায়তা করিতে হইবে। বিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রদেশের ভাষাসমূহ শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করিতে হইবে। বাঙ্গাল, মারহাটি ও তামিল অন্ততঃ এই তিনটী ভাষা যাহাতে ভারতবর্ষের সকলস্থানে উচ্চ শিক্ষার বিষয় হয় তাহার চেষ্টা করিতে হইবে । এইরূপে আমাদের প্রত্যেক প্রদেশকে অন্যান্ত প্রদেশের সহিত বিচিত্র উপায়ে কুটুম্বিত স্থাপন করিতে হইবে। এতদ্ব্যতীত পৃথিবীর অন্যান্ত দেশের সহিত ভারতবর্ষের সম্বন্ধ ঘনিষ্ট করিতে হইবে । ভারতবাসীরা যাহাতে ভিন্ন ভিন্ন জাতির মধ্যে বাস করিয়া তাহাদের সমাজে, বিদ্যায়, বাণিজ্যে এবং অন্তান্ত কৰ্ম্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠালাভ করিতে পারে তাহার জন্ত চেষ্টা করিতে হইবে । বিভিন্ন রাষ্ট্রে কৰ্ম্মচারীর পদে নিয়োজিত হইয়। যাহাতে আমাদের দেশের শিক্ষিত লোকেরা বিদেশেই জীবন যাপন করিতে পারেন, বিভিন্ন দেশে যাহাতে আমাদের প্রচারকের ভারতবর্ষের সমাজ, ধৰ্ম্ম ও সাহিত্য আলোচনা করিয়া শিক্ষিত জাতির সহানুভূতি আকৃষ্ট করিতে পারেন এবং যাহাতে বিভিন্ন সভ্যজাতির রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, সমাজের অবস্থা, সাহিত্যের ক্রমবিকাশ, ব্যবসায় এবং ধৰ্ম্মজীবন আমাদের প্রদেশসমূহে মুবিস্তৃতরূপে আলোচিত হইতে পারে তাহার ব্যবস্থা করিতে হইবে। ফরাসী ও জাৰ্ম্মান অন্ততঃ এই দুইটা ইউরোপীয় ভাষা ভারতবর্ষের উচ্চশিক্ষাপদ্ধতিতে সুপ্রচলিত করিতে হুইবে । এইরূপে আমাদের চিন্তা ও কৰ্ম্মক্ষেত্র প্রসারিত হইলে আমাদের ভাবনারাশি ক্রমশঃ বিচিত্র ও জটিল হইতে পারিবে। জীবনকে বৈচিত্র্যময় এবং কৰ্ম্মবহুল করিয়া তুলিবার চেষ্টা করিলে যে কেবল এক বিচিত্র সাহিত্যের উপাদান মাত্র স্বই হইবে তাহা নহে সঙ্গে সঙ্গে এক অভিনব