পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা । AAAAS SASAAAAASA SAASAASSAAAAAAS AAAAAS AAASASASS - তোমার সঙ্গে আমার সমগ্রকে মিলিয়ে দাও, তাহলেই আমার আপনার মধ্যে আমার মিল হবে, সকলের মধ্যে আমার মিল হবে, আমার মধ্যে তোমার প্রকাশ পরিপুর্ণ হবে, জীবনের মধ্যে সমস্ত রুদ্রতা প্রসন্নতায় দীপ্যমান হয়ে উঠবে। মামুষের নানা জাতি আজি নানা অবস্থার মধ্যে আছে, তাদের জ্ঞান বুদ্ধির বিকাশ এক রকমের নয়, তাদের ইতিহাস বিচিত্র, তাদের সভ্যতা ভিন্ন রকমের কিন্তু যে জাতি যে রকম পরিণতিই পাকনা কেন সকলেই কোনো না কোনো আকারে আপনার চেয়ে বড় আপিনকে চাচে । এমন একটি বড়, যা তার সমস্তকে আপনার মধ্যে অধিকার করে সমস্তকে বাধবে, জীবনকে অর্থদান করবে। যা সে পেয়েছে, যা তার প্রতিদিনের, যা নিয়ে তাকে ঘরকন্ন করতে হচ্চে, যা তার কেনা বেচার সামগ্ৰী তা নিয়ে ত তাকে থাকৃতেই হয়, সেই সঙ্গে, যা তার সমস্তের অতীত, যা তার দেখা শোনা খাওয়া পরার চেয়ে বেশি, যা নিজেকে অতিক্রম করবার দিকে তাকে টানে, যা তাকে দুঃসাধ্যের দিকে আহবান করে, যা তাকে ত্যাগ করতে বলে, যা তার পূজা গ্রহণ করে, মানুষ তাকেই আপনার মধ্যে উপলব্ধি করতে চাচ্চে, তাকেই আপনার সমস্ত মুখ দুঃখের চেয়ে বড় বলে স্বীকার করচে। কেন না মানুষ জানচে মনুষ্যত্বের প্রকাশ সেই দিকেই ; তার প্রতিদিনের খাওয়া পরা আরাম বিরামের দিকে নয় । সেই দিকেই চেয়ে মানুষ দু হাত তুলে বলচে, আবিরাবীশ্ব এধি—হে প্রকাশ, তুমি আমার মধ্যে প্রকাশিত হও । সেই দিকে চেয়েই মানুষ বুঝতে পারচে যে, তার মনুষ্যত্ব তার প্রতিদিনের তুচ্ছতার মধ্যে আচ্ছন্ন হয়ে আছে, তার প্রবৃত্তির আকর্ষণে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে— তাকে মুক্ত করতে হবে, তাকে যুক্ত করতে হবে ; সেষ্ট দিকে চেয়েই মানুষ একদিকে আপনার দীনতা আরএকদিকে আপনার সুমঙ্গৎ অধিকারকে প্রত্যক্ষ দেখতে পাচ্চে এবং সেইদিকে চেয়েই মানুষের কণ্ঠ চিরদিন নানা ভাষায় ধ্বনিত হয়ে উঠচে—আবিরাবীন্মএধি, হে প্রকাশ, তুমি আমার মধ্যে প্রকাশিত ০ও ! প্রকাশ চায়, মানুষ প্রকাশ চায়—ভূমাকে আপনার মধ্যে দেখতে চায়--তার পরম আপনকে আপনার মধ্যে পেতে চায় । এই প্রকাশ অাজৰোধ ASA SSASAS SSAS SSASAS SSAS @ • ዓ তার আছার বিহারের চেয়ে বেশি, তার প্রাণের চেয়ে বেশি—এই প্রকাশই তার প্রাণের প্রাণে, তার মনের মনে, এই প্রকাশই তার সমস্ত অস্তিত্বের পরমার্থ। মানুষের জীবনে এই ভূমার উপলব্ধিকে পূর্ণতর করবার জন্তেষ্ট পৃথিবীতে মহাপুরুষদের আবির্ভাব। মামুষের মধ্যে ভূমার প্রকাশ যে কি সেটা তারাই প্রকাশ করতে আসেন । এই প্রকাশ সৰ্ব্বাঙ্গীনরপে কোনো ভক্তের মধ্যে ব্যক্ত হয়েছে এমন কথা বলতে পারিনে। কিন্তু মানুষের মধ্যে এই প্রকাশকে উত্তরোত্তর পরিপূর্ণ করে তোলাষ্ট তাদের কাজ । অসীমের মধ্যে সকল দিক দিয়ে মানুষের আত্মোপলব্ধিকে তারা অথও করে তোলবার পথ কেবলি সুগম করে দিচ্চেন-সমস্ত গানটাকে তার সমস্ত তালে লয়ে জাগাতে না পারলেও তারা মূল স্বরটিকে কেবলি বিশুদ্ধ করে তুলচেন—সেই স্বরটি তার ধরিয়ে দিচ্চেন । যিনি ভক্ত তিনি অসীমকে মানুষের মধ্যে ধরে মানুষের আপন সামগ্রী করে তোলেন। আমরা আকাশে সমুদ্রে পৰ্ব্বতে জ্যোতিষ্কলোকে, বিশ্বব্যাপী অমোঘ নিয়মতন্ত্রের মধ্যে, অসীমকে দেখি কিন্তু সেখানে আমব অসীমকে আমার সমস্ত দিয়ে দেখতে পাঠনে। মানুষের মধ্যে যখন অসীমের প্রকাশ দেখি তখন আমরা অসীমকে আমার সকল দিক দিয়েই দেখি, এবং যে দেখা সকলের চেয়ে অন্তরতম সেই দেখা দিয়ে দেখি । সেই দেখা হচ্চে ইচ্ছার মধ্যে ইচ্ছাকে দেখতে পাওয়া । জগতের নিয়মের মধ্যে আমরা শক্তিকে দেখতে পাই –কিন্তু ইচ্ছাশক্তিকে দেখতে গেলে ইচ্ছার মধ্যে ছাড়া আর কোথায় দেখব ? ভক্তের ইচ্ছা যখন ভগবানের ইচ্ছাকে জ্ঞানে প্রেমে কৰ্ম্মে প্রকাশ করতে থাকে তখন যে অপরূপ পদার্থ দেখি জগতে সে আর কোথায় দেখতে পাব ? অগ্নি, জল, বায়ু, স্বৰ্য্য, তারা যত উজ্জ্বল যত প্রবল যত বৃহৎ হোকৃ এই প্রকাশকে সে ত দেখাতে পারে না । তারা শক্তিকে দেখায় কিন্তু শক্তিকে দেখানর মধ্যে একটা বন্ধন একটা পরাভব আছে —তারা, নিয়মকে রেখামাত্র লঙ্ঘন করতে পারে না—তারা যা’ তাদের তাই হওয়া ছাড়া আর উপায় নেই, কেন না তাদের লেশমাত্র ইচ্ছা নেই। এমনতর