পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ථමඟ S AAAAAS AAAS S AAAAAAS AAAAAS SSAS SSAS SS থাদ্য সম্বন্ধে যুবকদিগের অপেক্ষা বৃদ্ধদিগের অমিতাচার বিশেষ দোষালহ। বৃদ্ধদিগের একদিনও অধিক ভোজন উচিত নয় । করিলে বিশেষ অনিষ্ট হওয়ার আহার সম্বন্ধে প্রায় সকলেরই একটা না অনেকে মনে করা সম্ভাবনা । একটা ভুল ধারণা থাকিতে দেখা যায় । করেন শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম করিতে হক্টলে প্রচুর পরিমাণে মাছ, মাংস, ডিম্ব, দুগ্ধ, দাইল প্রভৃতি পুষ্টিকর খাদ্যের আবগুক ; তাহা না হইলে স্বাস্থ্যভঙ্গ হইবে । কিন্তু পরীক্ষা দ্বারা বহুবার প্রমাণীকৃত হইয়াছে যে এরূপ ধারণ নিতান্তই অসঙ্গত ও ভ্ৰমাত্মক। Collective Investigator Committee; Wołosza; Em ইহার বিপরীত সাক্ষ্য দিতেছে । ইহাতে দেখা যায়, যে সকল ব্যক্তি আশী বৎসরের অধিককাল বাচিয়াছে— তাহাদের মধ্যে শতকরা ৫ জন মাত্র অধিক পরিমাণে মৎস্ত মাংসাদি ভক্ষণ করিত, বাকি ৯৫ জন হয় পাকা নিরামিষাশী নয় বেশি নিরামিষ অল্প আমিষ ভক্ষণ করিত। সার হেনরি টমসন, ডাঃ এ, জর্জ কথ, ডাঃ এ ছয়ফ । প্রভৃতি বিচক্ষণ পণ্ডিতগণের পরীক্ষাফলও পূৰ্ব্বোক্তরূপ। ভেনিস নগরীর অধ্যাপক কর্ণরো এই বিষয়ে একখানি খুব জ্ঞানপ্রদ পুস্তক লিখিয়াছেন। এই পুস্তকের একস্থানে তিনি আত্মকাহিনী বর্ণনা করিবার কালে বলিয়াছেন যে যৌবনে আহারাদি সম্বন্ধে তিনি বড়ই উচ্ছ স্থল ছিলেন ; ফলে সৰ্ব্বদাই নানারূপে কষ্টভোগ করিতেন ; কিন্তু যেদিন হইতে মিতাচার অভ্যাস করিয়াছেন সেই দিন হইতে আজ ৯০ বৎসর বয়স পর্য্যন্ত দিব্য স্বাস্থ্যমুখ ভোগ করিয়া আসিতেছেন। সার উইলিয়ম doom birth ostos “Health and Long Life” “স্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন” শীর্ষক প্রবন্ধের একস্থলে বলিয়াছেন —পৃথিবীর আদিম অধিবাসীরা যে দীর্ঘকাল নীরোগ শরীরে বাচিয়া থাকিত তাহার প্রধান কারণ তাহাদের জীবনের মূলমন্ত্র ছিল মিতাচার, মুক্ত বায়ুতে বসবাস, দুশ্চিন্তা ও ভাবনার অভাব, সাদাসিধে গোছ আহার— খাদ্যদ্রব্যের অধিকাংশই ফলমূল, মৎস্ত মাংস যৎসামান্ত। ডাঃ জর্জ জেসনি বলেন, বৃদ্ধ বয়সে যদি কেহ থাষ্ঠের পরিমাণ এবং মৎস্ত মাংসাদির পরিমাণ হ্রাস না করেন তাহা হইলে প্রবাসী—চৈত্র, ১৩১৭ S AeAAA AAAA SAAAAAS AAASASAAAAASAAAAASA SAASAASSAAAAAASAAAA همجیه هم ی.