পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS-sد**م...ه-د هي..مده مسيمه-۶ ه. به عیه ماهه ۶۰ به ه= ع-..s=""مه. করব ? অামার-অতীত একটা শক্তি আমাকে ক্রমাগতই বিপথে নিয়ে গেছে—আমি পারিনি, আমি পারিনি, নিজের শক্তিতে সুপথে ফিরতে আমি পারিনি। তুমি তো জানো আমি কি দুঃখের মাঝে, কি দৈন্তের মাঝে ছিলুম। তুমি আশ্রয় দিলে, আহার দিলে, আচ্ছাদন দিলে, মেহ্ন দিলে, ভালোবাসা দিলে—তোমার কাছে থেকে, তোমাকে ভালোবেসে—এ কথা হয় তো বিশ্বাস করবে না তোমায় ভালোবাসি—কিন্তু তবুও আমি বলবো তোমায় ভালোবেসে আমি কি মুখে, কি নিশ্চিস্তে ছিলুম! তুমি সে সব কেড়ে নিয়ে আমাকে আবার নৈরাপ্তের মাঝে, দুঃথের মাঝে, দৈম্ভের মাঝে ফেলে দিচ্ছিলে--তাই ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে আমি এমন কাজ করলুম। ফ্র্যাঙ্ক শোনে—অধৈৰ্য্য হয়ে ন।---আমার সব কথা আগে শোন—তোমাকে সব আমি খুলে বলচে । আমিছ ইভার মনে সন্দেহ জন্মিয়ে দি যে তুমি তাকে সত্যি ভালোবাস না— আমিই তার মনে সন্দেহ এনে দিই তাতেহ তোমাদের মিলন ভেঙে যায়—হঁ। আমিচ তোমাদের বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দিই। চিঠি আমিষ্ট বন্ধ করেছিলুম। ফ্র্যাঙ্ক ! এ সবই আমারই কাজ–সমস্ত, আগাগোড়া সমস্ত আমার কাজ! যখন সে কাজ করতে প্রবৃত্ত হয়েছিলুম--সত্যি বলচি—নিজের প্রতি দারুণ ঘৃণা হয়েছে কিন্তু তবুও নিবৃত্ত হতে পারিনি—আমার সাধ্যে কুলোয় নি – আমি যে অমনি করে তৈরি হয়েচি, আমার নিজের বলে কিছু করবার সামর্থ্য ভগবান যে আমায় দেন নি—আমি তো আমার প্রভু নই—আমি যে দাস ! আমি দৈবের দাস, ঘটনাচক্রের দাস, প্রবৃত্তির দাস – জঘন্ত কৃতদাস ! আমি অভ্যন্ত অদ্ভুত—নানা মিশ্রণে আমার গঠন, তাই তুমি আমায় বুঝতে পার না । কিন্তু চেষ্টা কর ফ্র্যাঙ্ক, আমায় বুঝতে, তাহ’লে আমায় নিশ্চয় তুমি ক্ষমা করবে। বিশ্বাস করে—সত্যি বলচি আমি স্বার্থপর নই— সত্যিই সমস্ত প্রাণের সঙ্গে আমি তোমায় ভালোবাসি-— সত্যি বলচি এমন ভালোবাসা কেউ কাউকে কখনো বাসেনি ;– আর কেনই বা তোমায় ভালোবাসব না ? তুমি আমার কি না করেচ ! আমি স্বার্থপর নষ্ট, নই! ফ্র্যাঙ্ক ! আমি কখনোই স্বার্থপর নষ্ঠ ! এ কথা কেন বিশ্বাস করচ না ? যথন তোমার ধনরত্ন গেল, সব গেল, ه با ** ب-مه a عاعی - هی-حسییایده ح- ه" "مسعه ع 「 ? どぶ。 AeeSAAAAAAS AAASASASASASAeeSAS SSAS SSAMMeSAAAAAAAS যখন তুমি আমারই মতো দরিদ্র নিঃসম্বল হয়ে পথে দাড়ালে তখন কি আমি তোমায় ত্যাগ করেছিলুম ? তখনো কি তোমার সমস্ত দুঃখকষ্টের ভাগ আনন্দের সঙ্গে বহন করে ছায়ার মতে সঙ্গে সঙ্গে ফিরিনি ? স্বাথপর হলে কি তা করতে পারতুম ? মনে করে দেখ, আমি তোমায় ত্যাগ করিনি, ত্যাগ করিনি ! তোমার সঙ্গে একত্রে খেটেছি, হাসিমুখে তোমার দুঃখ বহন করেচি। হা ভগবান! সে দুঃখের দিন ও রইল না কেন ? আবার কেন ঠভার সঙ্গে দেখা ?—” –“ব্যস থামো-আর কত বলতে চাও !” ফ্রাঙ্ক গৰ্জিয়া বলিয়া উঠিলেন—“তাহলে এ তোমারই কাজ ! তুমিষ্ট আমার জীবনের সমস্ত সুখশাস্তি রসাতলে দিয়েছ ! হা ভগবান! এও সম্ভব –তুমি ঠিক বলেছ বাটি, আমি তোমায় বুঝতে পারলুম না " . বলিয়া ফ্র্যাঙ্ক একটা বিকট হাস্ত করিয়া উঠিলেন ;-—মুখ আরক্ত ইয়া উঠিল—চোখ ; দিয়া রাগ আগুনের মতো ঠিক রাষ্টয়া পড়িতে লাগিল । বাটি ধূণায় লুটাঠয়৷ কাদিতে কাদিতে মিনতির স্বরে আবার বলিল—“ফ্র্যাঙ্ক ! ভাই ! আমাকে বোঝবার চেষ্টা কর— আমি কি তা বোঝ । মনে কর আমি তোমার সেই বন্ধু— অম্লচীন, বস্ত্রহীন, আশ্রয়ঙ্গান ! ভগবানের নামে শপথ করে বগচি আমি যে মন সে আমি ইচ্ছে করে নই –ঘটনাচক্র, ভাগ্যচক্র আমাকে মন্দ করে তুলেচে । আজন্মকাল থেকে আমার মধ্যে এতটুকু স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি নেঙ্গ—আম সে শক্তি নিয়ে জন্মাতে পারিনি । ভগবান আমাকে চিন্তাশক্তি দিয়েছেন সতাঁ কিন্তু সে শক্তি আমার বশে নয়, আমি যা খুলী ইয়ে ভাবতে ভালোবাসি তা তো পারিনে । সমুদ্রতরঙ্গের উপর একটা গোলা পড়লে যেমন কেবলই , সেটা ধাক্কা থেতে থেতে উঠতে পড়তে থাকে তেমনি করে সমস্ত জীবনটা আমি একটা না একটা দুরবস্থার ধাক্কা থেয়ে থেয়ে কেবলষ্ট উঠেছি পড়েচি—ইফে ছাড়তে পাইনি। কি করব ? তরঙ্গের উপর মাথা জাগিয়ে বঁাচতে হবেত । চচ্ছাশক্তি ? মনের বল ? জানি না তোমার সে সব আছে কি না, কিন্তু আমার মধ্যে তার পরিচয় আজ পৰ্য্যস্ত কখনো পেলুম না। আমি যে একটা কাজ করি সে আমাকে করতে হয় বলে আমি করি—ঘাড় ধরে করায়