পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] প্রস্তুতের যন্ত্র আছে, বৃদ্ধ বয়সে তাহাদের অনেকগুলি লোপ প্রাপ্ত হয় ; এই কারণেই বৃদ্ধদিগের চৰ্ম্ম অধিক শুষ্ক দেখায়। ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম দ্বারা ত্বকের রক্ত চলাচল ভাল হয় সুতরাং উহার পরিপোষণও ভাল হয় । ত্বকের ফ্লয় নিবারণ জন্ত এই কারণে ব্যায়াম ভ্রমণ প্রভৃতির আবশ্যক। প্রত্যহ স্নান করিলে ত্বকৃ যেমন ভাল থাকে এমন আর কিছুতেই থাকে না । নীরোগ সুস্থ-সবল ব্যক্তিদিগের প্রতিদিন শীতল জলে স্নান করা কর্তব্য । দুর্বল রুগ্ন ব্যক্তিদিগের পক্ষে শীতল জলে স্নান অনেক সময় সঙ্গত নহে । কেহ কেহ প্রথমে গরমজলে স্নান করিয়া পরে গাত্রে শীতল জল ঢালিলে বেশ ভাল বোধ করিয়া থাকেন। কোন কারণে স্নান করা যদি অসম্ভব হয় তাহ হক্টলে ভিজা গামছা বা ভিজ তোয়ালে দ্বারা গা মুছিলেও অনেকটা স্নানের কাজ হয় । স্নান করার পর সমস্ত শরীর শুষ্ক তোয়ালের দ্বারা মুছা উচিত। স্নানের পর ১৫ মিনিটকাল শরীর উন্মুক্ত রাখা অভ্যাস করিলে ত্বক দৃঢ় হয় এবং সহজে ঠাও লাগিবার ভয় থাকে না । গা মুছিবার কালে হাতের নানা প্রকার গতি করিতে হয় তাহাতে কতকটা ব্যায়ামের কার্য্য হয় । গা হাত পা প্রভৃতির ডলা মাজ করিলে শরীরের তাবৎ যন্ত্রের কার্য্যকারী শক্তি বৃদ্ধি হয়। চোক কাণ নাক মাথা গল হাত পা প্রভৃতি দেহের সৰ্ব্ব অংশেরই ডল| মাজা আবশুক । দেশের জলবায়ু আবহাওয়া প্রভৃতির উপরও স্বাস্থ্য বহু পরিমাণে নির্ভর করে। যতই বয়োবৃদ্ধি হইতে থাকে শীত গ্রীষ্ম বর্ষা প্রভৃতি ঋতু সহ করার ক্ষমতা ততই ক্ষীণ হইতে থাকে। তবে কাহারও বেশি কাহারও কম এইমাত্র প্রভেদ । বৃদ্ধ বয়সে যাহারা শীত ও বর্ষায় কাশী সর্দি ও বাত প্রভৃতি রোগে ভুগিতে থাকে তাহাদের কৰ্ত্তব্য শীত ও বর্ষ ঋতুর আগমনে দেশ ত্যাগ করিয়া অন্ত কোন দেশে বাস করা যেখানকার বায়ু শীতল নয় এবং স্বৰ্য্যালোকের অভাব নাই। এইরূপ গ্রীষ্মপ্রধান দেশে গিয়া মুক্ত বায়ুতে ভ্রমণ করিলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় আর নানাবিধ ফুলের সৌরভে ও নীল অনন্ত আকাশের সৌন্দর্ঘ্যে চিত্ত প্রফুল্ল হয়। রোগাদির আক্রমণ হইতে আত্মরক্ষার জন্ত সময়ে সময়ে সকলেরই বায়ু পরিবর্তন AASAASAASAASAAeSAASAASAASAASAAAS অকালবাৰ্দ্ধক্য নিবারণ ও --۶ سایه هامعههای تح *- * দীর্ঘ জীবনলাভের উপায় SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAASSS SAAA .6(هر\ করার আবগুক । একস্থানে বহুদিন ধরিয়া বাস করিলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে না । বৃদ্ধ বয়সে তো ইহার একান্ত আবখক । এ সময়ে স্বাভাবিক স্ফক্তি ক্ষীণ হয়— কিছুতেই উৎসাহ থাকে ন—এরূপ অবস্থায় দেশবিদেশে পৰ্য্যটন করিলে বিধাতৃরচিত ও মনুষ্যরচিত নানাবিধ সৌন্দৰ্য্য দর্শন করিয়া চিত্ত প্রফুল্প হয়। পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক ঘটনাক্ষেত্র ও ধ্বংসাবশেষ দৃষ্টে হৃদয়ের সঙ্গীবনী শক্তি বৃদ্ধি হয়। নানা দেশের নানা জাতির আচার ব্যবহার রীতিনীতি ধৰ্ম্ম ও ভাষা প্রভৃতি শিক্ষায় মনের মধ্যে সন্তোষ জন্মায়। ইহার ফলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় । শীতাতপাকুসারে আমাদের বসনাদির ব্যবস্থা করা দরকার । আমরা এতক্ষণ যাহা আলোচনা করিলাম তাহ হইতে এই জ্ঞান হয় যে মুখপূর্ণ বাৰ্দ্ধক্যে উপনীত হওয়ার একটা নির্দিষ্ট প্রশস্ত পথ নাই । নাগাদিকে লক্ষ্য রাখিয়া চলিলে তবেই স্বাস্থ্য রক্ষা হয় । আমরা যেসকল বিষয়ের উল্লেখ । করিয়াছি ইহাদের কোনটাই অনাবশুক নহে । ইহাদের পালন করা যে খুব কষ্টসাধ্য তাহাও নহে। চাই কেবল মন ও অভ্যাস । স্বাস্থ্যরক্ষার বিধি ও নিয়মগুলি পালন করিলে তবেষ্ট জীবন মুখপূর্ণ ও দীর্ঘস্থায়ী হয়। উপসংগরের, পূৰ্ব্বে সেই নিয়মগুলির সংক্ষেপে পুনরায় উল্লেখ করিতেছি। আহার বিহার ভোগাদিতে মিতাচার, গৃহে ও গৃহের বাহিরে প্রভুত বিশুদ্ধ বায়ু সেবন, দেহের সকল যন্ত্র ও ইন্দ্রিয়গুলিকে নিজ নিজ কার্য্যে নিযুক্ত করিয়া রাখা, শীত গ্রীষ্ম ৰষ সকল ঋতুতেই নিয়মিত ভ্রমণ, সকালে ও সন্ধ্যায় ৫ মিনিট কাল ধরিয়া প্রাণায়াম বা সপ্তাহে একদিন নিয়মিত ভ্রমণের অতিরিক্ত ভ্রমণও মধ্যে মধ্যে শৈলবিহার, বংশগত ব্যাধি যাহাতে না হয় তাহার চেষ্টা করা, নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক শ্রম, স্থৈৰ্য্য, সন্তোষ, প্রভৃতি গুণের অনুশীলন, কর্তব্য কাজে বিচরণ, ক্ৰোধ দ্বেষ, হিংসা প্রভৃতি রিপুগুলির দমন, অতি প্রত্যুষে শয্যাত্যাগ ও বেশি রাত্রি না করিয়া শয়ন, ৫৬ ঘণ্টার অধিক কাল নিদ্রা না যাওয়া । breathing exercise, শ্ৰীজ্ঞানেন্দ্রনারায়ণ বাগচী ।