পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ձ>Հ --—“না ।”

  • আর আমি, - যদি আমার প্রাণের উপর বিতৃষ্ণ হয়, তাঙ্গলে বরং আত্মহত্যা করে মরি তবু এরূপ ভয়ানক মরণ প্রার্থনা করি না । ওরূপ মরণের চেয়ে আত্মহত্য

ঢের সোজা, কোন হাঙ্গাম নেই, শীঘ্ৰ কাজ শেষ হয়ে शांग्न !” - —“তবে বলি শুনুন । প্রাণের উপর আমার তেমন একটা মায়া নেই, আমার শুধু এই মনে হয়, বেঁচে থাকা আমার কর্তব্য ; আমি মানুষ, আমি একজন বিবাচিত ব্যক্তি ; তাই আমি যতটা পারি, আমার জীবনের মূল্য ও মর্য্যাদা অনুভব করতে চেষ্টা করি ।” —“আমার ত তার উল্টাটাই মনে হয় ।” —“মশায়, সেটা আপনার ভুল। সাধ্যসাধন করে মৃত্যুকে আহবান করলে তবেষ্ট জীবনকে সম্ভোগ করা ঠিক বুঝা যায় । যখন আমার এই মোটব-গাড়ীতে প্রাণ-সঙ্কট উপস্তিত তয়, আমার মনে হয় বঁাচবার কর্তবাভারটা সেন একটু লঘু হয়ে আসছে—অন্তত কিছুকালের জন্য।...এইরূপ বেঁচেথাকার একটা তীব্র আনন্দ আমি একবার অনুভব করেছিলুম,—যখন একদিন রাত্রে সিজা থেকে ফ্ররেনসে যাবার সময়, আমার মোটর গাড়ীটা একটা শৈলখণ্ডে লেগে চূর্ণ হয়ে যায়। আমি গুড়া হয়ে যাইনি এই আশ্চর্য্য । আমি যেমন বরাবর যাক্ট, গিয়েছিলাম। গাড়ী ভেঙ্গে যাওয়ায় আমি তার আঘাতে একটু মূচ্ছিত হয়ে পড়েছিলুম, তারপর যখন আমার জ্ঞান হল, তখন দেখি আমার গাড়ীর ভগ্নাবশেষের মধ্যে, আমি মাটীতে বসে আছি, আর তথন বেশ জ্যোৎস্ব ভয়েছে। আমার পায়ে সামাঙ্গ একটু আঘাত লেগেছিল, আর সর্বাঙ্গে একটু বেদন অমুভব করছিলুম। মৃত্যু আমার শরীরের উপর দিয়ে চলে? গিয়েছিল, অথচ শরীরের অঙ্গাদিকে স্থানচ্যুত করে নি। আমি তখনও জীবন্ত আছি এইরূপ অনুভব করলুম, আর স্বর্থী জনের মত একটা বুক-ভর সুখের দীর্ঘ-নিঃশ্বাস ত্যাগ করলুম। কি আনন্দ ! যেখানে— Aee eeiB u BGG BBB BBBD BHDS DHDD যায়, জীবনের মর্য্যাদা প্রত্যেক বার যে কেন একেবারে একল! এবারও একলা প্রবাসী—ফাল্গুন, ১৩১৭ AASAASAASAASAASAASAASAeSAeAAASAASAASAAAS ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড AAA AASAASAASAASAASAAeAMAeeeSهجه مسیه ۰۹خمی میههاییماه ۰ بودههه به سیستم عصبی همتیمی প্রাণের স্পন্দন হচ্ছিল—-একটা গভীর প্রতিধ্বনি যেন তার এই উত্তর দিলে –কি আনন্দ ! এই মুহূর্তে আমার প্রাণের উপর যতটা ভালবাসা হয়েছে এমন জীবনে আর কখন চয় নি!” এই বলিয়া মুর্জ নীরব হইলেন । এই নিস্তব্ধতা কয়েক মিনিট ধরিয়া রচিল—কি করিয়া এই বিজনতা ভঙ্গ করিব আমি বুঝিতে পারিলাম না । ক্রমশ যুবকের মুখ আবার রঞ্জিত হইয়া উঠিল ; তাহার ওষ্ঠাধরে একটু হাসির রেখা দেখা দিল—এবং তিনি তাহার সিগারেটের কৌটাটি খুলিয়া আমার দিকে বাড়াইয় দিলেন । —“আপনি কি ধূমপান করেন ?” –“ši, করি !" আমি একটা সিগারেট লইলাম। আমি সিগারেটুট। জালাইলাম । তিনিও তাচাই করিলেন । তাহার পর, অতীব শান্ত স্বরে, তাহার নাটকের কথা আবার বলিতে আরম্ভ করিলেন । —“এথন যে সব কথা আপনাকে বল্লম, তা আমার নাটকে কিছুই নাই । তা থাকৃলে, লোকের বিরক্তিজনক হয়ে উঠত। আমি আমার নাটকে একজন ধৰ্ম্মপত্নীর ঈর্ষ্যাই বর্ণন করেছি, তাতে অন্ত প্রকার রমণীর কথা নাই । তিনি জানতেন না যে, তাহার স্বামীর একটি মোটর গাড়ী আছে ; তাহার স্বামী গুচে কেন থাকেন না, অনেক চেষ্টাতেও যখন কিছুষ্ট বুঝতে পারলেন না, তখন ভাৰ্বলেন, অবশু তাহার একটি সপত্নী আছে । এইটিই আমার নাটকের অাখ্যান-বস্তু । ইঙ্গর মধ্যে কতকগুলি হাস্যকর ঘটনার দৃপ্তও সন্নিবিষ্ট করেছি, কিন্তু অভিনয়ের পক্ষে তা কতটা উপযোগী, সেই বিষয়ে আপনার মতটা জানতে পারলে বড় সুখী হ’ব ।” আমার একটু ক্লান্তি বোধ হইতেছিল। ভদ্রতার দুই চারিট কথা বলিয়া, এবং তাহার নাটকখানি পড়িয়া দেখিব—আবার এইরূপ অঙ্গীকার করিয়া, আমি উঠিয়া পড়িলাম। চলিয়া যাইবার পূৰ্ব্বে আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, আজই কি তাহার গৃহে ফিরিয়া যাইবেন । তিনি অবজ্ঞার ভাবে বলিলেন —