পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা উত্তর বঙ্গের SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA পূৰ্ব্ব দিকে পাহাড়পুরের নিকট স্থিরীকৃত হইয়াছে। পশ্চিমে নুর নদী পুৰ্ব্বে কম্পনদী মধ্যে মালঞ্চ রাজ্য। এই পাহাড়পুরের নিকট মাদারের স্থান বলিয়া বি ৬/৪ly ধুর ভূমি নির্দিষ্ট আছে। বাদলগাছির কাছারিতে পোরসার জমিদার মহাশয়দের ১২৭৮ সালের ১০ই বৈশাখের লিখিত যে চিঠা আছে তাহার সীমাবন্দিতে “মৈদলন রাজার বাড়ী সত্যনারায়ণের জমি” এরূপ দৃষ্ট হয়। হিন্দু সমাজে সত্যনারায়ণের পূজা ও তাচার প্রসাদ বিতরিত হইয়া থাকে। এই প্রসাদের উপকরণ ও প্রস্তুত প্রণালী সত্যপীরের সিরণীর অনুরূপ । সত্যপীর ও সত্যনারায়ণকে অভিন্ন মনে করিয়া পুথিতে বলা হইয়াছে যে— "চারি প্রাণে নারায়ণ অবতার করে। সহল পামান নারায়ণ সত্য নাম ধরে ॥ যেই সত্য নারায়ণ সেই সত্য পীর । झ३ दूरल रेलtझ cमयां कब्रिग्न छांश्द्रि ॥" পুথির লেখক হরনারায়ণ দাস, রচয়িতা কৃষ্ণহরি দাস। কৃষ্ণ করির পিতার নাম রামদেব দাস, মাত পঞ্চমী । গুরুর নাম তাঙ্কের মহম্মদ সরকার । জন্মস্থান সাখারিয়া গ্রাম, হাল নিবাস মইপুর (রঙ্গপুর ?) । সত্যনারায়ণের দুইখণ্ড ভিন্ন ভিন্ন সংস্করণের মুদ্রিত পাচালী মিলাষ্টয়া দেখিয়াছি । 屯校忆屯一 "সত্য পীর নামে পূজা করিবে যবনে । এরূপে করিৰে সেৰা যার যেই মনে ॥” লিখিত আছে। পাচালী রচয়িতার নাম অপ্রকাশ, নিবাস ব্রহ্মপুত্ৰকুলস্থিত ব্রাহ্মণবৈপ্তাদি পূর্ণ কাশীপুর গ্রামে। একখণ্ড পাচালী ফরিদপুরের অন্তর্গত হাসামদিয়া নিবাসী শ্ৰীযুক্ত চন্দ্রকান্ত দ্যায়রত্ন কর্তৃক সংশোধিত ও প্রকাশিত । সত্যপীরের পরেই গাজীর নাম বঙ্গে স্বপরিচিত। ইনি সুবিখ্যাত আদিনা মসজীদ নিৰ্ম্মাতা ও বঙ্গে জরিপ প্রথার প্রবর্তৃক বঙ্গের তৎকালিক শাসনকর্তা সেকেন্দর সাহের পুত্র। গাজী চতুর্দশ শতাবীর মধ্যভাগে পাণ্ডুয়া নগরে জন্মগ্রহণ করেন । ধৰ্ম্মাত্মা গাজী বুদ্ধের ন্তায় রাজসিংহাসন তুচ্ছ করিয়া অল্প বয়সেই সন্ন্যাস অবলম্বন করতঃ ইসলাম প্রচারে জীবন অতিবাহিত করিয়া গিয়াছেন। ইহঁার প্রকৃত নাম দারাবউদ্দিন । গাজী উপাধি মাত্র, অর্থ ধৰ্ম্মযোদ্ধা । কালু নামে একজন হিন্দুসস্তান ইহার পর কাহিনী · ატ89î ধৰ্ম্মবন্ধু ও সহপ্রচারক ছিলেন। মতান্তরে কালুকে সেকেন্দর সাহের মন্ত্রিপুত্রও বলা হয় । তিনি চিরকুমার ছিলেন। গাজী ও কালুর কীৰ্ত্তিকাহিনী বঙ্গের প্রায় সৰ্ব্বত্রই গীত হইয়া থাকে। পূৰ্ব্ববঙ্গের সোনার গ পরগণায় পঞ্চগাজীর নামে ৫ট মসজীদ স্থাপিত ছিল। দারাবউদ্দিন গাজী ও কালু সহ দারাবউদিনের ভ্রাত বঙ্গেশ্বর গয়েসউদি, পিতা সেকেনার সাহ ও পিতামহ পূৰ্ব্ব ও পশ্চিমবঙ্গের স্বাধীন অধিপতি হাজী ইলিয়াস সামসুদি এই পাচজন পঞ্চগাজী নামে বিখ্যাত ছিলেন। শ্রীহট্টে, সমাধি প্রাপ্ত সাহজালালের সঙ্গে যে ৩৬০ জন সাধু পূৰ্ব্ববঙ্গে আগমন করিয়াছিলেন, তাহীদেরও গাজী উপাধি ছিল । “গাজী, কালু ও চম্পাবতীর পুথি”তে গাজীকে ( দারাবউদ্দিন ) বৈরাট নগরেব অধিপতি সাঙ্গ সেকেন্দরের পুত্র বল চষ্টয়াছে । যে কয়েক খণ্ড গাজীর পুথি সংগ্ৰহ করিয়াছিলাম তাহার রচনা ও রচয়িত এক নহে। আবদার রহিম একজন রচয়িত, নিবাস গলাচিপা, পোঃ হোসেনপুর, জেলা ময়মনসিংহ । সেথ মহম্মদ মুনসীও একজন রচয়িত, র্তাহার নিবাস ও পুথির রচনা কাল জানিবার উপায় নাই। তবে রচনা খুব আধুনিক বলিয়াই মনে হয়। পুথির মতে ৬ মাস বয়স্ক কালু সমুদ্রে সিন্দুক মধ্যে ভাসমান অবস্থায় গাজীর মাতা অজুপ কর্তৃক অলৌকিক উপায়ে প্রাপ্ত ও র্তাহারই দ্বারা পালিত । কালুর পিতামাতার নাম অপ্রকাশ । ১৩০৮ সনের "নব্য-ভারতে” ও ১৩১৬ সনের “ইসলাম প্রচারক” পত্রিকায় গাজী ও কালু সাহের যে বৃত্তাত্ত প্রকাশিত হইয়াছে তন্দ্রীর পীরদ্বয়ের সম্বন্ধে অনেক কথা জানা যায়। গাজীর দেহত্যাগ ও সমাধি স্থান লইয়া মতভেদ বিদ্যমান। হুগলীর উত্তর ত্রিবেণীর নিকট শিবপুর গ্রামে যে গাজীর দরগা আছে উক্ত দরগাকে কেহ কেহ দারাবউদ্দিন গাজী ও কালুর সমাধি মনে করেন। উক্ত দরগা জাফর সাহ গাজীর দরগা বলিয়াও কথিত হয় । ত্রিবেণীর অপর পারেই গাজীর প্রধান কৰ্ম্মক্ষেত্র ও শ্বশুরালয় ব্রাহ্মণ নগর স্থাপিত ছিল, এরূপ প্রসিদ্ধি আছে। গাজীর হিন্দু শ্বশুর রাজা মুকুট রায়ের ইষ্ট দেবতা দক্ষিণ রায় অমিতবলশালী ছিলেন। পুথির মতে তিনি গাজীর সচিত যুদ্ধে পরাজিত হয়েন। তিনিই নাকি এখন হাওড়া - -- SS S SSAS SSAS SSAS SSAS S S S S S ۔۔== ----------۔----------------- .ں۔