পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য। ] সার উইলিয়ম ওয়েডারবর্ণ । মত প্রাচীন রক্ষণশীলবংশের লোক যে সমাজসংস্কারচেষ্টায় যোগ দিতেছেন, ইহা স্বলক্ষণ বলিতে হইবে। অনেকে মনে করেন, বৎসরান্তে একবার সমাজ-সংস্কার সম্বন্ধে বক্ততা ও প্রস্তাব ধার্য্য করিয়া কোন ফল হয় না । কিন্তু তাহ ভুল। সম্বৎসর কার্য্য করিলে অবশু ভালই হয়, এবং কাজও বেশী হয়, কিন্তু বৎসরান্তে একবার সংস্কারকগণ একত্র হইলেও দেশের মত গঠন পক্ষে কিছু সহায়তা হয়। কিন্তু বঙ্গের সমাজসংস্কার সভার মত অলস নামসৰ্ব্বস্ব সভা ভারতবর্ষের কোন প্রদেশে না থাকাই ভাল । শিক্ষিত ও সন্ত্রাস্ত ভারতনারীগণ যে নারীর গুরুতর কর্তব্যের দিকে মন দিতেছেন, নারীর অবস্থার উন্নতির জন্ত চেষ্টা করিতেছেন, ইহা স্বথের বিষয় । কিন্তু এ ক্ষেত্রেও দলাদলির কি প্রয়োজন ছিল ? এলাহাবাদে দেখিলাম, ছুটি নারীসত্ত হইল। একটির নেতৃপদে ছিলেন এলাহাবাদে পৌষমাস 8వెరి বিজিয়ানাগ্রামের মহারাণী, দ্বিতীয়টির নেতৃত্ব করিয়াছিলেন জঞ্জিরার বেগম । ইহঁার সম্মিলিত ভাবে কাজ করিতে পারিলে বড় ভাল হইত। শ্ৰীযুক্ত রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় শিল্পোন্নতি সভার সভাপতি হইয়াছিলেন । তিনি নিজে এক্ষেত্রে একজন কৃতকৰ্ম্ম পুরুষ। সুতরাং তিনি যাহা বলিয়াছেন, তাহা যে সারগর্ভ হইবে তাহাতে সন্দেহ নাই । তিনি বলিয়াছেন, শিল্পোন্নতির জন্ত সৰ্ব্বসাধারণের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তৃত হওয় উচিত, বিদেশী শিল্পদ্রব্যের উপর গুৰু বসাইয়া দেশী শিল্প রক্ষা করা উচিত, এবং বিদেশী মূলধন দ্বারা ভারতবর্ষের খনিজ, উদ্ভিজ্জ ও প্রাণীজ নানা বস্তকে মামুষের ব্যবচারযোগ্য করিয়া ভারতবক্ষ হইতে ধনাহরণ করা উচিত । শেষোক্ত প্রস্তাবটি ভিন্ন র্তাহার আর সকল প্রস্তাবে তাতার দেশবাসীরা সায় দিবে। বিশুদ্ধধৰ্ম্মমত ও বিশুদ্ধধৰ্ম্মজীবন সকলপ্রকার ংস্কার কার্য্য ও উন্নতির ভিত্তি। যদিও একেশ্বরবাদীদিগের সভায় অন্য সকল সভা অপেক্ষা কম লোক যোগ দিয়াছিল, তথাপি এই জন্য উচ্চার গুরুত্ব অল্প কোন সভা, অপেক্ষা কম নহে। পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় ইকার সভাপতি হইয়াছিলেন। যে সকল হিন্দুবংশজাত ব্যক্তির পূর্বপুরুষগণ বা তাহারা নিজে ধৰ্ম্মান্তর গ্রহণ করায় এখন হিন্দু বলিয়া গণ্য নহেন, তাহাদিগকে প্রায়শ্চিত্তানন্তর হিন্দুসমাজে গ্রহণ, এবং হিন্দুসমাজের “অস্পৃশু” ও অবনত জাতিসমূহের উন্নতিসাধন শুদ্ধিসভার উদ্দেশু। উদ্দেশ্য মহৎ, কিন্তু সভাতে গৃহীত প্রস্তাবগুলির মধ্যে, কিম্বা সভাপতি শ্ৰীযুক্ত রামভজ দত্ত চৌধুরী মহাশয়ের বক্তৃতায় উদ্দেশু সাধনের জন্ত কাজে কি করা হইবে, কে টাকা দিবে, কে সংগ্ৰহ করিবে, কে প্রাণ দিয়া শিক্ষাদান ও অন্তান্ত কাৰ্য্য করিবে, তাহার কোন স্পষ্ট আভাস পাইলাম না। বাহার যতটুকু উন্নতি যে সহূপায়ে হয়, তাহাতেই আমরা মুর্থী । কিন্তু সকলেরই ইক ভাৰা উচিত যে উন্নতির পথ কোথাও গিয়া শেষ হয় নাই, হইতে পারে না। উন্নতি মাঝ রাস্তায় গিল্প থামিতে