পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

曼● সত্যম শিবম সুন্দরম । * * “ নায়মাত্মা বলহীনেন লভ্যঃ Տ ՖՏԳ ৫ম সংখ্যা ১০ম ভাগ ফান্তন, S3 আত্মবোধক্ষ্ম কয়েকদিন হল পল্লীগ্রামে কোনো বিশেষ সম্প্রদায়ের দুইজন বাউলের সঙ্গে আমার দেখা হয়। আমি তাদের জিজ্ঞাসা করলুম তোমাদের ধৰ্ম্মের বিশেষত্বটি কি আমাকে বলতে পার? একজন বল্পে, বলা বড় কঠিন, ঠিক বলা যায় না। আর একজন বল্লে, “বলা যায় বৈ কি— কথাটা সহজ । আমরা বলি এই যে, গুরুর উপদেশে গোড়ায় আপনাকে জানতে হয়। যখন আপনাকে জানি তখন সেই আপনার মধ্যে তাকে পাওয়া যায়।” আমি জিজ্ঞাসা করলুম, “তোমাদের এই ধৰ্ম্মের কথা পৃথিবীর লোককে সবাইকে শোনাও না কেন ?” সে বল্লে, “যার পিপাসা হবে, সে গঙ্গার কাছে আপনি আসবে।” আমি জিজ্ঞাসা করলুম, “তাই কি দেখতে পাচ্চ ? কেউ কি আস্চে ?” সে লোকটি অত্যন্ত প্রশান্ত হাসি তেসে বরে “সবাই আসবে ! সবাইকে আসতে হবে ।” আমি এই কথা ভাবুলুম, বাংলাদেশের পল্লীগ্রামের শাস্ত্রশিক্ষাহীন এষ্ট বাউল, এ ত মিথ্যা বলে নি। আসচে, সমস্ত মানুষই আসচে ! কেউ ত স্থির হয়ে নেই। আপনার পরিপূর্ণতার অভিমুখেই ত সবাইকে চলতে হচ্চে, আর যাবে কোথায় ? আমরা প্রসন্নমনে হাসতে পারি – পৃথিবী জুড়ে সবাই যাত্রা করেছে। আমরা কি মনে 事 ১১ই মাষ বুধবা , উৎসৰ উপলক্ষে সন্ধ্যাকালে পঠিত। করচি সবাই কেবল নিজের উদর পুরণের অল্প খুজিচে, নিজের প্রাত্যহিক প্রয়োজনের চারদিকেই প্রতিদিন প্রদক্ষিণ করে জীবন কাটিয়ে দিচ্চে ? না, তা নয়। এই মুহুর্তেই পৃথিবীর সমস্ত মানুষ অন্নের জন্তে বস্ত্রের জন্তে, নিজের ছোট বড় কতশত দৈনিক আবগুকের জন্তে ছুটে বেড়াচ্চে-—কিন্তু কেবল তার সেই আহ্নিক গতিতে নিজেকে প্রদক্ষিণ করা নয়—সেই সঙ্গে সঙ্গেই সে জেনে এবং না জেনে একটি প্রকাও কক্ষে মহাকাশে আর একটি কেন্দ্রের চারদিকে যাত্র। চলেছে - যে কেজের সঙ্গে সে জ্যোতিৰ্ম্ময় নাড়ির আকর্ষণে বিধৃত হয়ে রয়েছে, যেথান থেকে সে আয়োক পাচ্চে, প্রাণ পাচ্চে, যার সঙ্গে একটি অদৃপ্ত অথচ অবিচ্ছেদ্য স্বত্রে তার চিরদিনের মহাযোগ করে রয়েছে । মানুষ অল্পবস্ত্রের চেয়ে গভীর প্রয়োজনের জন্যে পথে বেরিয়ে পড়েছে । কি সেই প্রয়োজন ? তপোবনে ভারতবর্ষের ঋষি তার উত্তর দিয়েছেন, এবং বাংলা দেশের পল্লীগ্রামে বাউল ও তার y্যর দিচ্চে। মানুষ আপনাকে পাবার জন্তে বেরিয়েছে-—আপনাকে না পেলে, তার আপনার চেয়ে যিনি বড় আপন, তাকে পাবার জে নেষ্ট । তাষ্ট এই আপনাকেষ্ট বিশুদ্ধ করে. প্রবল করে, পরিপূর্ণ করে পাবার জন্তে মানুষ কত তপস্তা করচে ! শিপ্তকাল থেকেই সে আপনার প্রবৃত্তিকে শিক্ষিত ও সংযত করচে, এক একটি বড় বড় লক্ষোর চারদিকে সে আপনার ছোট ছোট সমস্ত বাসনাকে নিয়মিত করবার চেষ্টা করচে,