পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

☾Ꮌ8 AAAAS SASAAAAASA SAASAASSAAAMSAASAASAASAASAAAS কোনটি বিদেশের আমদানি, তাহ সহজে জানিতে পারা যায় না । খেলার ইতিহাস যে মানব সমাঞ্জতত্ত্বের একটি বিশেষ জ্ঞাতব্যবিষয়, এ কথা সুধী পাঠকের জানেন । র্যাহার "থেলা” নামটি দেখিয়া এই প্রবন্ধটি পড়িতে উদ্যোগী হইয়াছিলেন, তঁাচারা হয় ত প্রত্ন ইত্ত্বের নামে শিহরিয়া উঠিয়াছেন । হায় ইতিহাস ! থেলা এবং উৎসবে মানুষের সামাজিকত বাড়িয়াছে, শত্রুর বন্ধু হইয়াছে, শারীরিক বল বুদ্ধি হইয়াছে, মানসিক প্রফুল্লতা জন্মিয়াছে। এমন উপকারী জিনিষের একটু ইতিহাস লিখিলে কি কেছ পড়িবেন না ? একজন সমাজww.sos fiftuttga—“Take out of Savage life, its feasts and dances, and the remaining social activities will be slight indeed.” প্রতিযোগিতায় বল ও বুদ্ধির পরীক্ষা, দৈবের উপর নির্ভর করিয়া জয়লাভ, এবং হাসি তামাসায় আনন্দ উপভোগ,—সাধারণতঃ এই তিন শ্রেণীতে খেলাগুলি বিভক্ত করা যাইতে পারে। খেলাগুলির অার একটি অদ্য রকমেব শ্রেণীবিভাগ হইতে পারে যথা—(১) প্রত্যক্ষ ব। পরোক্ষভাবে শারীরিক ব্যায়াম, (২) কেবলমাত্র বুদ্ধি বা কৌশল প্রদর্শন এবং (৩) দৈবের উপর নির্ভর করিয়া জয়লাভ । আমাদের সঞ্চিত বা অতিরিক্ত উৎসাহের (energy) খরচ হইতেই খেলার উৎপত্তি। শৈশবে যখন শরীরটি বাড়িয়া উঠিতে চায়, তখন আপন আপনি একটা চঞ্চলত জন্মে ; সেই চঞ্চলতায় সকল শ্রেণীর জীবজন্তুরাই ছুটাছুটি করিয়া খেলা করে,–ছুটাছুটি সেখানে খেলা । কাছাকাছি যতগুলি বাসায়, একশ্রেণীর যতগুলি পার্থীর ছানা থাকে, তাহার এক সঙ্গে মিলিয়া খেলা করে । বাছুরের খেলা, কুকুরছানার খেলা সকলেই দেখিয়া থাকি । অল্পাধিক পরিমাণে সকল শ্রেণীর জীবের মধ্যেই যে এই খেলায় তাহাদের শিক্ষা এবং সামাজিকত বৃদ্ধি পায়, তাহ, ১৮৯৪ খৃষ্টাবো Kropotkin-বচিত একটি প্রবন্ধে বিস্তৃতভাবে লিপিবদ্ধ উহা স্বতন্ত্রভাবে মুদ্রিত হইয়াছে কিন झझेग्नांक्लिड । ه به حمله به প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩১৭ ASAMAMAeeMeeeAMeeMeMAeeAMeSeMMeMAeeeAeAMMAeAeeAAASAASAASAASAAAS ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড সালের সেপ্টেম্বর ও নবেম্বর সংখ্যা) । স্বতঃজাত বলিয়া অনেক খেলাই সকল দেশের সভ্য এবং অসভ্য সমাজে প্রায় এক রকমের । কুস্তি খেলা, নিদিষ্ট লক্ষ্যে তাঁর প্রভৃতি ছোড়া, লুকোচুরি খেলা প্রভৃতি বিশ্বব্যাপী । শারীরিক বল পরীক্ষার খেলাগুলি অতি প্রাচীনকালে প্রতিবেশী ও প্রতিদ্বন্দ্বী জাতির সহিতই বেশি হইত। যখন যুদ্ধ বিগ্রহ থামিয়া গিয়া প্রতিবেশী জাতির শান্তিতে বাস করিত, এবং কেহ কাহারও গ্রাম আক্রমণ করিত না, তখন প্রায়শঃ অবসর ঋতুতে উহারা পরস্পরকে দ্বন্দ্বযুদ্ধ প্রভৃতি বলের খেলায় আহবান করিত। এ থেল তখন ক্ষুদ্র রকমের যুদ্ধেষ্ট দাড়াইত বটে, কিন্তু ধীরে ধীরে ঐ খেলার ফলে পরস্পরে বন্ধুতা জন্মিত, এবং সামাজিক বিদ্বেষ চলিয়া যাইত । এখনো এদেশের অনেক পল্লীতে, এবং অনেক অসভ্যসমাজে এক্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতার খেলা দেখিতে পাওয়া যায় । বৰ্ব্বর সমাজে যাহা যথার্থত: বিবাদ ছিল, সভ্যসমাজে তাহা খেলায় দাড়াইয়াছে । দক্ষিণ ভারতের অনেক অসভ্য জাতির মধ্যে স্ত্রীচুরি করার প্রথা ছিল। যেখানে সত্য সত্যই স্ত্রীচুরি উঠিয়া গিয়াছে, সেখানেও উহার খেলা আছে। জ্যোৎস্ন রাত্রে একদিকে একদল বালিকা, অন্ত দিকে একদল বালক দাড়াইয় গান গাহিয়া পরস্পরকে উপহাস করিতে থাকে ; তাঙ্গর পর একজন পুরুষ সহসা গিয়া একটি বালিকাকে ধরিয়া তুলিয়া পলাইতে চেষ্টা করে । তখন সমস্ত বালিকার আসিয়া অপহৃতার পক্ষ হইয়া টানাটানি আরম্ভ করে। হাডুডুডুর মত যদি ঐ পুরুষ দম থাকিতে থাকিতে ( দুই বার নিশ্বাস না লইয়া ) বালিকাদিগকে এড়াইয়া হৃতা বালিকাকে আপনার গণ্ডিতে আনিতে পারে, তবে তাহার জয় হয়। নচেৎ সে “মরিল,” এবং খেলার স্থান হইতে দূরে গিয়া বসিল। বিলাতের Anthropological Institute an getto " (obs*, ৪৮e পৃষ্ঠা) অবিকল এই খেলার কথা নিউগিনির একটি জাতির বিবরণে লিখিত হইয়াছিল। প্রতিদ্বন্দ্বিতার খেলার মত দৈবের খেলাও বিশ্বব্যাপী । দৈবের খেলাগুলি অধিকাংশই জুয়াখেলা। শরীরের সঞ্চিত উৎসাহের স্থলে, এখানে শ্রমসঞ্চিত জাৰ্ণ কাৰ্মিা না ।