পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

や8b" অঞ্চলে ব্যাস্ত্রদেবতা দক্ষিণ রায় নামে পূজিত হইয়া থাকেন। হাওড়া খুরুট বোডের পাশ্বে এই ব্যাঘ্ৰপাহন দক্ষিণ রায়ের প্রতিমূৰ্ত্তি স্থাপিত আছে। ইঙ্গর নিকটেই ঘোলাডাঙ্গ পল্লিতে অশ্ববাহন ফকির কালু রায়ের মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত। উভয় স্থানেই ব্রাহ্মণ পূজক স্বন্দর বন অঞ্চলে গাজী ও কালু পীরের অনেক দবগা আছে । সাধারণতঃ ব্যাঘ্ৰভয় নিবারণের নিমিত্তই গাজী ও কালুর পূজা বা সিন্নি দেওয়া হইয়া থাকে। প্রচলিত গাজী ও জোল হাউসের (গয়েসউদিনের) পুথি অবলম্বনে গায়কের গাহিয়া থাকেন যথা— পোড় রাজা গয়েসন্দি, তার বেটা সামসুদি, তার পুত্র বাদস সেকেন্দর । তার বেট। বড়খান গাজী, খোদাবন্দ মলুকের রাজী কলিযুগে যার অবতার। বাদসাই ছাড়িল রঙ্গে, কেবল ভাই কালু সঙ্গে, নিজ নামে হইল ফকির । রিয়াজউস সালাতিন ও ষ্টয়ার্টের বাঙ্গালার ইতিহাসে গয়েসউদিকে সামসুদির পৌত্র বলা হইয়াছে। গয়েসউদিনের কোন সহোদর ভ্রাতা থাকা ও জানা যায় না । অতঃপর একদিলসাহের সম্বন্ধে দুই এক কথা বলিয়া আমি আমার বক্তব্য শেষ করিতেছি । একদিলের পুথিতে পশ্চিম দেশের সাঙ্গন নদীর তীরে, সাঙ্গানাগ্রামে, সাঙ্গনীর সওদাগরের পত্নী পুণাবতী আশকতুরীর গর্ভে বিনা পিতৃসংযোগে একদিলের জন্ম লিখিত আছে । সাহানানগর কাঞ্চননগর রাজ্যের অন্তর্গত । ছত্রঞ্জিত রাজা সেই সময়ে রাজ্যের অধিপতি ছিলেন। উক্ত রাজ্যের নিকট মালিক পাটন, বেলপুর ও গুজরাট ইত্যাদি দেশের বা নগরের অবস্থান থাকা জানা যায়। বৈরাট নগরের মোল্লা আতার নিকট একদিল শিক্ষা লাভ করেন । চট্টগ্রামের সুবিখ্যাত পীর সাঙ্গ বদর একদিল সাঙ্গের মুরসেদ অর্থাৎ দীক্ষাগুরু ছিলেন। রঙ্গপুর জেলার অন্তর্গত মিঠাপুকুর থানার হরিপুর গ্রাম নিবাসী জয়তুল্লা মগুলের পুত্ৰ আশক মামুদ মণ্ডল ১২৪১ সালের ১৩ আশ্বিন এই পুথির রচনা শেষ করেন। পুথির উক্তি গ্রহণ করিলে পশ্চিমে গুজরাট পূৰ্ব্বে বঙ্গদেশ একদিল সাচের কৰ্ম্মক্ষেত্র ছিল মনে করিতে হয়। উত্তর বঙ্গের সর্বত্রই ইহঁর চরিত গান করিবার প্রথা প্রবর্তিত হওয়ায় এতদঞ্চলে যে একদিল প্রবাসী—চৈত্র, ১৩১৭ [ ১০ম ভাগ, ২য় શજી সাহের বিলক্ষণ প্রতিপত্তি ছিল এরূপ মনে করা অযৌক্তিক নহে । গাজী পীরের জন্মস্থান সৰ্ব্বজনবিদিত পাণ্ডুয়া নগরে অথচ গাজীর পুথিতে বৈরাট নগর বলা হইয়াছে। একদিল সাঙ্কের শিক্ষালাভের স্থানও বৈরাটনগর । কোন কালে পাণ্ডুয়া বৈরাট নামে পরিচিত হইত কি না, ঐতিহাসিকগণের বিবেচ্য। উত্তর বঙ্গের একাধিক স্থানে বিরাট রাজার রাজ্য অন্ততঃপক্ষে গোগৃহ নিরূপণের চেষ্টা চলিতেছে । উত্তর বঙ্গ ব্যতীত মেদিনীপুর ও ময়ুরভঞ্জ রাজ্যের মধ্যে একটা, বিন্ধ্য পৰ্ব্বতের পাদদেশে একটী ও জয়পুর রাজ্যে একটী বিরাট রাজার রাজ্যের অস্তিত্ব পুরাতত্ববিদগণের চেষ্টায় আমরা জানিতে পারিতেছি । এখন একদিল ও গাজীর পুথির লিখিত বৈরাট নগর কাল্পনিক কি ইঙ্গর মধ্যে কোন একটী, মীমাংস হওয়া আবশ্যক । পুথির সাহায্যে একদিল সাচের দেহত্যাগ কোথায় হইয়াছিল নির্ণয় করা কঠিন। জেলা ২৪ পঃ অন্তর্গত বারাশত মহকুমার এলাকায় কাজীপাড়ার নিকট একদিল সাঙ্গের এক সুপবিচিত দরগা আছে । এষ্ট দরগাক্ট কথিত একদিল সাহের দরগা কি না এপর্য্যস্ত মীমাংসা হয় নাই । আমানৎউল্য তাতন্মদ । মরণ । আমি তপনের মত চাঙ্গিগো মরণ, উজলিয়া সান্ধ্যরাগে, হাসিতে হাসিতে । হোকৃ না সে স্বল্প কেন ধরার জীবন, হোকৃ না সে দিন দিন ঘাটতে আসিতে । চাচিন মরণ আমি চন্দ্রমার মত, পক্ষধরি তিলে তিলে ক্ষয়ের যাতন । " হোক ন জীবন দীর্ঘ চ’তে পারে যত, চাবি পাশে তারাদল করুক সাধন । শ্ৰীকালিদাস রায় ।