পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্য। ] দেখায় তাহা গণনা করা কঠিন হয় না । কিন্তু ঠিক গোলাকার জ্যোতিষ্ক একবারেই দুর্লভ। পৃথিবীর নিরক্ষ বৃত্তের সন্নিহিত স্থান যেমন মেরুপ্রদেশের তুলনায় উচ্চ, অনেক জ্যোতিষ্কের পৃষ্ঠকে সেই প্রকার অসমই দেখা যায়। পৃথিবীর এই বলয়াকার উচ্চ স্থানটুকুকে চন্দ্র স্বর্য সকলেই টানিয়া উহার গতিকে যে কত জটিল ও পরিবর্তনশীল করিয়া তুলিয়াছে বিশেষজ্ঞ পাঠকের নিকট তাহার পরিচয় প্রদান নিম্প্রয়োজন। কেবল ঐ স্থানটুকুর জন্ত চন্দ্রস্থৰ্য্যের অসম টানে পড়িয়া পৃথিবী বার বার মাথা নাড়িয়া চাঞ্চল্য প্রকাশ করিয়া থাকে। চন্দ্রের সৰ্ব্বাঙ্গ অত্যুচ্চ পৰ্ব্বত ও অতি গভীর মহা-গহবরে আচ্ছন্ন বলিয়া পৃথিবীর তুলনায় চন্দ্রপৃষ্ঠ খুবই অসম। ভূ-ভাগের হ্যায় সমতল প্রদেশ চন্দ্রে এক প্রকার দুর্লভ বণিলেই হয় । কাজেই উচ্চার নিরক্ষ রেখ ঠিক বৃত্তাকার নয়। উচু নীচু তলের উপর চলিয়া সেটা খুবই বাকিয়া গিয়াছে। সুতরাং এই অসমস্থানকে পৃথিবী বা স্বৰ্য্য কেহই সমভাবে টানিতে পারে না । লাপ্লাস সাহেব এই ব্যাপার অবলম্বনে গণনা করিয়া দেখাইয়াছিলেন, স্কুর্য্যের অসম টানে আমাদের পৃথিবী যেমন বিচলিত হইয়া মাথা নাড়া দেয় চন্দ্র যখন সেই প্রকারে মাথা নাড়িতে আরম্ভ করে তখনি উচ্চার অপরাদ্ধের কতকটা আমরা দেখিয়া ফেলি । চন্দ্রের নানা উচ্ছঙ্খল গতির মধ্যে জ্যোতির্ষিগণ কেবল এই প্রকার কতকগুলি স্থল ব্যাপারের কারণ দেখাইতে পারিয়াছেন। অপর ছোটখাটাে উচ্ছঙ্খলতার কারণ নির্ণয় করিতে গেলে, এত জটিল গণনার মধ্যে আসিয়া পড়িতে হয় যে, তাছা স্বসাধ্য হয় না । পৃথিবীর এত নিকটে থাকিয়া, চন্দ্র আজও তাহার গতিবিধির অনেক রহস্ত লুক্কায়িত রাখিয়াছেন। ২ । সূৰ্য্য ও নক্ষত্রপুঞ্জ । আমরা প্রতি রাত্রিতে আকাশে যে সকল নক্ষত্র দেখিতে পাই, তাহাদের পরস্পরের ব্যবধান স্থল দৃষ্টিতে অপরিবর্তনীয় দেখাইলেও সত্যই তাহ চিরস্থির নয়। যে গুলিকে আমরা নিশ্চল নক্ষত্র বলি, কেবল আমাদেরই স্থল ইঞ্জিয়ের নিকট তাহার। নিশ্চল । শুক্র বৃহস্পতি প্রভৃতি জ্যোতিষিক যৎকিঞ্চিৎ AASAASAASAASAASAASAASAASAAMeMAeSAAAAAAS AAAAAASA SAASAASSAAAAAAS AAASASAAAAASAAAAMASMSMeeAAASA SAASAASAASAASAAMAAA