পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] ধরিতে হয়। ভিন্ন ভিন্ন জাতীয় মৎস্তের ডিম্বাণু চেনা কঠিন। তবে একটি জলপাত্রে সংগৃহীত ডিম্বাণু রাথিয় একখানি কাপড় দ্বারা উহাকে ঢাকিলে রোছিত, মিরগেল, কাৎলা, বাট প্রভৃতি স্থখাদ্য মৎস্তের ডিম্বাণু অল্প সময়ের মধ্যেই একস্থানে মিলিত হইয়া জমাট বাধে, অন্ত কোন মৎস্ত বা পোকার ডিম কখনই একত্রিত হয় না। প্রায় সকল পুকুবেষ্ট ডিম ফুটিয়া থাকে ; তবে যে পুকুরের জল অত্যন্ত পরিষ্কার, মৎস্তের উপযোগী কোন খাদ্য নাই অথবা যাহাতে হিংস্র জাতীয় শোল, শাল, বোয়াল, চিতল প্রভৃতির বাস, সে পুকুরে ডিম ফুটাইবার আশা বৃথা । পুকুরে ডিম ছাড়িবার ৭৮ দিন পরে ডিম্বাণু সকল ফুটিলে পরে পোনার খাদ্যের জন্ত ময়দা, চালের গুড়া, ছাতু প্রভৃতি প্রদান করা দরকার। পরে একটু বড় হইলে পোন অন্যত্র “চালা” (স্থানান্তরিত করা) ভাল । চীনদেশে জেলেরা ইস, মুগা প্রভৃতির ডিম ছিদ্র করিয়া তন্মধ্যস্থ লালা ও কুসুম বাহির করিয়া লয়। পরে উঠার মধ্যে সন্ত:প্রস্থত আঠাবৎ মৎস্তডিম্ব পুরিয়া ছিদ্রপথ বন্ধ করিয়া দেয় এবং ঐ ডিম হাস বা মুগীর বাসায় “তা” দিবার জন্ত রাখিয়া দেয় । এইরূপে অগুমধ্যস্থ ডিম্বাণুগুলি কিছুদিন উত্তপ্ত হইলে লোকের সেই অও আনিয়া রৌদ্রতপ্ত জলপাত্রে ভাঙ্গিয়া দেয়। ঐ পাত্রের জলে থাকিয় ডিম্বাণুগুলি ফাটিয়া ছানা বাঙ্গির হয়। উপযুক্ত হইলে উহাদিগকে পুকুর বা অন্ত জলাশয়ে ছাড়িয়া দেওয়া হয় । মন্দ্রিাজের স্ত্র প্রসিদ্ধ ডাক্তার ফ্রান্সিস ড়ে বলেন পোনা রক্ষার জন্ত প্রত্যহ প্রাতে ও সন্ধ্যার সময় জলে কয়েক ফোটা তরল পার্মাঙ্গানেট অব লাইম দিলে জল মিষ্ট ও অক্সিজেন বৰ্দ্ধিত হইয়া পোনার বৃদ্ধির পক্ষে বিশেষ সহায় হয়। আমাদের দেশে মৎস্তের প্রদর্শনী চয় না কিন্তু আমেরিকা ও ইংলণ্ডে উহার মেলা কষ্টয়া থাকে। ইংলণ্ডের সন্ত্রান্ত বংশীয় ব্যক্তিদিগকে ও অদ্যান্ত দেশের রাজাদিগকে পৰ্য্যন্ত ইচ্ছাভে যোগ দিতে দেখা যায় । মাছের ব্যবসায় যে বিশেষ লাভজনক ও অল্প মূলধন সাপেক্ষ, মাননীয় টমাস সাহেবের পরীক্ষণফল হইতে তাহা বোঝা স্বায়____ধখান ஒளி-ரைடேனrடாகி-- ------------- ہی ...- یہ ہستہی۔ایم---- مبہمہمہم ------- سہoسمب-- বাঙ্গালাদেশে মৎস্য পালন t) ہ وا\ বাস করিতেছিলেন তখন বাসার নিকটস্থ একটি পুকুরে প্রায় একসের মাছের পোন আনাক্টর ছাড়িয়া দেন । উহার প্রকৃত দাম দুষ্ট আনা । দেড় বৎসর পরে পুকুরের মাছ ধরিয়া হিসাব করিয়া দেখেন যে ঐ একসের পোন হইতে প্রায় ৫০ পঞ্চাশ মণ মাছ এবং পর পর বৎসরে আরও অধিক মৎস্ত উৎপন্ন কষ্টয়াছিল । প্রতি মণ মৎস্তের দাম গড়ে ১০ টাকা ধরিলে দুষ্ট আন ষ্টষ্টতে দেড় বৎসর পরে ৫০• পাচ শত টাকার মাছ পাওয়া গেল । ইহা অপেক্ষ ঙ্গাৰ অধিক লাভজনক ব্যবসায় কি হইতে পারে ? সামান্ত মূলধন লইয়া নিরক্ষর মুসলমান ব্যাপারীরা পাবনা অঞ্চল হইতে বৎসর বৎসল দুষ্ট তিন হাজার টাকার গুটুকি মাছ চালান দিয়া বিস্তর লাভ কবে । আজকাল মাছরক্ষা (preserve) করিবার অনেক রকম উপায় উদ্ভাবিত হইয়াছে। তপসী ( ঋষি বা রামজট ) ও ইলিসমাছ রক্ষণ করিয়া বিলাতে চালান দিতে পারিলে বিশেষ লাভ চওয সম্ভব। এই দুই জাতীয় মাছ ভারতসমুদ্রে বাস কবিয়া থাকে, কেবল অও প্রসবকালে নিৰ্ম্মণ সুমিষ্টসলিল নদীমধ্যে প্রবেশ করে এবং অভিমত স্থানে ডিম্ব প্রসব করিয়া পূৰ্ব্বতন বাসভূমি সমুদ্রে প্রত্যাবৃত্ত হয় । উক্ত মৎস্তদ্বয় যখন সমুদ্র ছাড়িয়া নদীর মিষ্ট জলে থাকে তখন মুম্বাদু হয়, মন্তথা লবণজলে থাকার সময় উহাদের স্বাদ থাকে না । মাছের অঁাইস ও কাটা প্রভৃতি প্রত্যহ একটা পাত্রে রাখিয়া পচাইলে উহ। তইতে উৎকৃষ্ট সার কইতে পারে। একটি অতি ছোট কঁঠাল গাছের গোড়ায় পচা পুঠি মাছের সার দেওয়ায় কাঠাল ফলিতে দেখিয়াছি । কিরূপে দ্রব্যের সদ্ব্যবহার করিতে হয় তাহা এখনও আমরা জানি না । কত দিনে যে এসব দিকে লোকের দৃষ্টি পড়িবে তাছা ভগবানই জানেন । শ্ৰীজ্ঞানেজনারায়ণ রায় ।