পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] SAASAASAASSAAAAAAS AAAAASAAAA ইয়া থাকিবে । তাহাকে আবিলতায় আচ্ছাদিত করিতে গেলেও ভস্মাচ্ছাদিত অগ্নির দ্যায় বাহির হইয়া পড়িবে। মুকুমার-কলা ভাবের সজীব মূৰ্ত্তি, কিন্তু শুধু ভাব বা স্বপ্নের থেলা নহে। ভাবকে যখন দেহ ধারণ করিয়া মানবচক্ষে প্রতিভাত হইতে হয় তখন সে দেহ মুস্থ সবল ও প্রাণপ্রকাশোপযোগী হওয়া চাই-ই । অপুষ্ট বিকল অপরিণত দেহে ভাব জন্মগ্রহণ করিলেও সঙ্গে সঙ্গে সদগতিরও আশঙ্কা থাকিয়া যায়। মুকুমার-কলার দুই অঙ্গ-প্রকৃতি os 2to (Nature and Soul) zofe fiefs, 2o. সৌধচুড়া। একে অন্যের সঠিত অকাট্য সম্বন্ধে আবদ্ধ। ইহার প্রকৃতি-অঙ্গের অনুশীলন চাই, প্রাণ-অঙ্গ স্বভাবজাত । Soulএর জন্ত কাহাকেও ঘুরিয়া বেড়াইতে হয় না । কিন্তু Nature আপনি আসে না। তাহাকে তাতার চিরপ্রতিষ্ঠিত আসন হইতে অনেক সাধ্য সাধনা করিয়া পায়ে ধরিয়া নামাইয়া আনিতে হয়। Soulকে বুকে লইয়া সাধক কলাবিৎ যখন প্রকৃতিরাণীর দুয়ারে উপস্থিত হয়েন তখন তিনি কি আর না আসিয়া থাকিতে পারেন ? কাজেই তখন মণিকাঞ্চন যোগ হয়। এই ভাবেই যুগে যুগে প্রতিভাবান চিত্রবিৎ জন্মগ্রহণ কবিয়া জগতকে অপুৰ্ব্ব কণ্ঠমালায় ভূষিত করিয়া চলিয়া গিয়াছেন । আজকাল একটা কথা শুনিতে পাওয়া যায় যে কলাবিদ্যায় প্রকৃতির বিশেষ কোনও প্রয়োজনীয়তা নাই । জাপানে কথাটার জন্ম, ভারতেও আসিয়া ষ্টতার ঢেউ পহুছিয়াছে। কথাটা শুনিতে বড় আমোদজনক । ভিত্তিহীন প্রাসাদ নিৰ্ম্মাণের মত। আমার মনে হয় অধুন ইয়োরোপে অত্যধিক প্রকৃতির দিকে ঝোক দেওয়ার ফলেই এই কথাটার স্বষ্টি হষ্টয়াছে। পশ্চিমে যেমন কলাদেবীর শুধুই কাঠাম লইয়া মারামারি তেমনি পূৰ্ব্বে আবার সব ত্যাগ করিয়া একেবারে বায়বীয় দেহু ধারণ করিবার আকাঙ্ক্ষা দেখা দিয়াছে। এই দুই অতি বিষম ক্ষেত্রের কোনও দিকে ভারতবাসীর পদস্খলন হয় তাহা অবশু কোনও ভারতবাসী ইচ্ছা করেন না। ভারতের কলাবিদের জন্ত এই দুষ্টএর মধ্যস্থল নির্দিষ্ট । দুইদিক হইতে পরস্পর-সংঘাতে যেমন মধ্যস্থল উৰ্দ্ধে উঠিয়া যায় তেমনি এই দুই পরস্পর বিষম দিকের সমন্বয়ের ফলে ভারত-চিত্র कलां-विश्व S AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS ASA SSASAeeSAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS ৰিৎ বা মূর্তিকলাবিদের স্থান অপেক্ষাকৃত উৰ্দ্ধে যেন ভগবান নিৰ্ম্মাণ করিয়া রাখিয়াছেন। আমাদের চক্ষু মোহতমসাচ্ছন্ন হইলে চলিবে না। লক্ষ্যস্থান ধ্রুবতারার দ্যায় সকল কুয়াসা, সকল অন্ধকার ভেদ করিয়া আমাদের নয়নসমক্ষে জাগিয়া উঠুক। আমরা স্থিরচিত্তে ধীর পাদবিক্ষেপে গন্তব্য স্থানের দিকে অগ্রসর হইতে থাকি । আগেই বলিয়াছি যে কলাবিদ্যা একটা ভাবের খেলা নহে । ইহা একটী উচ্চ শ্রেণীর বিজ্ঞান। বিজ্ঞান মাত্রেই সাৰ্ব্বজনীন ও সৰ্ব্বজ্ঞানব্যাপী। জ্ঞানবিজ্ঞানের আদিও নাই অন্তও নাই। দেশ এবং কাল ইহাকে আবদ্ধ রাথিতে পারে না । বিজ্ঞানে দেশ এবং কালের গণ্ডি কাটিতে যাওয়া বালির বাধ দিয়া নদীপ্রবাহ রোধ করার মত । উন্নত কলাবিদ্যায় যে দক্ষতা যে নৈপুণ্য অর্জন করা দরকার তাহা কি ইউরোপীয়, কি, জাপানী, কি ভারতবাসী কি চীনবাসী সকলকেই করিতে হইবে । এবং তাছা হইলেই সেই সেই ব্যক্তি ঠিক তত্ত্বৎ দেশীয় কলাবিং হুইতে পারিবেন। জাপানী ভারতীয় বা ইয়োরোপীয় চিত্র বলিতে সাধারণ আদর্শ হইতে বিচুত একটা অস্বাভাবিক ‘অন্ত কিছু ভাবিবার কারণ দেখা যায় না। প্রতাপসিংহের চিত্র যথার্থভাবে অঙ্কিত হইলে তাহাকে Cromwellএর চিত্র বলিয়া ভ্ৰম জন্মিবার কোনই কারণ নাই, কনফিউসিসের চিত্রকেও নানকের চিত্র বলিয়া ভ্ৰমে جةى পতিত হইবার আশঙ্কা দেখা যায় না । তবে কি না আপন আপন দেশের বিষয় সেই সেই দেশবাসী কর্তৃক যথার্থভাবে অঙ্কিত হওয়া চাই । এ সমস্ত দেশবাচক বিষয় ছাড়াও এমন কতকগুলি বিষয় আছে যাহা মানব সাধারণের সম্পত্তি । তাহা চন্দ্র-স্বৰ্য্য-রশ্মির দ্যায় সৰ্ব্বলোকে বিস্তৃত । এইরূপ বিষয় লইয়। আমি তিনটি মূৰ্ত্তি রচনা করিবাব চেষ্টা করিয়াছি। যখ ( ১ ) “তুমি মা বিশ্বজননী জনমে মরণে”— (২) “স্তন্যপীযুস-দায়িনী” (৩) “প্রথম যেদিন মেহের ধারা আসিল জগতে নামি”। এই বিষয়গুলি মানব সাধারণের সম্পত্তি ; তবে বিশেষ দেশবাসী কর্তৃক সম্পাদিত বলিয়| সেই দেশের একটু ভাব থাকিয় যাইবেই। এগুলি সবই sculpture বা মৃত্তিকার করা হইয়াছে। পাঠক এইগুলির প্রতিলিপি ক্রমে ক্রমে দেখিতে পাইবেন । স্বতরাং বলিতে