AAAAS AAAAA SAAAAA (*br(* ساخ** بدیههای بسرده «... . ۶ - ۰ - ۰ - ۰ "مسعه هم ه. به هد গ্ৰহগণ যেমন এক একটা নিদিষ্ট পথ ধরিয়া নিয়তই পরিভ্রমণ করে, প্রত্যেক নক্ষত্রটিও যে ঠিক সেই প্রকারে চলিতেছে তাহার যথেষ্ট প্রমাণ অাছে। নিকটের বস্ত যখন চলাফের করে, আমরা তাঙ্গাদের গতি প্রত্যক্ষ দেখিতে পাই। অতি দূরের বস্তু যদি খুব প্রচও বেগেও চলে, তবে দূরে থাকিয় দুষ্ট এক শত বৎসরে তাহাদের বিচলন লক্ষ্য করার শক্তি আমাদের নাই। অত্যুৎকৃষ্ট দূরবীন প্রভৃতি যন্ত্রকেও এই গতি-বাক্ষণে পরাভব মানিতে হয় । এই কারণেই আকাশের সকল নক্ষত্রষ্ট সচল হইয়া আমাদের নিকট অচল । পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্রটির দূরত্ব আড়াই লক্ষ কোটি মাইলেরও অধিক । আলোক প্রতি সেকেণ্ডে একলক্ষ ছিয়াশি হাজার তিন শত মাষ্টল বেগে ধাবিত হয় । এই ভীষণবেগে চলিয়া ও অনেক নক্ষত্রের আলোক পৃথিবীতে পৌছতে সহস্র সঙ্গক্স বৎসর অতিবাহন করে । এগুলি পৃথিবী হইতে যে কতদূরে অবস্থিত তাঙ্ক আমরা যেন কল্পনাই করিতে পারি না । সুতরাং ভীমবেগে চলাফের করার পরও এই প্রকার দূরবত্তী নক্ষত্রগুলি যে আমাদের নিকট নিশ্চল বলিয়া বোধ হইবে তাহাতে আর আশ্চর্য্য কি ! স্বৰ্য্য তাঙ্গর ক্ষুদ্র পরিবারবর্গের নিকট খুব প্রতাপশালী চটলেও, অনন্ত মহাবিশ্বে সে একটি ক্ষুদ্র নক্ষত্র ব্যতীত আর কিছুষ্ট নয় । আমরা যেসকল নক্ষত্রের সহিত পরিচিত তাহীদের মধ্যে অনেকেই স্বর্য্যাপেক্ষ শত শত গুণ বড়। দুইটি, তিনটি, চারিটি স্বৰ্য্য একত্র অবস্থান করিতেছে, এ প্রকার নক্ষত্র ও অনেক দেখা গিয়াছে । একটি স্বৰ্য্যের কয়েকটিমাত্র গ্রহ উপগ্রহের গতিবিধি গণন করিতে গিয়া আমরা ক্লাস্ত হইয়া পড়ি ; বহুস্বৰ্য্যময় এই প্রকার অসংখ্য জগতের অসংখ্য গ্ৰঙ্গ উপগ্রন্স যে কত জটিল অাকর্ষণ-বিকর্ষণের ভিতর দিয়া করিয়া লইতেছে, তাঙ্গ ভাবিলেও বিস্মিত হঠতে হয়। যাহা হউক নক্ষত্রমাত্রেই যেমন গতিশীল, আমাদের স্বৰ্য্যও ঠিক সেই প্রকার গতিশীল । বুহম্পতি শুক্র প্রভৃতি গ্রঙ্গচন্দ্রকে ডানায় ঢাকিয় সে “এক বৃহৎ পক্ষীর দ্যায় একটি নির্দিষ্ট দিক্‌ ধরিয়া ছুটিয়া চলিয়াছে । আমরা নিজের গাহস্থ্যি ব্যাপার লইয়াই বিব্রত। প্রতিদিনই যথাকালে স্বৰ্য্যের নিজেদের পথ