পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] আনন্দের প্রকাশ সম্পূর্ণ হয় । সেই প্রকাশ তিনি চাচ্চেন। সেই জন্তেই মানুষের হৃদয়ের স্বারে নিত্য নিত্যই র্তার সৌন্দর্য্যের লিপি এসে পেচচ্ছে, তার রসের আঘাত কত রকম করে আমাদের চিত্তে এসে পড়চে—এবং ঘুম থেকে আমাদের সমস্ত প্রকৃতিকে জাগিয়ে তোলবার জন্তে বিপদ মৃত্যু দুঃখ শোক ক্ষণে ক্ষণে নাড়া দিয়ে যাচ্চে। সেই প্রকাশ তিনি চাচ্চেন, সেই জন্তেই আমাদের চিত্তও সকল বিস্মৃতি সকল অসাড়তার মধ্যে ও গভীরতর ভাবে সেক্ট প্রকাশকে চাচ্চে—বলচে আবিরাবী’ এধি ! আমাদের দেশের ভক্তিশাস্ত্রের এই স্পৰ্দ্ধার কথা, অর্থাৎ অনন্তের ইচ্ছা আমাদের ইচ্ছার দ্বারে এসে দাড়িয়েছে এই কথা, আজ কাল অন্য দেশের অন্ত ভাষাতেও আভাস দিচ্চে। সেদিন একজন ইংরেজ ভক্ত কবির কবিতায় এই কথাই দেখলুম—তিনি ভগবানকে ডেকে বলচেন— Thou hast need of thy meanest creature; thou hast need of what once was thine: The thirst that consumes my spirit is the thirst of thy heart for mine. তিনি বলচেন, তোমার দীনতম জীবটিকেও তোমার প্রয়োজন আছে ; সে যে একদিন তোমাতেই ছিল, আবার তুমি তাকে তোমারই করে নিতে চাও ; আমার চিত্তকে যে তৃষায় দগ্ধ করচে—সে যে তোমারই তৃষা, আমার জন্তে তোমার হৃদয়ের তৃষা । পশ্চিম হিন্দুস্থানের পুরাকালের এক সাধক কবি— তার নাম জ্ঞানদাস বঘৈলি—তিনিও ঠিক এই কথাই বলেছেন—আমার এক বন্ধু তার বাংলা অনুবাদ করেছেন— অসীম ক্ষুধায় অসীম তৃষায় বহু প্ৰভু অসীম ভাষায়, (তাই দীননাথ) আমি ক্ষুধিত আমি তৃষিত তাইতে আমি দীন । আমার জন্তে তারই যে তৃষা, তাই তার জন্তে আমার তৃষার মধ্যে প্রকাশ পাচ্চে। তার অসাম তৃষাকে তিনি অসীম ভাষায় প্রকাশ করচেন—সেই ভাষাই ত উষার আলোকে নিশীথের নক্ষত্রে, বসন্তের সৌরভে, শরতের স্বর্ণকিরণে । জগতে এই ভাষার ত আর কোনোই কাজ নেই সে ত কেৰলি হৃদয়ের প্রতি হৃদয়-মহাসমুদ্রের ডাক । সে কবি ॐ আত্মবোধ (to S) বলরাম দাসের ভাষায় বলচে—“তোমায় হিয়ার ভিতর তৈতে ८क रूण वांश्ङ्गि”-फुभि श्रांमाग्न झलाग्नज्ञ छिऊरब्रहे हिरण কিন্তু বিচ্ছেদ হয়েছে—সেই বিচ্ছেদ মিটিয়ে আবার ফিরে এস, সমস্ত দুঃখের পথটা মাড়িয়ে আবার আমাতে ফিরে এস–হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয়ের মিলন সম্পূর্ণ হোক -এই একটি বিরহবেদন অনন্তের মধ্যে রয়েছে, সেষ্ট জন্তেষ্ট আমার মধ্যেও আছে । I have come from thee,_why I know not ; but thou art, O God! what thou art ; And the round of eternal being is the pulse of thy beating heart. আমি তোমার মধ্য থেকে এসেছি, কেন যে তা জানিনে, কিন্তু হে ঈশ্বর, তুমি যেমন তেমনিষ্ট আছ ; এষ্ট যে একবার তোমা থেকে বেরিয়ে আবার যুগযুগাস্তের মধ্য দিয়ে তোমাতেই ফিরে আসা এষ্ট হচ্চে তোমার অসীম হৃদয়ের এক-একটি হৃৎস্পন্দন । অনন্তের মধ্যে এই যে বিরহবেদনা সমস্ত বিশ্বকাব্যকে রচনা করে তুলচে-কবি জ্ঞানদাস তার ভগবানকে বলচেন এই বেদন তোমাতে অামাতে ভাগ করে ভোগ করব —এ বেদন যেমন তোমার তেমনি আমার ; তাষ্ঠ কবি বলচেন, আমি যে দুঃখ পাচ্চি তাতে তুমি লজ্জা কোরো না, প্রভু ! প্লেমের পত্নী তোমার আমি, আমার কাছে লাজ কি স্বামী । তোমার সকল ব্যথার ব্যর্থী আমায় কোবে নিশিদিন । নিদ্রা নাহি চক্ষে তব, আমিষ্ট কেন ঘুমিয়ে রব ! বিশ্ব তোমার বিরাট গেচ আমিও বিশ্বে লীন । ভোগের মুখ ত আমি চাইনে—যারা দাসী তাদের সেই মুখের বেতন দিয়ে,—আমি যে তোমার পত্নী— আমি তোমার বিশ্বের সমস্ত দুঃখের ভার তোমার সঙ্গে বহন করব ; সেই দুঃখের ভিতর দিয়েই সেই দুঃখকে উত্তীর্ণ হব—আমার মধ্যে তোমার প্রকাশ অথও মিলনে সম্পূর্ণ হবে । সেই জন্তেষ্ট, আমি বলচিনে আমাকে মুখ