পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6 e bo s • SS SSASAS SSAS SSAS SSASAS SS SS SSAS SSASASAMSAAAAAA AAAAAS SASAASAASAASAASAASAASAASAAMSAAAA...م**s=.--6‘‘۲ء۔ জড়যন্ত্রের মধ্যে ইচ্ছার আনন্দ পূর্ণভাবে প্রকাশ হতে পারে না । মানুষের মধ্যে ঈশ্বর এই ইচ্ছার জায়গাটাতে আপনার সৰ্ব্বশক্তিমত্তাকে সংহরণ করেছেন—এইখানে তার থেকে তাকে কিছু পরিমাণে স্বতন্ত্র করে দিয়েছেন, সেই স্বাতন্ত্র্যে তিনি র্তার শক্তি প্রয়োগ করেন না। কেন না সেই স্বাধীনতার ক্ষেত্রটুকুতে দাসের সঙ্গে প্রভূর সম্বন্ধ নয়, সেখানে প্রিয়ের সঙ্গে প্রিয়ের মিলন— সেঙ্গথানেই সকলের চেয়ে বড় প্রকাশ-—ইচ্ছার প্রকাশ প্রেমের প্রকাশ। সেখানে আমরা তাকে মানতেও পারি, না মানতেও পারি, সেখানে আমরা র্তাকে ক্ষাঘাত দিতে পারি। সেখানে আমরা ইচ্ছাপূৰ্ব্বক তার ইচ্ছাকে গ্রহণ করব, প্রীতির দ্বারা তার প্রেমকে স্বীকার করব সেই একটি মস্ত অপেক্ষা, একটি মস্ত ফাক রয়ে গেছে— বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের মধ্যে কেবলমাত্র এই ফাকটুকুতেই সৰ্ব্বশক্তিমানের সিংহাসন পড়ে নি। কেন না, এইখানে প্রেমের আসন পাতা হবে । এই যেখানে ফাক রয়ে গেছে এইখানেই যত অসত্য অন্যায় পাপমলিনতার অবকাশ ঘটেছে— কেন না, এইখান থেকেই তিনি ইচ্ছা করেই একটু সরে গিয়েছেন । এইথানে মানুষ এতদুব পর্যান্ত পীভৎস হয়ে উঠতে পারে যে আমরা সংশয়ে পীড়িত হয়ে বলে উঠি জগদীশ্বর যদি থাকৃতেন তবে এমনটি ঘটতে পারত না—বস্তুত সে জায়গায় জগদীশ্বর আচ্ছন্নষ্ট আছেন—সে জায়গা তিনি মানুষকেষ্ট ছেড়ে দিয়েছেন । সেখান থেকে তার নিয়ম একেবারে চলে গেছে তা নয়—কিন্তু মা যেমন শিশুকে স্বাধীনভাবে চলতে শেখাবার সময় তার কাছে থাকেন অথচ তাকে ধরে থাকেন না, তাকে খানিকটা পরিমাণে পড়ে যেতে এবং আঘাত পেতে অবকাশ দেন এও সেই রকম । মামুষের ইচ্ছার ক্ষেত্রটুকুতে তিনি আছেন অথচ নেই। এই জন্ত সেই জায়গাটাতে আমরা এত আঘাত করচি আঘাত পাচ্চি, ধুলায় আমাদের সর্বাঙ্গ মলিন হয়ে উঠচে, সেখানে আমাদের দ্বিধাদ্বন্দ্বের আর অস্ত নেই, সেইখানেই আমাদের যত পাপ । সেইখান থেকেই মানুষের এই প্রার্থনা ধ্বনিত হয়ে উঠ চে—আবিরাবীর্শ্ব এধি—হে প্রকাশ, আমার মধ্যে তোমার প্রকাশ পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক। প্রবাসী—কান্তন, ১৩১ { ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড SAASAASAASAASAAMeeMAMMSAASAASAASAASAASAASAAMMMMMAAASAASAASAASAA বৈদিক ঋষির ভাষার এই প্রার্থনাটাই এই বাংলাদেশে পথ চলতে চলতে শোনা যায়—এমন গানে যে গান সাহিত্যে স্থান পায় নি, এমন লোকের কণ্ঠে যার কোনো অক্ষরবোধ কয় নি—সেই বাংলাদেশের নিতান্ত সরলচিত্তের সরল স্বরের সারি গান,— “মাঝি, তোর বৈঠা নেরে আমি আর বাইতে পারলাম না ।” তোমার হাল তুমি ধর, এই তোমার জায়গায় তুমি এস, আমার ইচ্ছা নিয়ে আমি আর পেরে উঠলুম না ! আমার মধ্যে যে বিচ্ছেদটুকু আছে সেখানে তুমি আমাকে একলা বসিয়ে রেখ না—কে প্রকাশ, সেখানে তোমার প্রকাশ পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক্‌ ! এত বাধা বিরোধ এত অসত্য এত জড়তা এত পাপ কাটিয়ে উঠে তবে ভক্তের মধ্যে ভগবানের প্রকাশ সম্পূর্ণ হয় । জড়জগতে তার প্রকাশের যে বাধা নেই তা নয়— কারণ, বাধা না হলে প্রকাশ কতেই পাবে না ;–-জড়জগতে র্তার নিয়মই তার শক্তিকে বাধা দিয়ে তাকে প্রকাশ করে তুলচে—এই নিয়মকে তিনি স্বীকার করেছেন। আমাদের চিন্তজগতে যেখানে তার প্রেমের মিলনকে তিনি প্রকাশ করবেন সেখানে সেক্ট প্রকাশের বাধাকে তিনি স্বীকার করেছেন, সে হচ্চে আমাদের স্বাধীন ইচ্ছা । এই বাধার ভিতর দিয়ে যখন প্রকাশ সম্পূর্ণ হয়—যখন ইচ্ছার সঙ্গে ইচ্ছা, প্রেমের সঙ্গে প্রেম, আনন্দের সঙ্গে আনন্দ মিলে যায় তখন ভক্তের মধ্যে ভগবানের এমন একটি আবির্ভাব চয় যা আর কোথাও হতে পারে না । এই জন্তই আমাদের দেশে ভক্তের গৌরব এমন করে কীৰ্ত্তন করেছে যা অদ্য দেশে উচ্চারণ করতে লোকে সঙ্কোচ বোধ করে । যিনি আনন্দময়, আপনাকে যিনি প্রকাশ করেন, সেই প্রকাশে যার আনন--তিনি র্তার সেই আনন্দকে বিশুদ্ধ আনন্দরূপে প্রকাশ করেন ভক্তের জীবনে ; এই প্রকাশের জন্তে তাকে ভক্তের ইচ্ছার অপেক্ষা করতে হয়—এখানে জোর খাটে না ;–রাজার পেয়াদ প্রেমের রাজ্যে পা বাড়াতে পারে না ! প্রেম ছাড়া প্রেমের গতি নেই। এই জন্তে ভক্ত যে দিন আপনার অহঙ্কারকে বিসর্জন দেয়, ইচ্ছা করে আপনার ইচ্ছাকে তার ইচ্ছার সঙ্গে মিলিয়ে দেয় সেই দিন মামুষের মধ্যে