পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

چاه حسیهای عمی AASAASAASAASSAAAAAAS AA SAASAASSAAAAAAS AAASASAASAAAS প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩১৭ । २०ब छां★, २ग्न थ७ MASAMSAMAMMSAMAeeSeeMMAeeAMMMMMMMMS ८य भि দান করা হইয়াছে তাহার পরিচয় “সীমালি” আছে তাহ বর্তমান “মুড়ান্দি” “জলশোখী” এই – “বৰ্দ্ধমান ভূক্তির অন্তঃপাতী উত্তর রাঢ় মগুলে” “বাল্পছিটা” গ্রাম । এই গ্রামের পুঙ্খানুপুঙ্খানুরূপ সীমানির্দেশ আছে। চতুঃসীমা স্থলত এই – উত্তর—“কুড়ম্বসা” শাসনের দক্ষিণস্থ “সীমালি” গ্রাম ও ঐ গ্রাম হইতে দক্ষিণে “তরালি” গ্রাম পৰ্য্যন্ত যে -গোপথ গিয়াছে সেই গোপথ । দক্ষিণ—“থাগুল্লিা” শাসনের উত্তরস্থ “সিঙ্গটিয়া নদী।” পূৰ্ব্ব-অম্বয়িল্লা শাসনের পশ্চিমস্থ “সিঙ্গটিয়া” নদী। পশ্চিম—নাডিনা শাসনের পূর্বস্থ “সামালি” গ্রাম, ও “জলশোখী" গ্রামের গোপথ। এই “বালহিট্ট” গ্রামের পরিমাণ ও বার্ষিক রাজস্ব নির্দিষ্ট আছে। ইহার দববস্ত হক হকুক “হিরণ্য প্রত্যায় সমেতং” চন্দ্র স্বৰ্য্য ও পৃথিবীর স্থিতিকাল পর্য্যন্ত দেওয়৷ হইয়াছে। দানের পাত্র বরাহ নামক ব্রাহ্মণের প্রপৌত্র, লক্ষ্মীধরের পুত্র, ভরদ্বাজ গোত্রীয় সামবেদী কোঁথুম শাখামুষ্ঠায়ী *ওবামু” । এই দত্তভূমি কেহ প্রত্যাহার না করেন সেই জন্ত অপহরণে পাপ ও দানে পুণ্যার্থবাচক ধৰ্ম্মশ্লোক পাচটি উদ্ধৃত আছে। সমুদয় সম্পদ ও মনুষ্যজীবন পদ্মপত্র-জলবিন্দুর স্তায় গণ্য করিয়া কাছার ও পরকীৰ্ত্তি লোপ করা উচিত নয়। সন তারিখের স্থলে লেখা আছে “সং ১১ বৈশাখ দিনে ১৬" অর্থাৎ রাজত্বের ১১ বর্ষে বৈশাখের ১৬ তারিখে । উল্লিখিত স্থান সম্বন্ধে অমুসন্ধানে যাহা বুঝা গিয়াছে তাহা এই— বৰ্দ্ধমান, উত্তর রাঢ় সকলেই জানেন । “বাল্পহিট্টা" বর্তমান “বালুটে” ; কাটোয়া মহকুমার অন্তর্গত একটি ক্ষুদ্র গ্রাম। দক্ষিণ সীমায় যে "খাওয়িদা”র উল্লেখ আছে डांशहे व€भांन “খাজুলিয়া" বা “খাড়লে”। পশ্চিম সীমা নির্দেশে যে “মোলাড়দি” “জলশোখী” “তরালি” ও “তরালি” ও “সিমুলে”। দ্বিতীয় ও তৃতীয়টির কোনই পরিবর্তন হয় নাই । বালুটে গ্রামের তিনদিক দিয়া অতি বক্রগতিতে ছোট খাল বা নদী ( স্থানীয় ভাষায় কাদড় ) আছে। উছাই অতীত কালের “সিঙ্গটিয়া” নদীর চিহ্ন স্বরূপ। নদীর গতি পরিবর্তনে “বালুটে” গ্রামের পূর্ব ও পূৰ্ব্বদক্ষিণে যে সব গ্রাম ছিল তাহা বিধ্বস্ত হইয়াছিল। এখন ঐ দিকে বিস্তৃত মাঠ ও বহুদূরে পূর্বদিকে “অনন্তপুরা” “কেউগুড়ি” গ্রাম ও পূৰ্ব্ব দক্ষিণে গঙ্গাটিকুরি” গ্রাম— সম্ভবতঃ নূতন পত্তন। “বালুটের” উত্তরে মুর্শিদাবাদ কাদি মহকুমার সীমা আরম্ভ হষ্টয়াছে। সেদিকে উত্তরে “নুতন গ্রাম” “বিরাহিমপুর” ও দূরে “সালার” নামক গ্রাম আছে । তাম্রশাসনে স্থান নির্দেশে “সাল্য দক্ষিণ বীথ্যাং” এই পদ আছে। ইহার অর্থ যদি "সাল্য গ্রাম হইতে যে পথ দক্ষিণদিকে গিয়াছে সেই পথে” এইরূপ হয়, তবে *সালা” গ্রামের সহিত বর্তমান “সালার” গ্রামের নামের সাদৃশু আছে। তাম্রশাসনের সময় নিরূপণ — vকালীপ্রসন্ন কাব্যবিশারদের প্রকাশিত “বিদ্যাপতি” পুস্তকের উপক্রমণিকায় লিখিত আছে যে কাব্যবিশারদ মহাশয় যখন মিথিলায় বিদ্যাপতি সম্বন্ধে ৰিশেষ অনুসন্ধান করিতে যান তখন সেখানে “লক্ষ্মণসেনাবা” নামক এক *অক্ষা” প্রচলিত থাকা দেখিয়াছিলেন । রাজা শিবসিংহ বিদ্যাপতিকে বিসপি নামক গ্রাম দান করিয়া যে দানপত্র দেন তাহার এক অনুলিপি ঐ পুস্তকের প্রথম পরিশিষ্টে সন্নিবেশিত আছে। ঐ দানপত্রের তারিখ লক্ষ্মণসেনাৰ ২৯৩ শ্রাবণ মুদি ৭ গুরে এই তারিখ ও তৎসঙ্গে সন ৮০৭ সংবৎ ১৪৫৫ শাক ১৩২১ ইহাও লেখা আছে। দানপত্রের প্রথম শ্লোক হইতেও লক্ষ্মণাব্দ ২৯৩ বুঝা যায়। ইহা হইতে লক্ষ্মণাব্দের ২৯৩ ও বাং সন ৮০৭ এতদুভয়ের একত্ব এবং ৫১৪ সনে লক্ষণাৰা প্রচলিত হওয়া জানিতে পারা যায়। রাজ্যারম্ভ হইতেই যে অব্দ গণনা হইয়াছে ইহা নিশ্চিতই ধরা যাইতে পারে। অতএব দেখা যাইতেছে ৰে ৫১৪ সনে লক্ষ্মণসেনের রাজত্ব আরম্ভ