পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্য। ]

প্রবাহের মৎস্তকে অত্যন্ত বড় হঠতে দেখা গিয়াছে । একটির প্রবাঙ্গের সঙ্গে কুকুরের খোয়াড়ের এবং অপরটির সহিত আলুর ক্ষেতেব নর্দমার যোগ রঙ্গিয়াছে। জলের মধ্যে যত বকম যৌগিক পদার্থ আছে সেগুলি ভিন্ন গোল (খৈল), পশুপক্ষী প্রভৃতির মলমূত্র, গলিত উদ্ভিদ கலுt) খোল অপেক্ষা কার্পাসেব খোল দ্বাবা মাছেব অধিকতর পুষ্টি সাধিত হইয়া থাকে । মৎস্তের পক্ষে গোময় একটি উৎকৃষ্ট থাষ্ঠ । পশুপক্ষীর চৰ্ম্ম, নাড়ীভুড়ি, কেঁচো, পচা মাছ প্রভৃতি দিলে মাছের উপকাব হয় । মাছেব পোনাব পক্ষে শামুক ও গেডি ( গুগুলি ) বিশেষ উপযোগী । কলিকাতার নিকটস্থ ধাপাব নীচে যে নদী আছে তাহার মাছ খুব বড় ও সুস্বাঢ় হয় ; ঠতার কারণ এই যে নর্দমা দিয়া কলিকাতাৰ সৰ্ব্বপ্রকাব ময়ল ঐ নদীতে পড়িয়া ও জীবদেহ, ভাত, ডাল প্রভৃতি মৎস্তের খাদ্য । থাকে । পুকুরের মধ্যে গোশালার নর্দমা করিতে পাৱিলে ধোপাকে কাপড় কাচিতে দিলেও উপকার তবে যে পুকুধে মাছের আলাদ করার জন্স মলমূত্ৰাদি নিক্ষিপ্ত হইবে সে পুকুরের জল মনুষ্য ও পশুর পক্ষে একেবারেই পরিত্যজ্য হওয়া ভাল । 守ラtaT あ* I fভন্ন অপকার হয় না । জমিতে যেমন সার দিয়া শস্তেব খাদ্য সংস্থান করিয়া দিতে হয়, জলাশয়ে ৪ সেইরূপ পূৰ্ব্বোক্ত উপায়ে মৎস্তের খাদ্য যোগাইলে সহজে মাছের বংশ বুদ্ধি করা যাইতে পারে। উপযুক্ত সময়ে পুকুরে পোন ছাড়িলে শীঘ্রই বড় পড় মাছ পাওয়া যাইতে পারে। পোনার পরিবর্তে ডিম ছাড়িলে আরও অল্প ব্যয়ে অধিক সংখ্যক মাছ পাওয়া সম্ভব । আমাদের দেশের বড় বড় নদী, বিল, শাল ও পুকুরে যেসকল মৎস্ত দেখা যায় তাহাদিগকে প্রধান দুষ্ট শ্রেণীতে ভাগ করা যাইতে পারে। যেসকল মাছ সমুদ্র বা বড় বড় গভীর নদীতে বাস করে, কেবল বর্ষাকালে ডিম্ব প্রসব করিবার সময়ে বা আহাৰ্য্য দ্রব্য সংগ্রহের জঙ্গ সময়ে সময়ে নদী ও খালে যাতায়াত করে ঐ সকল মাছকে যাযাবর বা ভ্রমণশীল (migratory), এবং যে সকল মাছ নদী থাল ও পুকুরে সর্বদা পাস করে, কখন অন্তক্র গমন কবে না, তাহাদিগকে একদেশদাসী বা ঘর বোলা (non-migratory) মাছ বলা যায় । ইলিশ, বাঙ্গালাদেশে মৎস্য পালন ن هون থবগুলা প্রভৃতি মাছ যাযাবর জাতীয় ; রুই, মিরগাল, কাংলা, কৈ, মাগুর প্রভৃতি দ্বিতীয় শ্রেণীর অন্তর্গত । শীতকালে ইলিশ মৎস্ত বড়ই তুঙ্গাপ্য হইয় থাকে ; মাঘ মাসের শেষে পাওয়া গেলেও তথন উচ্চার আকার ক্ষুদ্র থাকে । ইলিশ মৎস্ত অ প্রশস্ত ও অগভীর নদীতে বাস কবে না ; এই জন্যই বোধ হয় শীত ঋতুতে গঙ্গা প্রভূতির অগভীর জলে বেশ ইলিশ মাছ পাওয়া যায় না। বর্ষাকালে, পূর্ণিমা ৭ অমাবস্ত তিগিব সময়ে জলের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ইঙ্গর সমুদ্র ও বড় বড় গভীর নদী হইতে দলে দলে পদ্মা প্রভৃতি নদীতে আসিয়া থাকে । এষ্ট সময়েই ধীবরের অল্পায়াসে এষ্ট সুস্বাছ মাছ ধরিতে সক্ষম হয়। ঐ সকল মাছের অধিকাংশষ্ট স্ত্রী জাতীয় ; কারণ অধিকাংশেরই পেটে ডিম্ব থাকে । একটি প্রবাদ আছে যে ইলিশ মাছ কখন স্রোতের অসুকৃলে চলে না ; সৰ্ব্বদাই স্রোতের বিপরীত দিকে উজাইয়া চলে । সেই সকল নদীর মৎস্ত অধিক বড় ও থাইতে মুস্বাদু কষ্টয়া থাকে । মৎস্তের ডিম্বে বট বা ডুমুরের “বাঁচির” দ্যায় বহুসংখ্যক ডিম্বাণু থাকে । পবিণত হয় । যেসকল নদীর শ্রোত প্রবল, ঐগুলি ফুটিয়া এক একটি মৎস্তে ঘববোলা অপেক্ষা যাযাবর শ্রেণীর ডিম্বে অধিক সংখ্যক ডিম্বাণু থাকে । স্রোতের জলে অধিক ংখ্যক ডিম্বাণু নষ্ট কষ্ট বার সম্ভাবনা থাকে বলিয়া ঐরূপ হওয়া সম্ভব ; চমুমান, বাঘ, ভালুক প্রভৃতি জীবের মধ্যে পুরুষেরা সস্তান নাশ করিয়া থাকে । অনেক মাছের মধ্যে ৪ সেক্টরূপ প্রবৃত্তি দেখা যায় । ডিম্ব প্রসবকালে পুং মৎস্তের গর্ভিণীর পশ্চাৎ পশ্চাৎ গমন করে এবং যেমন দুই একটি ডিম্ব প্রস্থত হয় অমনি উচ্চাব খাষ্টয়া ফেলে । এষ্টজন্ত স্বভাবতঃ মৎস্তীর প্রসবকালে স্থানান্তরিত চষ্টয়া নদী পা তণ্ডাগাদির এরূপ পাশ্বদেশে স্থান বাছিয়া লয় যে তথায় সেরূপ স্বল্প কদৰ্য্য জলে ডিম্ব গ্রাসের জন্ত অপেক্ষাকৃত বৃহদায়তন পুং মৎস্তের আগমন সম্ভবে না । এখানে ডিম্ব রাখিয়াই প্রস্থতি স্থানান্তরে গমন করে । স্বভালের ক্রোড়ে থাকিয়া ডিমগুলি রৌদ্র ও বায়ুব তাপে ক্রমে জাতীয় আকার প্রাপ্ত চয় । একদেশবাসী বা ঘৰবোলা মৎস্তোর মধ্যে আলাব দুষ্ট দল দেখা যায়—