পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা চোখের সামনে ভালিয়া উঠিবে। শুামের বঁাশরী আবার বাজিয়া উঠিবে। কোন কালে কোন যুগে সেই মোহন মুরলীর রবে যমুনা উজান বহিয়াছিল কি না সেই তত্ত্ব লইয়া বাদামুবাদ করিবার আর অবসর থাকিবে না—সে মোহন বংশীধ্বনি আবার আমাদের কানের ভিতর দিয়া মরমে পশিবে, আবার প্রাণ আকুল করিয়া তুলিবে । কল্পন সত্যে পরিণত হইবে—পুরাণে গাথা আবার নুতন ভাবে প্রত্যক্ষ হইয়া উঠিবে। সত্যসত্যই এই রাজ্যলুব্ধ পরপীড়নকারী সভ্যতার স্রোত আবার উজান বহিবে। জগতে শাস্তির বার্তা প্রচারিত হইবে । তখন কি দেবমন্দির কি গির্জা, কি রাজপ্রাসাদ কি দরিদ্রের পর্ণকুটার, কি বিচারালয় কি কারখানা সৰ্ব্বত্র একই স্বরে একই তানে বাজিয়া উঠিবে-অনন্তের যাত্রী মোরা এ জগত পান্থনিবাসে ! শ্ৰীঅশ্বিনীকুমার বর্মণ, ইউনিভার্সিটি কলেজ, লণ্ডন। মহাত্মা কেশবচন্দের ধৰ্ম্মপ্রচার আজ আমরা কেশবচন্দ্রের ধৰ্ম্মপ্রচার সম্বন্ধে আলোচনা করিব । এইটিই কেশবচন্দ্রের জীবনের প্রধান কার্য্য । শুধু কেশবচন্দ্রের জীবনের প্রধান কাৰ্য্য বলি কেন ? এইটি জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ কাৰ্য্য। দেশের রাজনৈতিক উন্নতি, শিল্পবাণিজ্যের উন্নতি, দরিদ্রকে অর্থদান ও রুগ্নব্যক্তির সেবা ;–এ সকল কৰ্ম্মের মূল্য যে কিছু কম, তাছা বলিতেছি না ; কিন্তু এ সকলের চেয়ে নরনারীর অন্তরে ধৰ্ম্মভাব উদ্দীপ্ত করা, মানুষকে পাপের পথ হইতে পুণ্যের পথে লইয়া যাওয়া, মানুষের মনশ্চক্ষুর সম্মুখে মানবত্বের মহা অাদর্শ প্রকাশ করা এবং মানুষের চিত্তকে এই সসীম জগৎ হইতে অসীম ঈশ্বরের দিকে লইয়া যাওয়া শ্রেষ্ঠ কাৰ্য্য। এই শ্রেষ্ঠ কাৰ্য্য যে-সে লোকের দ্বারা সম্পন্ন হয় না। এই জন্য জগতের ধৰ্ম্মভাব মান হইয়া পড়িলেই, বিধাতা এক একজন মহাপুরুষ এবং আরও কতকগুলি মহৎ ব্যক্তিকে তাহার সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীতে প্রেরণ করেন। এই সকল লোকের দ্বারাই যথার্থ ধৰ্ম্মপ্রচার - *චු মহাত্মা কেশবচন্দ্রের ধৰ্ম্মপ্রচার ( »ማ হইয়া থাকে । কেশবচন্দ্র ও র্তাহার অনেক সহচর এই শ্রেণীর লোক ছিলেন বলিয়াই ভারতে এবং ইংলওে ধৰ্ম্মপ্রচার করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। কেশবচন্দ্র যখন তরুণবয়স্ক যুবক, যখন সবেমাত্র ব্রাহ্মসমাজে প্রবেশ করিয়াছেন, তখনই তিনি মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের সঙ্গে ব্রহ্মবিদ্যালয়ের শিক্ষিত যুবকদিগকে ধৰ্ম্মসম্বন্ধে উপদেশ দিতে প্রবৃত্ত হন। তাছার পর স্বাস্থ্য লাভের জন্ত কৃষ্ণনগরে গমন করেন । স্বগীয় মনোমোহন ঘোষ ব্যারিষ্টার মহাশয়ের পিতা কৃষ্ণনগরের সদরালা ছিলেন । ব্রাহ্মধৰ্ম্মের প্রতি তাহার গভীর শ্রদ্ধা ছিল । ঘোষ মহাশয়ের বাড়ীতেই কেশবচন্দ্র বাস করিতে লাগিলেন । এই সময় কৃষ্ণনগর অঞ্চলে খ্ৰীষ্টান পাদ্রীদিগের অত্যন্ত প্রভাব ছিল । কেশবচন্দ্র সুযোগ বুঝিয়। কৃষ্ণনগরে একেশ্বরবাদ প্রচার করিতে, আরম্ভ করিলেন । এষ্টজদ্য খ্ৰীষ্টানদিগের সহিত র্তাহার ঘোর বাকৃযুদ্ধ আরম্ভ কষ্টল । এ যুদ্ধ সহজে আর থামিল না। কৃষ্ণনগরের পর কলিকাতা সহরে ও পাদ্রীদিগের সহিত সংগ্রাম চলিতে লাগিল । রেভারেও লালবিহারী দে মহাশয় বিক্রপের সুতীক্ষু বাণ কেশবচন্দ্রের উপর বর্ষণ করিতে লাগিলেন । কিন্তু বাণবর্ষণ করিয়া কি হইবে ? দেশের শিক্ষিত ব্যক্তিগণ কেশবচন্দ্রের কণ্ঠেই জয়মাল্য পরাষ্টয়া দিলেন। ইহার পরই কেশবচন্দ্র দেশের মধ্যে একজন বিখ্যাত ব্যক্তি হইয়া উঠিলেন । দেশের শিক্ষিত যুবকের তাহার বাগ্মিতাশক্তিতে মুগ্ধ হইয়া ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রহণ করিতে লাগিলেন । তাহার পর কেশবচন্দ্র ১৮৬৪ সালে ধৰ্ম্ম প্রচার করিবার জন্ত মাম্রাজ ও বোম্বাই সছরে যাত্রা করিলেন। এতদিন কেশবচন্দ্রের কার্য্য শুধুই বাঙ্গলা দেশের মধ্যে আবদ্ধ ছিল ; এখন মান্দ্রাজ ও বোম্বাই সহরের সুশিক্ষিত ব্যক্তিগণ কেশবচন্দ্রের বক্তৃতায় মুগ্ধ হষ্টয়া, তাহার প্রতি অত্যন্ত সম্মান প্রদর্শন করিতে লাগিলেন। উভয় স্থানেষ্ট ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠিত হইল । বোধ চয় এই সময় কষ্টতেই বাঙ্গালীর সঙ্গে মাদ্রাজ ও বোম্বাইবাসী শিক্ষিত • ব্যক্তিদিগের হৃদয়ের যোগ ছষ্টতে লাগিল। কেশবচন্ত্রের দ্বারাষ্ট এই স্বমহৎ কাৰ্য্যের र्झश्राङ छ्हेब् । श्रोछ श्रामब्र छोउँौग्न भइोमििडङ्ग