পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা | এই ঘটনার পর পূর্বভাদ্রপদ, বৃশ্চিক প্রভৃতি রাশিতে অনেকগুলি নূতন নক্ষত্রের জন্ম দেখা গিয়াছে। ইহাদের মধ্যে কোন কোনটিকে এখনো স্থায়ী নক্ষত্রের আকারে বা নিহারীকার দ্যায় আকাশে দেখা যায় । এই জ্যোতির্ষিক ঘটনার ব্যাখ্যানে পণ্ডিতগণ বলেন, মহাকাশের স্থানে স্থানে যেসকল অনুজ্জ্বল উল্কাপিণ্ড পরিভ্রমণ করিতেছে, যখন তাঙ্কার নিকটবৰ্ত্তী হইয়া পরস্পরকে সবলে ধাক্কা দেয়, তখন সেই অমুজ্জল পিণ্ডগুলিই জলিয়া পুড়িয়া উজ্জ্বল হইয়া উঠে। দূর হইতে আমরা এই জলন্ত বস্তুকে নূতন নক্ষত্রের আকারে দেখি। যদি সামগ্রীর (Mass) পরিমাণ অধিক থাকে, তবে এগুলি কিছুকাল উজ্জ্বল নিহারীকার আকারে থাকিয়া ক্রমে কিছুকাল সত্যই এক একটি নূতন নক্ষত্রের উৎপত্তি করে, নচেৎ অতি অল্পদিনের মধ্যে নিৰ্ব্বাপিত হইয়া অদৃশু হইয় যায় । সম্প্রতি মেষ ও ধন্থ রাশিতে এই শ্রেণীর দুইটি নুতন নক্ষত্রের আবির্ভাব-সমাচার পাওয়া গিয়াছে। আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, উভয় নক্ষত্রই দুইজন মার্কিন মহিলার চেষ্টায় আবিষ্কৃত । ১৮৮৯ সালে আগষ্ট মাস হইতে গত মার্চ পর্য্যন্ত মেষ রাশির যে ৪৪ খানি ফোটোগ্রাফ ছবি উঠানে চষ্টয়াছিল, তাঙ্গতে কোন নূতন নক্ষত্রেরই সন্ধান পাওয় its at I for foot cofo (Mrs. Fleming) নামক জনৈক মার্কিন মহিল গত এপ্রিল হইতে আগষ্ট মাস পর্য্যন্ত যে একুশখানি ছবি তুলিয়াছিলেন তাঙ্গতে উছার সাক্ষাৎ পাওয়া গিয়াছিল । আবিষ্কারকালে নক্ষত্রটিকে দ্বাদশ শ্রেণীর তারকার দ্যার উজ্জ্বল দেখাষ্টয়াছিল। এখন সেটি ষষ্ঠ শ্রেণীর নক্ষত্রের দ্যায় নিম্প্রভ হইয় পড়িয়াছে । ধমুরাশিস্থ দ্বিতীয় নূতন নক্ষত্রের আবিষ্কত্রীর নাম মিস *Itaal (Miss ইনিও একজন মার্কিন মহিলা । গত ১৮৯৯ সালের ৯ আগষ্ট তারিখে ধনুরাশির যে ছবি পাওয়া গিয়াছিল, তাছাতে ঐ নবজাতের সাক্ষাৎ পাওয়া যায় নাই । কিন্তু পরদিনের ছবিতে উহার প্রতিকৃতি ৮ম শ্রেণীর তারকার আকারে সুস্পষ্ট অঙ্কিত ছইয়া পড়িয়াছিল। যেসকল নূতন নক্ষত্র ধীরে ধীরে Cannon), স্বগীয় শিশিরকুমার ঘোষ Qb〜? উজ্জল ন হইয়া হঠাৎ প্রভাসম্পন্ন স্কষ্টয় পড়ে, তাঙ্কাদের তিরোভাবের জন্ত অধিক দিন প্রতীক্ষা করিতে হয় না । এই নবজাত জ্যোতিষ্কটিব উজ্জ্বলতা দ্রুত ক্ষয় পাইয়া গত অক্টোবর মাসে ত্রয়োদশ শ্রেণীর তারার দ্যায় মলিন হুইয়া পড়িয়াছিল । ইহার পর এই নিম্প্রভ নূতন নক্ষত্রের আর সন্ধান পাওয়া যায় নাই । শ্রীজগদাননা রায় । স্বৰ্গীয় শিশিরকুমার ঘোষ প্রসিদ্ধ অমৃতবাজার পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ; অমিয় নিমাইচরিত, কালাচাদ গীতা প্রভৃতি প্রসিদ্ধ গ্রন্থের রচয়িতা ; পরম তেজস্বী, অথচ বিনয়ী ভক্ত বৈষ্ণব শিশিরকুমারের মৃত্যুতে বঙ্গদেশ একটি স্বসন্তান হারাষ্টয়াছে। শিশিরকুমার যৌবনের প্রারম্ভকাল হইতেই লোকসেবায় নিযুক্ত হইয়াছিলেন। ১৮১৯ বৎসর বয়সে তিনি নীলকরদিগের অত্যাচারে প্রপীড়িত রায়তদিগের পক্ষ অবলম্বন করিয়া লেখনীধারণ করেন এবং হিন্দু পেটিয়ট পত্রিকায় ক্রমাগত অত্যাচার কাহিনী নিভীকভাবে প্রকাশ করিতে থাকেন। . ম্যাজিষ্ট্রেট প্রভৃতি কাজকৰ্ম্মচারীরাও তখন নীলকর সাহেবদের পৃষ্ঠপোষক ছিল ; তাচাদের ক্রকুটিও যুবক শিশিরকুমারকে ব্রতভ্রষ্ট করিতে পারে নাই। মুসলমান রায়তের কৃতজ্ঞতাভরে শিশিরকুমারকে “সিন্নিবাবু” বলিয়া সম্মান দেখাষ্টত । শিশিরকুমার মাতৃভক্ত ছিলেন । তাঙ্গদের বাসগ্রাম পৌলা মাগুরা সামান্ত গ্রাম ; সেখানে বাজার হাট কিছুষ্ট ছিল না । শিশিরকুমার ভ্রাতাদিগের সহযোগিতায় সেখানে বাজার বসাইয়া মায়ের নামে নাম রাখেন “অমৃতবাজার” এবং তাঙ্কা কষ্টতে সমগ্র গ্রাম তাহার আয়ের নামেষ্ট পরিচিত হইয়া আসিতেছে। গ্রামের অধিকতর উন্নতি করিবার জন্ত শিশিবকুমার স্বগ্রামে সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠা করিবার সঙ্কল্প করিয়া কলিকাতায় আসেন এবং নিজ হাতে ছাপাখানার কম্পোজ, ছাপা প্রভৃতি কাজ শিথিয়া স্বগ্রামে একটি কাঠের প্রেস