ه* ٠ی.--• **ه –---- مه ۰ - ۰ - همه عمیمه-۰-سمهده امامه..وههم" - عوده [ ১০ম ভাগ, ২য় খ তাহার স্বস্থ থাকা একবারেই অসম্ভব । যেমন যেমন বুদ্ধের বয়স বাড়িতে থাকিবে সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যের পরিমাণও হ্রাস করিতে হইবে । ৩০ বৎসর বয়সে শরীরের গঠন সম্পূর্ণ হয় সুতরাং ইহার পর আর অধিক খাদ্যের আবখ্যক হয় না । শরীরের গঠন জন্ত যতটা আবশু্যক” তাহার অধিক ভোজন করিলে নানাবিধ রোগ হইবার সম্ভাবনা । অনেকেরষ্ট বিশ্বাস মৎস্ত মাংস প্রভৃতি পুষ্টিকর খাদ্য বেশি করিয়া না থাইলে শারীরিক কিম্বা মানসিক কোন পরিশ্রম করা যায় না । এ বিশ্বাস যে সম্পূর্ণ ভ্ৰমাত্মক তাঙ্গ জাপানীদিগের প্রতি দৃষ্টি করিলেই বুঝিতে পারা যায়। বিদ্যাবুদ্ধি কিম্ব রণকৌশলে জাপানীর যুরোপীয় কোন জাতিবই নিম্নে নহে। ইহাদের প্রধান খাদ্য কিন্তু ভাত তরকারী ও ফলমূল। সাধারণত ইহাদের মধ্যে মাংস মৎস্ত ডিম্ব প্রভূতির প্রচলন নাই। দশজন জাপ - নীকে মৎস্ত মাংস খাষ্টতে দেখা যায় বটে কিন্তু তাঙ্গ খুবই সামান্ত পরিমাণে । আবার দৌড়বাপ সস্তরণ ভ্রমণ প্রভৃতির প্রতিদ্বন্দ্বী পরীক্ষায় দেখা যায় যে চিরদিনই নিরামিষভোজীদিগের নিকট আমিষভোজীরা পরাভূত হয় । একবার এক ভ্রমণের পরীক্ষায় দেখা গিয়াছিল যাহারা প্রথম দাড়াইয়াছিল তাহার কেহই মৎস্ত্য মাংসাদি স্পর্শ করিত না, ঘোরতর নিরামিষাশ ; আর যাহারা মাঝামাঝি হইয়াছিল তাচারা মৎস্ত মাংস আহার করিত বটে কিন্তু অতি অল্প পরিমাণে ; আর যাহারা সর্বশেষ হইয়াছিল তাহাদের সকলেই পাকা আমিষভোজী । সুতরাং যাহার। মৎস্ত মাংস ভক্ষণ করিয়া থাকে তাঙ্গারা যে অন্নাহারীদের অপেক্ষা অধিক পরিশ্রম করিতে পারে তাঙ্গার কোন অর্থ নাই, বরঞ্চ তাহার বিপরীতক্ট প্রমাণ হয় । মাংসাহারীদিগের অপেক্ষ নিরামিষভোজীরা অধিক দীর্ঘজীবী হয়। ইহাদের শারীরিক ও মানসিক শক্তিসামর্থ্য বেশিদিন অক্ষুণ্ণ অবস্থায় থাকিতে দেখা যায় । অল্পমাত্রায় মৎস মাংস থাইলে সাধারণত কোন অনিষ্ট হইতে দেখা qtą Ri foss stettWR stS (gout & rheumatism) প্রভৃতি রোগ আছে—তাহাদের পক্ষে মৎস্ত মাংস স্পর্শ না করাই ভাল । যে সকল ব্যক্তি অতিরিক্ত মাত্রায় মৎস্ত মাংসাদি আহার অভ্যাস করিয়াছেন তাহার। এই