পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(rbሙ8 সমুদ্রের যে অংশের ঠিক উপরে চন্দ্র আসিয়া দাড়ায়, দূরদূরাস্তরের জলরাশি চন্দ্রেরই টানে সেক্টস্থানে জমা হইতে থাকে। কঠিন শিলামূত্তিকাকে টানিয়া স্ত,পাকার করার শক্তি চন্দ্রের নাই । তরল জলক্ট টানে পড়িয়া স্ফীত হইয়া দাড়ায় । চন্দ্রের নিম্নবৰ্ত্তী স্থানে যেমন জলোচ্ছ,াস হয়, উগরি বিপরীত দিকে ব ভূপৃষ্ঠে জল থাকিলে তাহাতেও সেক্টপ্রকার উচ্চ,াস দেথা যায়। ইগর ব্যাখ্যানে বৈজ্ঞানিকগণ বলেন,– ভূপৃষ্ঠের বিপরীত দিকের জলরাশি চন্দ্র হইতে ষত দূরে অবস্থিত, ভূ-কেন্দ্রের দূরত্ব তাঙ্গ অপেক্ষ অনেক কম । কাজেই দূরবর্তী জলকে অধিক না টানিয়া নিকটবর্তী কঠিন পৃথিবীকে চত্র অধিক জোরে টামে । পৃথিবী জলের আবরণটিকে পিছনে ফেলিয়া নিজেই একটু চন্দ্রের দিকে অগ্রসব হয় । কাজেই ঐ পরিত্যক্ত জলরাশি স্ফীত হইয়া জোয়ারেব উৎপত্তি করে । চন্দ্র পুথিবীর এক চান্দ্র দিনে ইতার ফলে একই স্থানের উপর দাড়াঙ্গয়া থাকে না । সে যেমন একবার পৃথিবীকে ঘুরিয়া আসে, তাঙ্গার পিছনে পিছনে ভূপৃষ্ঠের সেট ৬ষ্ঠ দিকের জলোচ্ছ,াসও চলিতে থাকে ইহাতেষ্ট সমুদ্রের প্রত্যেক অংশে প্রতিদিন ফুটবার করিয়া জোয়ারের উৎপত্তি হয় । যাগ হউক এই জলোচ্ছ,াস পৃথিবীর আবর্তনের সঠিত একত্রে ভূপৃষ্ঠের উপর দিয়া চলিতে পাবে না । কারণ চন্দ্রষ্ট যখন উহাব উৎপাদক, তখন চন্দ্রের স্বকীয় গতিকে মানিয়া চলা ব্যতীত তাকার অন্ত উপায় থাকে না । আমরা কখনই দূরবর্তী নক্ষত্রের ন্তায় নিশ্চল বলিয়া স্বীকার করিতে পারি না । উচ্চার নিজের গতির লক্ষণ প্রতিদিনের উদয়াস্তের কাল-পরিবর্তনে সুস্পষ্ট জানা যায় । কাজেই চন্দ্রের অমুগত হওয়ায় জলোচ্ছ,াসকে ধীরে ধীরে পূৰ্ব্ব হইতে পশ্চিমদিকে অগ্রসর হইতে হয়। ইহার ফলে পৃথিবী জলোচ্ছ,াসকে এক পূর্ণবৰ্ত্ত-কালে ভূ-পৃষ্ঠের সৰ্ব্বাংশের উপর দিয়া কখনই চালাষ্টতে পারে না । বৈজ্ঞানিকগণ বলিতেছেন,—সমুদ্রজলের এই বিপরীত গতি পৃথিবীর আবর্তন-বেগকে ধীরে ধীরে কমাষ্টয়া আনিতেছে । গাড়ির চাকায় ব্ৰেক্‌ কসিলে তাহার বেগ ৰেমন কমিয়া আসে, জলোচ্ছ,াসের বিপরীত গতি যেন চঞ্জকে [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড সেই প্রকারে পৃথিবীর আবর্তন-বেগকে কমাইতেছে। গণনা করিয়া দেখা গিয়াছে এই হিসাবে প্রতি শত বৎসরে আমাদের অঙ্গোরাত্রির পরিমাণ ১২ সেকেও কমিয়া আসিতেছে। দুষ্টটি চলিষ্ণু বস্তুর মধ্যে একটির বেগ কমিয়া আসিলে, তুলনায় অপরটিকে দ্রুত চলিতে দেখা যায়। কাজেই পৃথিবীর বেগ বারো সেকেণ্ড কমিয়া আসায়, পৃথিবী হইতে আমরা সেকেও বৃদ্ধি দেখিতে পাই । চন্দ্রের এই আপেক্ষিক বেগ বুদ্ধির ব্যাপারটা গত শতাব্দীর জ্যোতিষিগণের অগোচর ছিল না । প্রাচীন ও আধুনিক পণ্ডিতগণ এসম্বন্ধে যথেষ্ট আলোচনা করিয়া পূৰ্ব্বোক্ত ব্যাখ্যানটিকেই যথার্থ বলিয়া মানিয়া আসিতেছিলেন । সম্প্রতি এই প্রসঙ্গের একটা নুতন কথা শুন যাইতেছে । ডাক্তার ব্রায়ণ্টে (Dr. Bryant) নামক চন্দ্রের বেগের বারো জনৈক প্রসিদ্ধ জ্যোতিষা প্রচার করিতেছেন, মহাকাশের স্থানে স্থানে যে ধূণপুঞ্জ ভাসিয়া বেড়ায়, সম্ভবতঃ তাহাই দেহস্থ করিয়ু চন্দ্র নিজের গতি বৃদ্ধি করতেছে । ইনি গণনা কবিয়া দেখিয়াছেন, ধূলি জমাইয় প্রতি শতাব্দীতে চন্দ্রদেহ যদি গড়ে এক ইঞ্চির পাঁচশ ভাগের এক ভাগ मांख छूण छब्र, उtन অনায়াসে পারে। শত বৎসরের শেষে উহার গতি সেকেও যাইতে পারে । ব্রায়ান্ট সাহেব বলিতেছেন, এই পরিমাণ ধূলি চন্দ্রদেহে সঞ্চিত হওয়া বিচিত্র নয় । সুতরাং আমাদের সুপরিচিত সেই জলোচ্ছ,াসের ব্যাপার ছাড়া চন্দ্রের বেগ বৃদ্ধির আর একটি কারণের সন্ধান পাওয়া যাইতেছে । সাতাইস দিন কয়েক ঘণ্টায় চন্দ্র একবার পৃথিবীকে পরিভ্রমণ করিয়া আসে, এবং ঠিক সেই সময়ে সে নিজের চারিদিকেও একবার ঘুরপাক দেয়। ইহাতে চাদের একটা দিকৃই পৃথিবীর দিকে উন্মুক্ত থাকে । কিন্তু তথাপি কখনো কখনো উহার পশ্চাৎদিকের কতকটাও আমাদের নজরে পড়িয়া যায় । এই ব্যাপারটি এককালে জ্যোতিঃশাস্ত্রের একটা বৃহৎ সমস্ত ছিল। প্রসিদ্ধ ফরাসী পণ্ডিত লাপ্লাস্ সাহেব চক্রের এই গতিবিভ্রাটের মীমাংসা করিয়াছিলেন । জ্যোতিষ্কের আকার যদি ঠিক গোল হয়, তবে অপর গ্রহ উপগ্রন্থ তাহার উপর যে প্রভাব বাড়িয়া