পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য। ] এলাহাবাদ প্রদর্শনী 8brఫి কামনা করিতেছেন। সে ডাকে সাড়া দিবার সময় অনেক সময় নদীগর্ভে জীবিত ছাগ ও কবুতরগুলি প্রাণ আসিয়াছে। এইরূপ সন্ন্যাস এই কৰ্ম্মের যুগে একান্ত কারায়, আবার কখন কখন মাংসলোলুপ ব্যক্তিগণ দয়া আবগুক । নাগপুরে মুসলমানসভা মুসলমানগণ নাগপুরে মসলেম লীগ, এবং মুসলমান শিক্ষাসমিতির অধিবেশনে সম্মিলিত হইয়াছিলেন। ঐযুক্ত নবীউল্লা মসলেম লীগের এবং শ্ৰীযুক্ত ইউসফ আলি শিক্ষাসমিতির সভাপতি হইয়াছিলেন। হিন্দুমুসলমান সমস্ত সম্বন্ধে ভবিষ্মতে যদি কিছু লিখিতে পারি, তাহ হইলে প্রসঙ্গত এই দুষ্ট অধিবেশনের সম্বন্ধেও কিছু বলিব । আসামে শক্তিপূজা বিগত আষাঢ় মাসে আমরা ব্ৰহ্মপুত্রতীরে বৈকালে বেড়াইতেছিলাম। একস্থানে দেখিলাম বহুসংখ্যক স্ত্রীলোক ও পুরুষ একত্রিত হইয়া করিধ্বনি করিতেছে, আমরা কারণামুসন্ধিৎসু হইয়। আমার একটা আসামী বন্ধুর নিকট হইতে নিম্নলিখিত বিবরণ সংগ্ৰষ্ঠ করিলাম। যখন কলেরা বসন্ত প্রভৃতি মহামারীতে বহুসংখ্যক লোক মৃত্যুমুখে পতিত হইতে আরম্ভ হয়, তখন আসামে এইরূপ শক্তিপূজা হইয়া থাকে, এই পূজা সাধারণ ও নিম্নশ্রেণীর লোকের মধ্যেই কষ্টয়া থাকে, আবার কখন কখন কোন সংসারে কেহ পীড়িত হইলেও তাঙ্গার আত্মীয় স্বজনগণ শক্তির নিকট মানস করিয়া থাকে। পূজার পদ্ধতি একটু আশ্চৰ্য্য রকমের । আসামবাসিগণ এই পূজায় কালী কিম্বা অন্ত কোন প্রকার মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করে না। অমাবস্তা তিথিতে শনি মঙ্গলবারে আসন স্থাপন করিয়া নানাপ্রকার নৈবেদ্যাদিসহ অৰ্চনা করিয়া থাকে। পূজায় ছাগ এবং ৪/৫টা কবুতর শক্তির উদ্দেশে উৎসর্গ করা হয়। পুজা সমাপণাস্তে কলাগাছের ভেলা (ভেউর) প্রস্তুত করিয়া তাহার উপরে একটা ছাপর (নৌকার ছইএর মত) তৈয়ার করিয়া কাগজ দিয়া মুড়িয়া দেয়। পরে জীবন্ত পাঠা ও কবুতর এবং এতদসঙ্গে ধূপ, দীপ, নৈবেদ্য, নারিকেল এবং একটা ঘিএর প্রদীপ ভিতরে রাখিয়া সমস্ত প্রবেশপথ বন্ধ করিয়া দেয়। তারপর ২৩ জন লোক সাতার কাটিয়া নদীর খরস্রোতে ভেলা ভাসাইয়া দিয়া আসে। পরবশ হইয়া উদ্ধার করিয়া স্বীয় উদরের পরিতৃপ্তি সাধন করে। মানসিক পূজা সাধারণত রোগ আরামের পর হইয়া থাকে। আমাদের মনে হয় এতো পুজা নকে ইহা জীবের প্রতি অনাবশুক নৃশংসতা ; ইহার দ্বারা যাহারা মঙ্গল প্রত্যাশ করে তাহারা নিতান্তই দাস্ত । শ্ৰীদেবেন্দ্রনাথ মহিন্ত । - এলাহাবাদ প্রদর্শনী আমরা এলাহাবাদের প্রদর্শনী দেখিতে যাইবার পূৰ্ব্বে খবরের কাগজে নানা কথা পড়িতেছিলাম। একদিকে দেখিতেছিলাম প্রদর্শনীর কর্তাদের বিজ্ঞাপন ; তাহাতে ইহাকে এক অতাদ্ভূত ব্যাপার বলিয়া বর্ণনা করা হইতেছিল ; অপরদিকে দেখিতেছিলাম কয়েকখানি ইংরাজপরিচালিত কাগজের সম্পাদকীয় মন্তব্য ; তাহাতে পাঠকবর্গকে ইহাই বুঝাইবার চেষ্ট হইতেছিল, যে, প্রদর্শনীটা কিছু নয়, একটা লোকের মনভুলান তামাসা মাত্র ; তাঙ্কাতে আবার প্রদর্শনী খুলিবার দিন পর্যন্ত জিনিস পত্র ভাল করিয়া সাজান হয় নাই, খুব বিশৃঙ্খলা বিদ্যমান ছিল । আমরা যখন বড় দিনের বন্ধের সময় দেখিতে যাই, তখন এরূপ বিশৃঙ্খলা ছিলনা । সমস্ত জিনিস যথাস্থানে সাজান হষ্টয়া গিয়াছে । প্রদর্শনী দেখিয়া আমাদের এই ধারণা হইয়াছে যে কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞাপন অত্যুক্তিপূর্ণ। অপরদিকে নিনাকারী ইংরাজসম্পাদকগণ যেরূপ তুচ্ছতাচ্ছিল্য করিয়াছিলেন, প্রদর্শনী সেরূপ অবজ্ঞার উপযুক্তও নহে । এখানে একটা অবাস্তর কথা উল্লেখ্য বোধ হইতেছে। নিন্দাকারী যেসকল ইংরাজ সম্পাদক যখন নিন্দা করিতেছিলেন তখন তাচাদের কাগজে প্রদর্শনীর বিজ্ঞাপন বাতির হইতেছিল না, অম্ভ অন্ত কোন কোন কাগজে বিজ্ঞাপন বাহির হইতেছিল । বিজ্ঞাপন না পাইয়া পূৰ্ব্বোক্ত সম্পাদকগণ ক্রোধবশে প্রতিকুল সমালোচনা করিতেছিলেন কিনা, তাঙ্গ তাহার নিশ্চয়ই জানেন ।