পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ > や ছিলাম বিজ্ঞানে গণ্ডি কাটিতে যাওয়া অদূরদর্শিতার পরিচায়ক । সময় এবং সামর্থ্যের অপব্যবহার । মহৎ এবং সাৰ্ব্বভৌম বিষয়কে কোনও দেশবিশেষে বিশেষ আকার দান করিতে গেলে তাহা বিকৃত তষ্টয় পড়ে এবং আদর্শচ্যুত হইয়া উদ্দেশ্যসাধন পক্ষে ম্লান হষ্টয়া পড়ে । সাময়িক উত্তেজনার বশে বড় জিনিষকে ছোট করিয়া ফেলা কখনও যুক্তিসঙ্গত নহে । তবে একটা কথা সৰ্ব্বদাক্ট মনে হয় । বর্তমান চিত্র জগতে যেন একটা প্রাণসঞ্চারের দিন আসিতেছে । ইয়োরোপে কলাদেবীর দেহ ব্যবচ্ছেদ-ক্রিয়া এত উৎসাহের সঙ্গে চলিয়াছে যে প্রাণ-সঞ্চার না হইলে ক্রমে ইet একটা অদ্য জিনিষে পরিণত হওয়াও বিচিত্র নয় । এখনই ত দেথা যায় ইয়োরোপের হাটে মাঠে বাজারে ব্যবসায় বাণিজ্যে চিত্রকলা নেচাৎ একটা বাজারে জিনিষে যেন পরিণত হইয়া পড়িয়াছে। এই দুদিনে ভক্ত ভারতসন্তান ভিন্ন কে তাছার মর্য্যাদা রক্ষা করিবে—এক একবার বলিতে ইচ্ছ। হয়—চল ম৷ সেই পুণ্যভূমে যেখানে তোমার মন্দির শুধু রং তুলি ক্যানলীস কিম্বা শুধু পাথরে নিৰ্ম্মিত হইবে না— যেখানে অপূর্ব ইতিহাস ও মহিমাময় লোকচরিত্রের ভিত্তির উপরে তোমার প্রাণময় মন্দির গড়িয়া উঠিবে, তুমি মা সন্তানের চিরপোষিত শ্রদ্ধা ও প্রেমে প্রতিষ্ঠিত হইবে। ইয়োরোপে মুকুমার-কলার বহিরঙ্গে অত্যধিক মনোযোগ দেওয়ার ফলে দেহ অপূৰ্ব্ব সৌষ্ঠব লাভ করিয়াছে তাহাতে আর সন্দেহ নাই । আজ এই স্বন্দর দেহে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হক্টলে জগৎ বিমোহিত হইবে । সে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করিবে কে ? ভারতীয় চিত্রবিৎ । কিন্তু কঠোর সাধন চাই, শিল্পনৈপুণ্যে গভীর জ্ঞান চাই। প্রাণ ভগবৎপ্রেমে সুপারমৃএর সুন্দর মূৰ্ত্তিতে ভরপুর হইয়া উঠা চাই। তবেষ্ট যথার্থ চিত্রকলা বা মূৰ্ত্তিকলা জগতের সমক্ষে আবার নূতন আকারে উপস্থিত হইবে । ভারতের যে সাৰ্ব্বভৌম ভাব ও শিক্ষা পুস্তক লিখিয়া, বক্তৃতা করিয়া, সংবাদপত্র চালাইয়া জগতের লোককে উপলব্ধি করাইতে পারা যায় নাই, তাহা এই ‘মুন্দরম্-এর ভিতর দিপ্লাষ্ট হইবে। অধিকারী ভেদে ব্যবস্থা। আজকাল সভ্যতার যে অবস্থা তাছাত্তে এই কলাবিদ্যার সাহায্য ব্যতীত এই মদগৰ্ব্বিত সভ্যতার প্রবাসী—মাঘ, ১৩১৭ [ ••ब खाणि, २द्म श७ খুব প্রাণের কাছে পৌছিবার আর কোনও পথই নাই। এর প্রমাণও ত যথেষ্ট দেখা যায়। একখও স্বগঠিত প্রস্তরমূৰ্ত্তি বা একখানা রঙ্গ-মাথান ক্যানবীস লোকে লাখ লাখ টাকা দিয়া ক্রয় করিয়া সযত্নে রক্ষা করিতেছে। ধনমত্ততা জাতির করিবার উদ্দেশ্লেষ্ট হউক আর প্রকৃত গুণগ্ৰাহিতার জন্তষ্ট হউক আজ পর্যন্ত জগতে এই স্বকুমারকলার জন্ত এত অর্থ ব্যয় হইয়াছে যে সেই সমস্ত অর্থরাশি এক জায়গায় পুঞ্জীভূত করিলে একটা পৰ্ব্বতের আকার ধারণ করে। একেবারে শূল্পের উপরে কি আর এত বড় একটা বৃহৎ কাও ঘটতে পারে? যেটুকু গুণগ্রাহিত ও প্রভাব এর অন্তরালে নিহিত রচিয়াছে সে সম্বন্ধে বিবেচনা করিলেই বেশ বুঝিতে পারা যায় যে বিষয়টা কত গুরুতর। এবং মানুষের এই বৃত্তির ভিতর দিয়া কাজ করিবার কত প্রশস্ত একটা ক্ষেত্র রহিয়াছে । শিল্পনৈপুণ্যে সিদ্ধহস্ত না হইলে ভারতের চিত্র অঙ্কিত করিতে যাওয়া পঙ্গুর গিরি-লঙ্ঘন-চেষ্টার দ্যায় ব্যর্থ হইবে । আগেই বলিয়াছি ভারতীয় কলাবিদের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুতর। বিষয়গুলি নিতান্ত গভীর, ভাব সীমাহীন । কাজেই তাঙ্গ সম্পাদন করিতে যেমনি ভাবুক ও প্রেমিক হওয়া চাই, তেমনি আবাব শিক্ষাংশেও প্রচুর দক্ষত থাকা নিতান্ত আবশ্যক। ভারতে কলা-বিদ্যার এই নব অভু্যদয় বা পুনরুত্থানের মুহূর্তে কলাবিদকে আদর্শচ্যুত হষ্টলে চলিবে না। আমাদের দায়িত্বের কথা সৰ্ব্বদা মনে মনে জাগরূক রাথিয়া লক্ষ্য সন্ধানে অগ্রসর হইতে হইবে । ভারতবাসী চিরদিনই সাধনপ্রিয়। ভারতের কলাবিং কখনও শুধু চিত্র-শিল্পী বা মূৰ্ত্তিকলা-শিল্পী বলিয়াই নিজেকে কর্তব্যমুক্ত মনে করিতে পারেন না, তাঙ্গকে স্বনারম্ এর সাধক এবং মহা প্রেমিক হইতে হুইবে । কোন বিষয় অনায়াসে লাভ করিবার প্রবৃত্তি কখনও ভারতবাসীর দেখা যায় নাই। আজ এই গুরুতর বিষয়েই বা কেন আমরা সাধনবিমুখ হুইব ? ভারতের ভাব ভারতের গভীরতা মুকুমারকলায় জীবন্ত হইয়। উঠিলে তাহা আপন মহিমায় জগতে স্বপ্রতিষ্ঠিত হইবে। চৈতন্তের বিশ্ব ৰিমোহন প্রেম, বুদ্ধের শান্ড ও ত্রিতাপহারী নিৰ্ব্বাণৰাণী তখন এক নূতন আকারে নুতন ভৰমণ্ডিত হইয়া সংসার-দাবদগ্ধ মামুষের