পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যt } মন্ত্রীই অভাব পূরণ করিয়া উঠাইতে পারেন না বলিয়৷ র্তাহার রাজত্ব-সময়ে চব্বিশবার মন্ত্রী পরিবর্তিত হয়। এই বিশৃঙ্খলার সময় ( ১৮৬৮ খৃ: ) ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্টের এজেন্ট ডাকাতি-দমন উপলক্ষে জয়পুর, মাড়োয়ার এবং বিকানীর রাজ্যের ত্রিসীমানার সন্ধিস্থলে বিকানীরের অন্তর্গত সুজানগড় নামক স্থানে আসিয়া আড়ড়া স্থাপন করেন । ক্রমে তিনি লিকানীরের রাজকার্য্যেও হস্তক্ষেপ করিতে থাকেন। এই সময় হইতেই বিকানীর রাজ্য গবর্ণর জেনারেলের রাজা সর্দার সিংহ সিপাৰ্চী বিদ্রোহের সময় ইংরাজপক্ষে অনেক সহায়তা করিয়াছিলেন বলিয়া ইংরাজ গবর্ণমেণ্ট তাঙ্গকে তিঝিল এলাকা পুরস্কার স্বরূপ প্রদান করেন। সর্দার সিংহের সময়ই ( ১৮৭১ খৃ:, নভেম্বর ) এ রাজ্যে দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত প্রতিষ্ঠিত হয় । সর্দার সিংচের মৃত্যুর পর তাহার নাবালক পোষ্যপুত্র ডুঙ্গর সিং সিংহাসনাধিরোহন করেন । ইংরাজ-এজেণ্ট ষ্টেট কাউন্সিলকে রিজেন্সি কাউন্সিলে পরিণত করিয়া নিজে উহার প্রেসিডেণ্ট হইয়া রাজ্য শাসন করিতে থাকেন। তারপর রাজা সাবালক চষ্টয়া রাজ্যভার নিজহস্তে গ্ৰহণ করিলেও কাৰ্য্যতঃ রিজেন্সি কাউন্সিলই সমস্ত কাজ চালাষ্টতে থাকে । ১৮৭২ খৃঃ এ রাজ্যে সতীদাহ প্রথা রচিত হয়। বিকানীর সঙ্গর চটতে ৬ মাইল দূরবর্তী দেবীকুও নামক স্তানে এক হ্রদতীরস্থ শ্বেত-প্রস্তর-বিনিৰ্ম্মিত রাজা ও রাণীদের স্মৃতিস্তম্ভ প্রাচীন ইতিহাস অষ্টাপিও স্মৃতিপথে জাগরুক করিয়া দিতেছে। কোন রাজার সহিত কতজন সতী চিতারোহণ করিয়াছেন তাহারও সংক্ষিপ্ত ইতিহাস প্রস্তরগাত্রে খোদিত রহিয়াছে । কোন রাজার সহিত ২০১১ জন সতীও প্রজলিত স্বামীর চিতায় সানন্দে আরোহণ করিয়াছিলেন । আশ্চর্য্যের বিষয় সংগ্রাম সিংহ নামক জনৈক অনুচরও সতী-নিয়মানুযায়ী (১৭৮৮ খৃঃ) পঞ্চদশ রাজা রাজ সিংহের চিতায় আত্মবিসর্জন করেন । রাজা ডুঙ্গর সিংহের রাজত্বকালে (১৮৭৯ খৃঃ) আফগান যুদ্ধ হয়। ঐ যুদ্ধে বিকানীর-রাজ ইংরাজকে উট-সৈন্ত দ্বারা সাহায্য করেন। এখনও বিকানীর-রাজের পঞ্চশত উষ্ট্রারোহী সৈন্ত আছে। এজেণ্টের তত্ত্বাবধানের অধীন। বিকানীর ১৮৮৪ খুঃ সদর দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত উঠিয়া যায় ও তৎপরিবর্তে নিজামত আদালতের প্রতিষ্ঠা 莎砸1 ১৮৮৫ খৃঃ রাজ্যের স্থানে স্থানে নয়ট হাসপাতাল স্থাপিত হয়। উচ্চার পরবৎসর আটট য়াংগ্নে ভারনাকুলার স্কুল স্থাপিত হয় । উনবিংশ রাজা ডুঙ্গর সিংহের মৃত্যুর পর তাঙ্গার পোস্যপুত্র গঙ্গা সিংহ সাত বৎসর বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করেন। ডুঙ্গর সিংহ স্বীয় সঙ্গেদর ভ্রাতাকেই পোস্য লইয়াছিলেন । এষ্ট গঙ্গা সিংহই বর্তমান রাজা । উপাধিসহ ইহার সম্পূর্ণ নাম চিজু হাইনেস শ্রীমঙ্গরাজা অধিরাজ, রাজরাজেশ্বর, নরেন্দ্র সারোমান, লেপ্টেনাণ্ট কর্ণেল গঙ্গা সিং বাগছর, জি, সি, আই, ই , কে, সি, এস, আই ; এ, ডি, সি। রিজেন্সি কাউন্সিল নাবালক বাজার শিক্ষা ও রাজ্য শাসনের ভার গ্রহণ করিয়াছিলেন । রাজা আজমীরের মেয়ো কলেজে শিক্ষিত হুইয়াছেন। বর্তমান রাজা সাবালক হইয়া রাজ্যভার নিজ চস্তেষ্ট গ্রহণ করিয়াছেন। রিজেন্সি কাউন্সিলের পরিবর্তে পুনরায় ষ্টেট কাউন্সিল প্রবর্তিত হইয়াছে। ব্রিটিশ এজেন্সি আপিস এতদিন পর্য্যস্ত বিকানীরে ছিল । সম্প্রতি. কয়েকমাস যাবত আপিসট এখানে নাই, শুনিতে পাই উঠা যোধপুরে উঠিয়া গিয়াছে ; যেহেতু রাজা শিক্ষিত এবং উপযুক্ত, তিনি নিজেই সমস্ত রাজকাৰ্য্য সুচারুরূপে সম্পন্ন করিতে পারেন। ইনি একবার চীনে এবং দুইবার বিলাত গিয়াছিলেন । ইহঁার সময়ে রাজ্যের, বিশেষতঃ বিকানীর সহরে ব, বিশেষ উন্নতি হইয়াছে । বারাস্তরে স্থানীয় ৰিষয় লিখিবার ইচ্ছ। রহিল। পূৰ্ব্বে এই রাজ্যে প্রায়ই দুর্ভিক্ষ দেখা দিত। ঐ সময় অন্ত প্রদেশের সহিত বাণিজ্যের সম্পর্ক অতি কমই ছিল । বাহির হইতে খাদ্যের সরবরাহ বন্ধ থাকায় দুর্ভিক্ষে বহুলোক মৃত্যুমুখে পতিত হইত। বর্তমান রাজার সময়ে রাজ্যে রেল হওয়ায় আজকাল অন্তান্ত প্রদেশ চক্টতে খাদ্যদ্রব্য একরূপ অনায়াসলন্ধ বলিতে ইষ্টবে।" কাজেই এখন কোন বৎসর দুর্ভিক্ষ হইলেও মৃত্যুসংখ্যা অনেক কমিয়াছে। শ্ৰীযদুনাথ সরকার