পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] কুমীর লইয়। খেল । কুমীরের কামড়াইয়া ধরিয়া থাকিবার শক্তি অসাধারণ একবার কোনো জিনিষ ইহাদের দাতের মধ্যে পড়িলে, উহাকে তাঙ্গার প্রাণপণে কামড়াইয়া থাকে। কাঠের টুকরাতে দড়ি বাধিয়া জলে ফেলিয়া দিলে কুমীরেরা সেইগুলিকে দাত দিয়া অত্যন্ত জোরে কামড়াঈয়া ধরে । তখন ধীরে ধীরে তাহাদিগকে ডাঙ্গায় তুলিয়া একটি বাক্সের মধ্যে পূরিয়া ফেলা সহজ - পাণলে এই উপায়ে কুমীর ধরিতেছেন। আনিবার সময়ে রাস্তায় প্রায়ই দুই একটি কৌতুকপ্রদ ঘটনা হইয়া থাকে। একবার জাহাজের খোলের মধ্যে হইতে একটি প্রকাও কুমীর হঠাৎ বাহিরে আসিয়া পড়ে। ইহাতে জাহাজ মৃদ্ধ লোক এরূপ ভীত হইয়া উঠিয়াছিল যে তাহাদিগকেই সামলান কঠিন হই উঠিয়াছিল। আর একবার যখন তিনি জাহাজ হইতে নামিয়া গাড়ী করিয়া আসিতেছিলেন, ঘোড়ার গাড়ী বেশ ঘড়, ঘড় করিয়া যাইতেছিল, গাড়ীর উপরে থাচার মধ্যে একটি কুমীর ছিল। কিছুদূর যাইতেই গাড়ীর বাকুনিতে কুমীরটি অত্যন্ত তীত হইয়। রাস্তায় লাফাইয় পড়ে। এই ঘটনায় গাড়ীর কোচম্যান তাঙ্গর বসিবার স্থানে ভয়ে প্রায় সংজ্ঞা

সংকলন ও সমালোচন—কুমীর পোষা 8X শূন্ত হইয়া পড়িয়াছিল, এবং পথের লোকের প্রাণের ভয়ে উদ্ধশ্বাসে চীৎকার করিতে করিতে ইতস্ততঃ পলায়ন করিতে আরম্ভ করিয়াছিল । কুমীরটিও এই সমস্ত কাও দেখিয়া ভয়ে জড়সড় হইয়া পড়িয়াছিল, তাহাকে আবার খাচায় পূরিতে বিশেষ বেগ পাইতে হয় নাই । প্যর্ণলে তাহার প্রিয় জন্তুগুলিকে ‘মুন্দর’ ‘চিত্তরঞ্জন” প্রভৃতি নানা বিশেষণে ভূষিত করিয়াছেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় সাধারণ লোক এই কদাকার প্রাণীর মধ্যে কোনে। সৌন্দর্য্যই দেখিতে পায় না । ইহ\দের গাত্ৰতাপ বাহিরের উত্তাপের অপেক্ষ। সৰ্ব্বদাই কম থাকে বলিয়। তাহাদের গাত্রস্পর্শ করাও বিশেষ মুখকর নহে। তাঁহাদের ক্ষুধা সৰ্ব্বগ্রাসী এবং কখনো তাহার শান্তি হয় না । পচা মাংস প্রভৃতি উপাদেয় খাদ্য তাহারা অতিশয় আনন্দের সহিত ভক্ষণ করে । আর উহাদের বুদ্ধি এতই অল্প ও স্থল যে তাহদের মস্তিষ্ক আছে কিনা সে বিষয়ে অনেকেই সন্দেহ করেন ; যদি থাকে তাক নিতান্তই অল্প । কিন্তু তাঙ্কাদের বুদ্ধি অতি সমান্ত থাকা সত্বেও তাহারা অদ্ভুত বগুতার সহিত মানুষের নিকট পোষ মানিয়াছে। কুমীরের দাত দিয়া ধরিবার শক্তির কথা পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে ; প্যর্ণলে এক টুকৃর কাপড় কুমীরের মুখে দিয়া সেইটি ধরিয়া তাহাকে উচু করেন এবং পিঠের উপর করিয়া বেড়াইতে থাকেন। কুমীর ধৃত হইবার পর কয়েক দিন তাহাকে বায়ু অথবা খাদ্য কিছুই দেওয়া হয় না এবং তার পর তাহার দলবলের মধ্যে চৌবাচ্চার জলে ফেলিয়া দেওয়া হয় । প্যর্ণলে চৌবাচ্চায় নামিলে প্রথমে প্রত্যেক কুমীরই একবার করিয়া তাহাকে আক্রমণ করে, কিন্তু তাহার এমনষ্ট একটি শক্তি আছে যে তিনি তাঙ্গাদিগকে অনায়াসে দূরে রাখিতে পারেন।