পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ৷ শীত বিশ্বের বিরাট বক্ষে পাতি শবাসন সাধিতেছ প্রলয় সাধন কে তুমি সন্ন্যাসী ! বর্ণগন্ধগীত-বিচিব্রিত জগতের নিত্য প্রাণম্পন্দ কি স্বতন্ত্র মন্ত্রবলে পলে পলে হয়ে আসে বন্ধ ! মরণের আবাহন তরে কেন এই তীব্র আরাধন, চেষ্টা সৰ্ব্বনাশ । বর্ষ পরে বিশ্বজুড়ি বসিলে আবার—কে রুদ্র সন্ন্যাসী ! তোমার বিশাল বক্ষ উঠিছে পড়িছে পুরকে রেচকে দীর্ঘশ্বাসে, ওগো যোগীশ্বর ! তব প্রতি পূরক নিশ্বাস আকষিছে দুর্শিবার টানে মৃত্যুভয়ভীত সৰ্ব্বজনে তব বক্ষ-গহবরের পানে । হী হী কম্প লাগিয়াছে বিশ্বে স্বন স্বন তোমার নিশ্বাসে, শীত ভয়ঙ্কর ! আকষিছ মরণের পানে শবাসন কেগো যোগীশ্বর ! রেচক প্রশ্বাস তব ছড়ায় চৌদিকে কৰ্ম্মহীন নিৰ্ম্মম নিৰ্ব্বেদ শুন্তে জলে স্থলে ; পত্র-পুষ্প লতা-বন্ধ চীন বন—যেন সন্ন্যাসীর মেলা । স্তন্ধ সিন্ধু ভাবে বালুতটে গুক্তি লয়ে মিছে ছেলেথেল ; নিরুদ্ধ নিঝর গিরি : শৈলসিন্ধুময়ী পৃথু ল’য়ে যেন দও কমণ্ডলে বাচিরায় স্নান জ্যোৎস্না-রাতে ব্যোমচারী ভৈরবীর দলে । সদ্য-প্রজালন-ধুমায়িত তব চিতা উদগীরিছে রাশি রাশি রাশি কবোঞ্চ কুঙ্কটি ! পীত-পাণ্ডু খামলতা, শীর্ণ জরাজীর্ণ যৌবন নবীন, মৃতপ্রাণ, দগ্ধ আশা, স্তব্ধ, চুর্ণ পূর্ণতা প্রবীন, কোন মহা অাকর্ষণবলে পড়ে তব চিতা প’রে আলি দলে দলে ছুটি, স্পর্শ করি মৃত্যুমন্ত্ৰপুত চিতোখিত কবোষ্ণ কুজ্বীটি! কবে শেষ হলে এই রুদ্র আহরণ যজ্ঞাগ্নির ইন্ধনসম্ভার— cह मश्! श्रिरिक्क । কৰে তব একটি ফুৎকারে এই ঘন পুঞ্জ ভেদি লেলিহান প্রলয়াগ্নিশিখা সহসা উঠিবে অত্রভেদি ! লীত 8 సెస్సె দহনাত্তে রবে প’ড়ে চির একাকার,—করি ভস্মসার নিত্য নৈমিত্তিক ! কতদিনে যজ্ঞে তব দিবে পূর্ণাহুতি হে মহা ঋত্বিক ! ফুটিয়াছে হিমম্পর্শ সৰ্ব্বাঙ্গে তোমার অন্তগূঢ় যোগচেষ্টা ভরে বিন্দু বিন্দু বারি । এখনো কি পূর্ণ নহে কাল ? শুষ্ক শীর্ষে শস্ত নাছি আর ; তৃণপৰ্ণপূঙ্গ বসুন্ধরা হয়েছে কঙ্কাল মাত্র সার ; ভীত স্বৰ্য্য গুটাইয়ে কিরণের পাল চলে যায় দূরে নিজ পথ ছাড়ি ; এখনো তোমাব সৰ্ব্ব অঙ্গে ফুটে উঠে ছিম ঘৰ্ম্মবারি । এবার কি ভাবিয়াছ ভুলিবে না আর বসন্তের মোহিনী মায়ায় হে রুক্ষ্ম সংযমী । এবার সে নামিবে যখন স্বৰ্গ ’ঙ্গে সুধালস মু, নীলাম্বরে উত্তর উড়ায়ে উত্তরিবে করে পুষ্প ধনু, মৃদুমন্দ নন্দনের বায় সঙ্গে তার আসিবে ধরায় স্বর্গ অতিক্রমি, তখনো কি মেলিবে না আঁখি দৃঢ়ব্ৰত হে রুক্ষ সংযমী ? পাশ্বে দাড়াইবে তব রক্তাম্বর পরি বরমাল্য ধরি বাম করে মুন্দরী মরণ । সম্মুথে ভূতলে পাতি জামু ফুলধন্থ সন্ধানিবে শর, তখন কি অগ্নিনেত্রে তারে ভষ্ম করি দিবে যোগীবর ? পাশ্বে আসি প্রেয়সী তোমার বলিবে না কিগো হাতে ধ’রে করি নিবারণ ক্ষান্ত হও যোগী ! দেখ আসিয়াছি আমি সুন্দরী মরণ ! সদ্যযোগভঙ্গরক্ত বিস্মিত লোচনে চাহিবে না তুমি সন্ধ্যাকাশে প্রেয়সীর পানে ? কল্প কল্পাস্তের স্বগুস্কৃতি মুহুর্তে কি উঠিবে না ফুটি, নিশীথের রহস্তবাসরে ধরিয়া প্রিয়ার হাত দুটি এবার কি যাত্রা করিবে না নিরুদ্দেশ অনন্ত প্রবাসে ? অব্যর্থ সন্ধানে বসন্ত কি নারিবে ফিরাতে এবার তোমারে প্রিয়াপানে ? ঐযতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত ।